হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষীর ১ বছরের কারাদণ্ড

বাড়িতে অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখায় ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) একটি ভ্রাম্যমান আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সোমবার সন্ধ্যায় পুরনো ঢাকার লালবাগ অঞ্চলে, হাজি সেলিমের বাসভবন মদিনা টাওয়ারে দিনব্যাপী অভিযান শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে, সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তারা একটি আগ্নেয়াস্ত্র, মদ ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী ছাড়াও গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় সোমবার ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রোটকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, মামলা দায়েরের পর থেকেই ইরফান সেলিম ও অন্য আসামিদের খুঁজতে থাকে তারা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, 'তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব' বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।'

সেখানে আরও বলা হয় 'তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।'
ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।