রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চুল কাটার প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রুল জারি

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
এছাড়া হয়রানির শিকার প্রতি শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে কেন একটি কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও আজ বৃহস্পতিবার (৩০ স্পেটেম্বর) দেওয়া এ রুলের আওতায় আদালত জানতে চান।
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লবের রিট পিটিশন শুনানির পর বিচারক মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লা'র সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটে আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চুল কাটার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্টকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
একইসাথে, এনিয়ে একটি কমিটি গঠনের আদেশ দেন আদালত, এ কমিটিকেও একমাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের "সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের" চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন এর আগে ছেলে শিক্ষার্থীদের চুল ছোট করে ছাঁটার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এরপর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিজ বিভাগের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলের দরজার সামনে কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোয় ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল তিনি কেটে দেন।
তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বংশপরিচয় নিয়ে গালিগালাজ করার অভিযোগও উঠেছে।