Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 14, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 14, 2025
এক দশকে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি চারগুণ

বাংলাদেশ

আব্বাস উদ্দিন নয়ন & শওকত আলী
01 June, 2021, 01:55 pm
Last modified: 01 June, 2021, 06:54 pm

Related News

  • রমজানে রাজধানীর ২৫ স্থানে মিলবে সুলভমূল্যে মাংস, ডিম, দুধ
  • প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ কমাতে পারে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি
  • দুধের ঘাটতি মেটাতে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
  • প্যাকেটজাত জুস ও তরল দুধের দাম বাড়বে
  • গুজরাটি যুবকের গাধার খামার: অনলাইনে প্রতি লিটার দুধের দাম ৫ হাজার রুপি

এক দশকে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি চারগুণ

উৎপাদন বাড়লেও গুঁড়া দুধ এখনো আমদানি নির্ভর রয়ে গেছে।
আব্বাস উদ্দিন নয়ন & শওকত আলী
01 June, 2021, 01:55 pm
Last modified: 01 June, 2021, 06:54 pm

২০০০ সাল থেকেই দেশে দুগ্ধ খামারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর প্রভাবেই ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় চারগুণের বেশি বেড়ে এক কোটি টনের মাইলফলক ছুঁয়েছে। 

দেশে বর্তমানে ২০ লাখের বেশি দুগ্ধ খামার আছে, এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৫৫৪টি-ই সরকারিভাবে নথিভুক্ত। বাণিজ্যিক দুধ উৎপাদন ও মিষ্টির ব্যবসার প্রসারের কারণেই মূলত দেশে দুগ্ধ খামারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

দুধ উৎপাদনকারীরা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে মিষ্টি তৈরিতেই উৎপাদিত দুধের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। মিষ্টির বর্ষিক বাজার ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি এখন। 

সরকারি তথ্যানুযায়ী, ২০০৭ সাল থেকে দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণের পরিমাণ ৩.৮৪ লাখ লিটার থেকে বেড়ে ৭.৫ লাখ লিটারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে মোট দুধ উৎপাদনের ২.৫৮ শতাংশ প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ করে কোম্পানিগুলো।

সরকারি কর্মকর্তা ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুধ উৎপাদনে কাজ করা অর্ধেকের বেশি উদ্যোক্তা উচ্চ শিক্ষিত। দুধের বাণিজ্যিকীকরণে সারা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের।

অন্যদিকে, দেশে দুধের মোট চাহিদার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই এখন দেশীয় উদ্যোক্তারা সরবরাহ করছেন। তবে অসম শুল্ক নীতির কারণে এখনো গুঁড়া দুধের বাজার আমদানি নির্ভর।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অরবিন্দ ধর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে জানান, গরুর সিমেন সংগ্রহের কারণে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ৯০'র দশক থেকে দেশে দুধ উৎপাদকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

"৯০'র দশকের শেষের ভাগে সরকার গুঁড়া দুধ আমদানির ওপর শুল্ক বসায়, শুল্কমুক্ত কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানির ব্যবস্থাও করা হয়। একারণে দেশে দুধ উৎপাদন খাতের প্রসার ঘটে," বলেন তিনি। 

এর ফলে উদ্যোক্তারা দুধের বাণিজ্যিক উৎপাদনের খামার প্রতিষ্ঠা শুরু করেন। বর্তমানে ইউএইচটি, পাস্তুরিত তরল দুধ ও গুঁড়ো দুধ ছাড়াও ঘি, মাখন, পনির, লাচ্ছি, দই, মাঠা, লাবাং, পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। টেট্রাপ্যাক এবং উন্নত মানের ফুড গ্রেডেড ফয়েল প্যাকে এসব পণ্য বাজারজাত করছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। 

খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি শাহ ইমরান বলেন, উন্নত জাতের গরুর প্রজনন প্রক্রিয়া ও ভেটেরিনারি ঔষধ সহজলভ্য হওয়ার পর শিক্ষিত ও ধনি জনগোষ্ঠীও এ খাতে বিনিয়োগ শুরু করেছেন।

"খামারিরা গাভী ও ষাঁড় লালন-পালন শুরু করেন। তারা গাভীর দুধ সংগ্রহ করে তা বিক্রির টাকায় ষাঁড় মোটাতাজাকরণের খরচ যোগাতেন, নিজ পরিবারের প্রয়োজনও মিটতো এই আয় থেকে। এই ধারা এখনো বজায় আছে," যোগ করেন তিনি। 

দেশের ডেইরি খাতের করপোরেট উদ্যোক্তা প্রাণ গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, "তরল দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আসে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে। তবে গুঁড়ো দুধ ও বাচ্চাদের খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছি।" 

এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রয়োজন গুঁড়ো দুধ আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি ও কারখানা স্থাপনে প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়ার মতো সরকারের নীতি সহায়তা। 

দুগ্ধ শিল্পের বিবর্তন 

ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে 'ন্যাশনাল নিউট্রিশন কোম্পানি' নামে একটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় ১৯৪৬ সালে। দেশে কারখানাভিত্তিক দুগ্ধ শিল্প গড়ে তোলার এই প্রথম উদ্যোগটি নেওয়া হয় ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে। তবে বারবার বন্ধ হওয়া, ধার দেনার পর ১৯৭৩ সালে মিল্ক ভিটা নামে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান চালু করে বাংলাদেশ সরকার। 

গোড়াপত্তনের সময়ে মিল্ক ভিটার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য ছিল দুটি। প্রথমত, কৃষকের দুধের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়ত, গ্রাম-শহর নির্বিশেষে দেশের সবখানে দুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
অর্ধ শতাব্দীর অগ্রযাত্রায় এ দুটি উদ্দেশ্য পূরণের পাশাপাশি দেশের দুগ্ধ শিল্পের বাজারকে বদলে দিতে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে মিল্ক ভিটা। দেশের তরল দুধের বাজারের ৪০ ভাগ প্রতিষ্ঠানটির দখলে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লিটার তরল দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাত ও বিপণন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মিল্ক ভিটা প্রতিষ্ঠার এক বছর পর সাভার ডেইরি নামের আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রাথমিকভাবে এর দুধ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল দৈনিক তিন হাজার লিটার। তবে বর্তমান সময়ে এসেও এ সক্ষমতা খুব একটা বাড়েনি।

নব্বইয়ের দশকের পর থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বিকাশ ঘটে দেশের দুগ্ধ শিল্পের। বর্তমানে ডেইরি ফ্রেশ, ইগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং ডেইরি, প্রাণ ডেইরি, আইরান, পিউরা, সেইফ মিল্কসহ বেশ কিছু বড় ব্র্যান্ড গড়ে উঠেছে।

উদ্যোক্তারা জানান, ২০০৭ সালে দেশে তিনটি কোম্পানি নতুন করে দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করে। ২০০৭ সালে কোম্পানিগুলো দুগ্ধ খামারিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৩.৫- ৩.৮৫ লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণ করত। বর্তমানে এই পরিমাণ ১০- ১২ লাখ লিটার ছাড়িয়ে গেছে। 

আইএমএফের এক গবেষণাপত্রে নিজের লেখা প্রকাশ করে বাংলাদেশ মিল্ক প্রডিউসার'স কোঅপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক এস.এ.এম. আনোয়ারুল হক জানান, ১৯৯০ সালে দৈনিক উৎপাদিত ১.৫ মিলিয়ন টন দুধের মধ্য থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মাত্র ১ শতাংশ দুধ সংগ্রহ করা হতো। ২০০৬ সালে তা দৈনিক উৎপাদিত ২.২৭ মিলিয়ন টন দুধের মধ্যে ৭ শতাংশ সংগ্রহে উন্নীত হয়।

সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০৬.৮০ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়েছে। তবে, চাহিদার তুলনায় এ উৎপাদন কম বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। 
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী দুধের পার ক্যাপিটাল কনজাম্পশন স্ট্যান্ডার্ড ২৫০ এমএল। যে হিসাবে দেশে তরল দুধের চাহিদাই দেড় কোটি টনের বেশি হওয়ার কথা ছিল। 

গুঁড়া দুধ এখনো আমদানি নির্ভর

দেশে দুগ্ধ খাতের প্রসারে বিপুল মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও আমদানি করা গুঁড়ো দুধকে বাধা হিসাবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০ সালে দেশে ৪ হাজার কোটি টাকার গুঁড়া দুধ আমদানি হয়েছে। বিপরীতে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রি মাত্র কয়েক'শ কোটি টাকা। বিদেশি দুধের আমদানিতে শুল্ক কম থাকা এবং দেশে শিল্প স্থাপনে কোনো উদ্যোগ না থাকায় এ দৃশ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তারা। 

বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিডিএফ) সভাপতি উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, "বাংলাদেশের ডেইরি শিল্পের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমদানিকৃত গুঁড়া দুধের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা। এসব গুঁড়া দুধ ভর্তুকি প্রাপ্ত হওয়ায় এর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যার সঙ্গে বাংলাদেশের স্থানীয় উৎপাদকতা প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠেন না।"

শুল্ক স্তর পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশে গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক মাত্র ১০ শতাংশ। কিন্তু এশিয়ার অন্যান্য দেশে এর হার ৫০ শতাংশের উপরে।"

বড় ফার্ম ও পতিত জমি না থাকা বড় সংকট

দেশে দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে আমদানি করা গুঁড়া দুধের পাশাপাশি চারণভূমি না থাকাকে বড় সমস্যা হিসাবে দেখছেন উদ্যোক্তারা। জমির প্রাপ্যতা ও গবাদি পশুর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বড় উদ্যোগ নিতে পারছেন না বলেও জানান তারা।

দেশে এ খাতের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্র্যাকের আড়ং ডেইরির পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, "এখানে বড় ফার্ম না থাকার কারণে কারখানা স্থাপন করেও দুধ সংগ্রহ করা বেশ কঠিন। নিজেরা বড় ফার্ম প্রতিষ্ঠা করলেও গরু ঘাস খেতে পারে এমন জমি নেই। ফলে গ্রেজিং ফার্মের জন্য যে জমি লাগে, তা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সম্ভব নয়।'

তিনি বলেন, "স্টিল ফিডিং ফার্মে (ছোট জায়গায় প্রস্তুতকৃত খাবার দিয়ে গরু পালন) ২০০-২৫০০ গরু দিয়ে কারখানা স্থাপন করলেও তাতে পরিচালন ব্যয় বেশি হয়ে যায়। ফলে এটি আর্থিকভাবে সুবিধাজনক নয়।" 

চারণভূমি ছাড়াও আমাদের দেশের গরুর স্বল্প উৎপাদন ক্ষমতাকে এ খাতের বিকাশ বাধা হিসাবে দেখছেন প্রাণ ডেইরির কামরুজ্জামান কামাল। 

নেতিবাচক প্রচারণাও বাধা

দেশে দুধের মান নিয়ে সব পর্যায়েই নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। খোলা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পানি মিশিয়ে দুধ বিক্রির নেতিবাচক প্রচারণা যেমন রয়েছে, তেমনি করপোরেটদের বিরুদ্ধে রয়েছে ভেজালের নেতিবাচক প্রচারণা। কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে বাজার হারাতে হয়েছে প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানিগুলোকে।

তবে উৎপাদনকারীরা বলছেন, ভুল গবেষণা ও গুঁড়া দুধ আমদানিকারকদের ভুল প্রচারণার কারণে বেশি ভুগতে হয়েছে তাদের।

মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর চান বণিক বলেন, "২০১৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের ভুল গবেষণায় দেশের পাস্তুরিত দুধে ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতির কথা জানানো হয়। এতে দুধের চলমান প্রবৃদ্ধি আটকে যায়। পরবর্তীকালে ওই গবেষণা ভুল প্রমাণ হলেও মানুষের মধ্যে ভয় দূর হয়নি।"

দুধ নিয়ে মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে জানিয়েছে তিনি বলেন, "উন্নত দেশগুলোতে প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া মানুষ দুধ খায় না। কিন্তু আমাদের দেশে মানুষ এখনো প্রথাগত পদ্ধতিতে গরু, মহিষ বা ছাগল থেকে দুধ সংগ্রহ করে সরাসরি খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।"

উত্তরাঞ্চল নির্ভরতা

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী ও রংপুরেই প্রায় সব বাণিজ্যিক খামার স্থাপিত হয়েছে। দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোও একই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
সম্প্রতি রংপুরে ৩০০ শতাধিক অস্ট্রেলিয়ার উন্নত গরু নিয়ে খামার ও কারখানা গড়ে তুলেছে ইয়ন গ্রুপ। 

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিন উদ দৌলা বলেন, "গো চারণভূমি ও আবহাওয়াগত সুবিধার কারণে উত্তরাঞ্চলে কারখানা স্থাপন করেন উদ্যোক্তরা।"

এছাড়া সারা দেশে বিভিন্নভাবে দুধ উৎপাদন হলেও সেগুলো অঞ্চলভিত্তিক চাহিদা পূরণে ব্যবহার হয় বলেও জানান তিনি। 

সরকারি উদ্যোগ

দেশের দুগ্ধ খাতের উন্নয়নে খুব বেশি সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালে একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৪ শতাংশ সুদে গরুর খামারিদের ঋণ দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয় সরকারের। তবে এই ঋণ খামারিরা পায়নি বলে অভিযোগ খাত সংশ্লিষ্টদের।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের মানুষের মাংস, ডিম ও দুধের চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। ৪২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শুরু হলেও গাড়ি কেনা, অফিস তৈরি, লোকবল নিয়োগ দেওয়া ছাড়া খুব বেশি কাজ এখন পর্যন্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলা ছাড়া দেশের ৬১টি জেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে প্রাণিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মার্কেট লিংকেজ ও ভ্যালু চেইন সৃষ্টি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল। 

সম্প্রতি রংপুরে একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা উদ্বোধন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশে কেউ খামার কিংবা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করলে সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার। 

কারখানা স্থাপনে ক্যাপিটাল মেশিনারিতে শুল্ক কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 
 

Related Topics

টপ নিউজ

দুধ / মিল্কভিটা / দুগ্ধ শিল্প

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম : জ্বালানি উপদেষ্টা
  • এবার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে 'বোমা হামলার' হুমকি, থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ
  • ‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা
  • ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে ১০০-র বেশি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান: আইডিএফ
  • বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প
  • ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

Related News

  • রমজানে রাজধানীর ২৫ স্থানে মিলবে সুলভমূল্যে মাংস, ডিম, দুধ
  • প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ কমাতে পারে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি
  • দুধের ঘাটতি মেটাতে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
  • প্যাকেটজাত জুস ও তরল দুধের দাম বাড়বে
  • গুজরাটি যুবকের গাধার খামার: অনলাইনে প্রতি লিটার দুধের দাম ৫ হাজার রুপি

Most Read

1
বাংলাদেশ

সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম : জ্বালানি উপদেষ্টা

2
আন্তর্জাতিক

এবার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে 'বোমা হামলার' হুমকি, থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ

3
বাংলাদেশ

‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

4
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে ১০০-র বেশি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান: আইডিএফ

5
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প

6
বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net