মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়: ময়মনসিংহের ৮ জনের সাজা, একজন বেকসুর খালাস

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকার ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৪২টি মামলার ১১৪ জন আসামির মধ্যে এই প্রথম কেউ বেকসুর খালাস পেলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন। সদস্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।
রায়ে মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এএফএম ফয়জুল্লাহ (পলাতক) ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে (পলাতক) আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে। এছাড়া অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া একমাত্র আসামি হলেন আবদুল লতিফ।
তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে ময়মনসিংহের বিভিন্ন গ্রামে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার মতো অপরাধে যুক্ত হন বলে এ মামলায় অভিযোগ করা হয়।
গত মঙ্গলবার মামলার রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের প্রারম্ভিক বক্তব্যের পর বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ২২২ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন। রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়েন বিচারপতি আমির হোসেন। সবশেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম সাজা ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।