উপকূল থেকে ৪৫০ কি.মি. দূরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, গতিপথ ভারতের দিকে

ঘূৃৃণিঝড় ইয়াস উপকূল থেকে এখনো ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘন্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি গতিপথ পরিবর্তন না করে তবে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রবিন্দু প্রবেশের সম্ভাবনা নেই।
এসব তথ্য জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফুকার আলী। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূলে না আসলেও এর প্রভাব পড়বে উপকূলে। ঝড়ো হাওয়া, জলোচ্ছ্বাসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এর প্রভাব আমাদের উপকূলে শুরু হবে আরও পরে। মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত থেকে এর প্রভাব শুরু হবে। মেঘ চলে আসবে, বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি কখন উপকূল অতিক্রম করবে সেটিও আরও পরে জানা যাবে।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও রয়েছে থমথমে। আকাশে মেঘের আনাগোনা রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে বাঁধে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি গ্রামের শাহিন বিল্লাহ্ জানান, কপোতাক্ষ নদীতে এখন ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে জোরে। বাঁধ ভেঙে যাবে যে কোন সময়ে। এরপর জলোচ্ছ্বাস হলে বিপদের শেষ থাকবে না।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র ও সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে। সতর্কতা সংকেত ৬ নম্বর হলে তখন আমরা উপকূলীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবো।