মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সেজন্যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে।
গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
গত বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নিজ অফিসে উপস্থিত অন্য রোহিঙ্গাদের সামনেই চিহ্নিত অস্ত্রধারীরা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে।
অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন দুর্বৃত্তের কথা উল্লেখ করে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন তার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। তাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুতুপালং ৬ নম্বর ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়।
মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহ ছিলেন 'রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর' নামে পরিচিত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখপাত্র হিসেবে অংশ নিয়ে সুনাম কুড়িয়েছিলেন মুহিবুল্লাহ। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন। ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা ও নিপীড়নের কথা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ডে ব্যথিত। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একজন সাহসী ও নির্ভীক নেতা হিসেবে মুহিবুল্লাহর প্রশংসাও করেন তিনি।