ক্যাসিনো-কাণ্ডে ২২ জনের ওপর ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা

ক্যাসিনো ব্যবসা ও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত ২২ জনের ওপর ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
নিষিদ্ধদের তালিকায় ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য শামসুল হুদা রয়েছেন।
অন্যরা হলেন, এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া, ক্যাসিনো-সম্রাট ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, তার সহযোগী এনামুল হক আরমান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, তার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম ফিরোজ, অনলাইন ক্যাসিনো-কিংপিন সেলিম প্রধান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরু ও তার বড় ভাই গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রূপন ভুঁইয়া, যুবলীগের বরখাস্তকৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাইদ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের স্টাফ আবুল কালাম আজাদ, জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে।
ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ পাওয়ায় এ চিঠি ইস্যু করা হয়।
এই ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও অনুরোধ করেছে দুদক।
অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সম্পদের খোঁজখবর নিতে দুদক ৩০ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত দল গঠন করে।
সোমবার দুদক অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে।