শ্রমিক সংকটে উৎপাদন ব্যাহত, নতুন আইন প্রণয়নের দাবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে নারায়ণগঞ্জে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা চালু হলেও, শ্রমিক সংকটের কারণে অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
প্রণোদনার ৬৫ শতাংশ টাকা নিজেদের একাউন্টে পেয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা নানা অজুহাত দেখিয়ে কাজে যোগদান করছে না, বলে দাবি করছেন গার্মেন্টস শিল্প মালিকরা।
তারা বলছেন, শ্রমিকদের কেউ কেউ বেতন বুঝে নিয়ে, অন্য পেশায় কাজ করে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে। এ অবস্থায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে শ্রম আইন অনুযায়ী স্বল্প সময়ে নানা জটিলতার কারণে শ্রমিক ছাঁটাই করে নতুন শ্রমিক নিয়োগ করতে পারছেন না, বলেও অভিযোগ করেন গার্মেন্টস মালিকরা।
আজ বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর তল্লা এলাকায় রপ্তানিমূখী গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান মডেল গ্রুপের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে এ দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন।
পোশাক শিল্প গ্রুপটির উপ-মহাব্যবস্থাপক অনুপম কুমার সাহা জানান, ছুটি শেষ হওয়ার পর তার প্রতিষ্ঠানের চারটি গার্মেন্টস কারখানায় দশ হাজার শ্রমিকের মধ্যে; প্রায় তিন হাজার শ্রমিক অনুপস্থিত রয়েছে। এই শ্রমিক সংকটের কারণে কারখানাগুলোয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিদেশি বায়ারদের (ক্রেতাদের) অর্ডার অনুযায়ী শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে বায়াররা বিমূখ হয়ে অর্ডার বাতিল করলে গার্মেন্টস শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। বন্ধ হবে কোটি কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি। এমন আশঙ্কা করছেন তারা।
দেশের পোশাক কারখানার রপ্তানি খাতকে সচল রাখতে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করা বাধ্যতামুলক করে, নতুন শ্রম আইন প্রণয়ণে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মডেল গ্রুপের পরিচালক কানাই সরকার, মহা-ব্যবস্থাপক মনির হোসেন ও উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন অনুপ কুমার সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।