দিনাজপুর বোর্ডে গণিতেই ফেল ১৯ হাজার শিক্ষার্থী

২০২০ সালের দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার গতবারের তুলনায় কমেছে। এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। এই বোর্ডের অধীনে একটি মাত্র বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি। এ বোর্ডে শুধু গণিতেই অকৃতকার্য হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার পরীক্ষার্থী।
রোববার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তোফাজ্জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩ ভাগ। যা গত বার ছিল ৮৪ দশমিক ১০ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী এক লক্ষ ৯২ হাজার ৯৭৯ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লক্ষ ৯১ হাজার ৮২১জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৫ জন।
ছাত্রদের পাসের হার যেখানে ৮১ দশমিক ২২ শতাংশ, সেখানে ছাত্রী পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৩২৬ জন ছাত্র ও পাঁচ হাজার ৭৬০ জন ছাত্রী। গত বারের তুলনায় এবার তিন হাজার ৬৩ জন জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮২ হাজার ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে ৪৪ হাজার ১২২ জন ছাত্র ও ৩৩ হাজার ৩৯০ জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭৬ ভাগ।
মানবিক বিভাগে এক লাখ ছয় হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৭ হাজার ৫৪৬ জন। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৯১ জন ছাত্র ও ৪৩ হাজার ৯৫৫ জন ছাত্রী। বিভাগ অনুযায়ী পাসের হার ৭৩ দশমিক ৪৮ ভাগ।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে চার হাজার ৫৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে তিন হাজার ৬২৭ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ৫৬৪ জন ছাত্র ও এক হাজার ৬৩ জন ছাত্রী। বিভাগের পাসের হার ৮০ দশমিক ৬২।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩২জন। এখানে ছয় হাজার ২৫৯ জন ছাত্র ও পাঁচ হাজার ৫৭৩ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৬ জন এর মধ্যে ৫৫ জন ছাত্রী ও ১৭১ জন ছাত্র। ব্যবসা শিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ২৮ জন। এর মধ্যে ১২ জন ছাত্র ও ১৬ জন ছাত্রী।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর নকলের দায়ে বহিষ্কার হয়েছিল ১০৫ জন পরীক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডে অধীনে রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় দুই হাজার ৬৪৬টি বিদ্যালয়ে ২৭১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কেবল মাত্র গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ২৯৬ জন এবং ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছেন আট হাজার ৭৩৮ জন। গ্রামের স্কুলগুলোতে গণিত ও ইংরেজিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা কাক্সিক্ষত ফল করতে পারছে না বলে গণিত ও ইংরেজিতে অকৃতকার্যের সংখ্যা বেশি। উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গণিত ও ইংরেজির ব্যাপারে আরও বেশি কার্যকর ও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।