খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে লজ্জাবতী বানর

খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসা একটি অতি বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার সকালে পাহাড়ী জনপদ দুর্গাপুরের গোপালপুর বনে এটি অবমুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, রবিবার সকালে দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আগাড় গ্রাম সংলগ্ন সোমেশ্বরী নদীর চরে স্থানীয়রা বানরটি দেখতে পান। তখন শিশু-কিশোররা এটিকে দৌড়ে ধরার চেষ্টা করে। পরে একই গ্রামের যুবক আমিন খান বানরটি আটক করে দুর্গাপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সায়েদুল ইসলাম এবং 'সেভ দ্যা অ্যানিমেলস অব সুসং' নামে একটি সংগঠনের সদস্য রাজেশ গৌড়কে খবর পাঠান।
খবর পেয়ে তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে বানরটি উদ্ধার করেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা সায়েদুল ইসলাম এটিকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর হিসেবে শনাক্ত করেন। উদ্ধারের তারা গারো পাহাড় সংলগ্ন গোপালপুর বনে নিয়ে সেটি অবমুক্ত করেন।
রাজেশ গৌড় জানান, হালকা বাদামি রংয়ের পশমযুক্ত বানটির উচ্চতা প্রায় এক ফুট। লম্বায় প্রায় দেড় ফুট। চোখ দুটি গোল। দেখতে বিড়ালের মতো ঘোলাটে। বনে অবমুক্ত করার আগে বানরটিকে দেখতে ভিড় জমে যায়।
বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সায়েদুল ইসলাম বলেন, লজ্জাবতী বানর একটি অতি বিপন্ন প্রাণি। এটি 'লাজুক বানর' হিসেবেও পরিচিত। আবার 'বেঙ্গল স্লো লরিস' নামেও ডাকা হয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের তালিকায় (আইইউসিএন) এটি লাল তালিকাভুক্ত প্রাণি। তবে লরিসিডি পরিবারের এই প্রাণিটিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর এবং সিলেটের সীমান্ত এলাকায় মাঝেমধ্যেই দেখা যায়।
খাবারের সন্ধানে অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে বানরগুলো। ইতোপূর্বেও দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আরও ৫-৬টি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।