অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রা: ৬ জনকে জরিমানা, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন

চলমান লকডাউনে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে অ্যাম্বুলেন্স করে গোপনে কক্সবাজারে প্রবেশ করায় ৬ জনকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে আসা এ ৬ জনকে রাখা হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিনে।
আজ রোববার থেকে আগামি ১৪ দিন তারা কঠোর নজরদারিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুদ্দীন মো. শিবলী নোমান।
বুধবার বিকেল থেকে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। সে অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি কারণ ছাড়া কক্সবাজার থেকে কেউ বের হবেন না আর বাইরের কোন জেলা থেকেও পর্যটন নগরীতে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। ৯ এপ্রিল থেকে সেভাবেই চলছে।
কিন্তু প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে শনিবার অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকা থেকে ৬ ব্যক্তি গোপনে কক্সবাজারে প্রবেশ করেছেন। তারা কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা ও করাইয়াঘোনা গ্রামে এসে নিজেদের লুকিয়ে রাখেন।
তাদের খুঁজে বের করে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার একটি পর্যটন নগরী। তার উপর এখানে অবস্থান করছে মানবিক আশ্রয়ে থাকা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। দেশের স্বার্থে, কক্সবাজারের পর্যটনের স্বার্থে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। নিজেরা সচেতন না হলে শাস্তি দিয়ে, জরিমানা করে দুর্যোগ রোধ করা কষ্টসাধ্য বিষয়।
পরিবার, দেশ ও দশের স্বার্থে নিজে সচেতন থাকার পাশাপাশি পাশের জনকেও সচেতন হবার তাগাদা দিতে তিনি পাড়া-মহল্লা এবং সমাজের লোকজনকে আহবান জানান। এরপরও কোন কাজ না হলে, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে।