বন্ধ রাস্তা খোলার দাবিতে ৫০ অবরুদ্ধ পরিবারের মানববন্ধন

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ৫০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে- এমন অভিযোগ এনে অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
রোববার দুপুরে বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ির প্রসাদপাড়া এলাকায় এই মানববন্ধন পালিত হয়।
অবরুদ্ধ হয়ে পড়া ৫০ পরিবারের সদস্য ও শতাধিক এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে ঝাড়বাড়ি ভূমি অফিসের সামনের রাস্তা ৩০ মিনিট অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অভিযোগ করা হয়, প্রসাদপাড়া গ্রামের শত বছরের যান চলাচলের সরকারি রাস্তা হঠাৎ করে পশ্চিমাংশে বন্ধ করে দেন মৃত বানুয়া বর্মনের ছেলে মহাদেব বর্মন। ফলে ৫০ পরিবারসহ এলাকাবাসীর ব্যবহৃত চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা বন্ধ হওয়ার ফলে স্কুল ও মন্দিরে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাদের। একইসঙ্গে হাট বাজারে যেতে পারছেন না তারা। এমতাবস্থায় অবরুদ্ধ পরিবারগুলো প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় শেফালী সাহা বলেন, 'রাস্তা বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের সন্তানদের এক কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হয়। পাশে থাকা মন্দিরে যেতেও আমাদের অনেক রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।'
জগদীশ রায় বলেন, 'আমি ভ্যান চালক। রাস্তা বন্ধ হওয়ার কারণে আমার ভ্যানটি আর বাড়িতে ঢুকাতে পারি না। এখন অন্য মানুষের বাড়িতে রাখতে হয়। আমার জন্ম থেকেই এই সরকারি রাস্তা দেখে আসছি; অথচ হঠাৎ করেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হলো।'
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, 'আমাদের শত বছরের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। হাট বাজারে করতে পারছি না।'
শতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ধনেশ রায় বলেন, 'আমরা ছোটবেলা থেকেই এই রাস্তা দেখে আসছি। ওখানকার জনগণের স্বার্থে রাস্তাটি খুব প্রয়োজন।'
শতগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম কুতুব উদ্দিন বলেন, 'রাস্তাটি বন্ধ হওয়ার কারণে ৫০ থেকে ৬০টি পরিবারের বের হওয়ার কোনো পথ নাই। ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র প্রসাদপাড়া হওয়ার কারণে এই রাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
'আমরা তো ওখানে গিয়ে মারামারি কিংবা শক্তি প্রয়োগ করতে পারি না; ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে এর মীমাংসা করা সম্ভব। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই', যোগ করেন তিনি।
এদিকে, বন্ধ রাস্তার ছবি তুলতে গেলে মহাদেব, ভুট্টুসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ ছবি তুলতে বাধা দেন এবং ক্যামেরা ভাংচুরের চেষ্টা করেন।