দিনাজপুরে হিন্দু নেতা হত্যা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নমুনা: ভারত

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় হিন্দু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে এই মৃত্যুকে 'বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত নির্যাতনেরই নমুনা' বলে দাবি করেছে দেশটি।
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ দাবি করেন।
পোস্টে জয়সওয়াল লিখেছেন, 'আমরা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে মর্মাহত। এর আগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদেরও এখনও শাস্তি হয়নি। তারা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।'
ভারত সরকারের মুখপাত্র আরও বলেন, 'আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আবারও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। এখানে কোনো অজুহাত বা ভেদাভেদ করার সুযোগ নেই।'
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ভবেশ চন্দ্র রায়কে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর তাকে মারধর করে রাত ১০টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় একটি ভ্যানে বাড়ির পাশের স্থানীয় ফুলবাড়ী হাটে পাঠিয়ে দেয়।
এরপর পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ভবেশের স্ত্রী সান্ত্বনা রানী বলেন, ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামীর নম্বরে ফোন এসেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা তার অবস্থান নিশ্চিত করতেই ওই ফোন করেছিল। এর প্রায় আধাঘণ্টা পর দুইটি মোটরসাইকেলে চারজন ব্যক্তি এসে ভবেশকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
ভবেশ চন্দ্র রায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের বিরল উপজেলার সহ-সভাপতি ছিলেন।
প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের নিন্দা
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস।
দলটির নেতা জয়রাম রমেশ এক্সে লিখেছেন, 'এই অপহরণ ও মর্মান্তিক মৃত্যু এই অঞ্চলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার এক উদ্বেগজনক স্মারক।'