চট্টগ্রামে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত, শিশুরাও পাবে খাদ্য সহায়তা

চট্টগ্রামে শহর এবং উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সরকারি ত্রাণ বিতরণ করছেন।
শহরে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত্রাণ বিতরণ করছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করছেন।
ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে পাঁচ উপজেলার ৩৩ হাজার পরিবারের আংশিক তালিকা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ৭২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে ২০০ মেট্রিক টন ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়। এগুলো ২০ হাজার পরিবারকে দেওয়া হবে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্যমতে, চট্টগ্রাম শহরে তিন লাখ পরিবার ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরকারি বরাদ্দ কম হওয়ায় অনেক হতদরিদ্র-দিনমজুরের পরিবার ত্রাণ পায়নি।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া অন্যকোনো এলাকার বাসিন্দারা এখনো কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি। চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন প্রথম দফা শুনানি শেষ করেছেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, পাঁচ উপজেলা থেকে আংশিক তালিকা পেয়েছি। বাকিগুলো আমরা দ্রুত পাওয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ৭২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ এসেছে।
চট্টগ্রামে ত্রাণ পাবে ৩ হাজার শিশু
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের ফলে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও খাদ্যাভাবে ভুগছেন। অনেক হতদরিদ্র পরিবার তাদের শিশুদের নিয়মিত খাবার দিতে পারছেন না। ফলে অনেক শিশু না খেয়ে থাকছেন। পাশাপাশি পরিবারবিহীন পথশিশুরা অনাহারে দিনযাপন করছেন।
তবে এবার এসব শিশুদের ত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চট্টগ্রামে প্রাথমিকভাবে তিন হাজার শিশুকে সরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে ত্রাণ দেওয়ার জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়। মাঠ পর্যায়ের তালিকা অনুযায়ী এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, সাগু, সুজি। এতিম, হতদরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষের শিশু সন্তানরা এসব ত্রাণ পাবে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অপরাজেয় বাংলাদেশের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার। নগরে পথশিশুর সংখ্যা বেশি। এদের বেশিরভাগই বসবাস করেন রেল স্টেশন, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানে।
শিগগিরই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, নতুনভাবে আমরা ২০ হাজার পরিবার ও তিন হাজার শিশুর জন্য ত্রাণ বরাদ্দ পেয়েছি। ইতোমধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী এসব ত্রাণ শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হবে।