Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
August 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, AUGUST 05, 2025
প্রতীক্ষায় যাদের দিন কাটে তাদের নিয়ে প্রদর্শনী ‘জান ও জবান’

ফিচার

সালেহ শফিক
07 September, 2024, 02:30 pm
Last modified: 07 September, 2024, 02:33 pm

Related News

  • সরকার দায়িত্বশীল আচরণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে: নাহিদ
  • আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত ‘মরিয়া’ প্রমাণ করল তারা ভারতের লোক: সালাহউদ্দিন
  • আ.লীগ আমলে দলের নেতাকর্মী গুমের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল বিএনপির
  • সেনা সদস্যদের গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনা সদর দপ্তর
  • বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

প্রতীক্ষায় যাদের দিন কাটে তাদের নিয়ে প্রদর্শনী ‘জান ও জবান’

জোহান বুঝতে পারেন পরিবারগুলো দুঃখের এক অথৈ সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে। পরিচালনার ভার বইতে হচ্ছে নারীকে, স্বামী গুম হওয়ার হয়তো ৪-৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম দুবছর তাদের ঘুরে বেড়িয়ে কেটেছে। তারপর সন্তান এসেছে, তখনও কল্পনাতে ছিল না বছরখানেকের মধ্যে কী অসহনীয় জীবন অপেক্ষা করছে তার জন্য! সন্তান ছাড়াও সংসারে আছেন বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি, তাদের চিকিৎসা খরচ, বাসা ভাড়া আর খাবার খরচ তো আছেই।
সালেহ শফিক
07 September, 2024, 02:30 pm
Last modified: 07 September, 2024, 02:33 pm
গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। ছবি সৌজন্য: মোশফিকুর রহমান জোহান

মোহাম্মদ কাওসারকে যেদিন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন তার স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। পরে পাড়া-প্রতিবেশী বলেছেন, সিভিল ড্রেসে কিছু লোক এসেছিলেন; বলেছিলেন, 'আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক।' এসেই লোকগুলো বাসায় থাকা চারজনকে পেটানো শুরু করেন এবং জানতে চান, 'তোমাদের মধ্যে কাওসার কে?' কাওসার নিজের পরিচয় দিলে তাকে শক্ত করে ধরে নিয়ে গাড়িতে ওঠাতে যান তারা। এ সময় এক প্রতিবেশী জানতে চান, 'কেন নিয়ে যাচ্ছেন?' তাদের উত্তর ছিল, 'কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করব। কাল সকালেই ছেড়ে দেব। চিন্তার কারণ নেই।'

দরজায় টোকা পড়লেই মনে হয়…

এরপর কেটে গেছে ৯ বছর। কাওসার এখনও বাড়ি ফেরেন নি। মেয়েটার তখন বয়স ছিল ৩, এখন হয়েছে ১২। তার স্ত্রী ও মেয়ে প্রতিদিন প্রতীক্ষায় থাকেন। দরজায় টোকা পড়লেই মনে হয়, কাওসার এসেছেন। মেয়ের অবশ্য বাবার কথা মনে নেই তেমন। যেন দেখলেই চিনতে পারে তাই পড়ার টেবিলে, ঘরের দেওয়ালে বাবার ছবি লাগিয়ে রেখেছে।

কাওসারের স্ত্রী বলছিলেন, "আমার মনে হয় আসবে, ফিরে আসবে। গত নয় বছরে একবারও মনে হয়নি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। মনে হয় আগে যেমন সকালে অফিসে যেত, এখনও যায়, সন্ধ্যায় ফিরে আসে।"

"তবে মেয়েটা যেন দিনে দিনে কেমন হয়ে যাচ্ছে, আলাভোলা। গাড়ির হর্ন শোনে না, একদিকে যেতে থাকলে সেদিকেই যায়, সামনে পিছনে কিছুই খেয়াল করে না। ওকে তাই একা ছাড়ি না। কেউ কেউ বলছিল, ওর স্কুলে বাবার গুমের কথা বললে হয়তো বেতন মওকুফ হবে, কিন্তু আমি ভাবলাম তাতে মেয়েটার অসম্মান হবে, সবাই আলাদা চোখে দেখবে, শিক্ষকরা করুণা করবে— তাই বেতন চালিয়ে যাচ্ছি।"

স্মৃতি যেন প্রতারণা না করে, তারজন্য দেওয়ালে টেবিলে ছবি ঝুলিয়ে রাখা। ছবি সৌজন্য: মোশফিকুর রহমান জোহান

"কিন্তু এটি খুব কঠিন কাজ। অফিসের লোকদের জন্য রান্না করি আর টিউশনি করি— তাতে যা রোজগার তা দিয়েই চলতে হয়। মেয়ের আলাদা কোনো শখ-আহ্লাদ নেই, পোশাক-আশাক নেই, যা দেই তা দিয়েই মুখ বুজে খায়," বললেন কাওসারের স্ত্রী।

'মায়ের ডাক' সেসব পরিবারের একটি প্ল্যাটফর্ম, যাদের ছেলে বা স্বামী আওয়ামী শাসনামলে গুমের শিকার হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে মায়ের ডাক সংগঠিত হতে শুরু করে এবং ২০১৬ সাল থেকে কার্যক্রম জোরদার করে। 

একেকজন যোদ্ধা হয়ে উঠেছেন

মোশফিকুর রহমান জোহান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেন । ২০২১ সালের কথা। গবেষণার বিষয় করতে চাইলেন গুম হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর পরিবারের আশা, হতাশা, সংগ্রামকে। কিন্তু পৌঁছানোর উপায় জানা ছিল না। 

সহপাঠী ইয়াসমিন আরার সঙ্গে ভাবনাটি বিনিময় করলেন। ইয়াসমিনের মাধ্যমে যোগাযোগ হলো তখনকার এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলমের সঙ্গে। তারপর মায়ের ডাকের আফরোজা ইসলাম আঁখি এবং সানজিদা ইসলাম তুলির সঙ্গেও আলাপ হলো। সেসময় মায়ের ডাকের আহ্বানে শাহবাগ নয়তো প্রেস ক্লাবের সামনে মাসে/দুমাসে একটি করে মানববন্ধন হতো। গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা তাতে অংশ নিতেন। সেখানে শিশু আর বৃদ্ধের সংখ্যাই থাকতো বেশি। 

সন্তানের ছবি হাতে মায়ের কান্না। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

জোহান সেসব আয়োজনের ছবি তোলার মধ্য দিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। কিন্তু এটি তার কেন্দ্রিয় বিষয় নয়। তিনি পৌঁছাতে চাইলেন পরিবারগুলোর ভেতরে, ছুঁতে চাইলেন তাদের আবেগ, হতে চাইলেন পরিবারেরই একজন। উপার্জনক্ষম মানুষটির অনুপস্থিতে যে সংগ্রামে পরিবারগুলো লিপ্ত, তাতে সদস্যরা প্রতিজন হয়ে উঠেছেন একেকজন হয়ে যোদ্ধা, জীবিকাযোদ্ধা, জীবনযোদ্ধা। কথা বলে, ছবি তুলে, নোট রেখে জোহান সে যুদ্ধের সাক্ষী হতে থাকলেন। 

মায়ের ডাক যখন প্রেস ক্লাব বা শহীদ মিনারে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন  বা গণশুনানি করে, তখনও তিনি ছবি তুলেছেন। কখনো এগুলো গ্যালারিতে দেখানোর সুযোগ পাবেন, ভাবেননি। কিন্তু ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে সুযোগ তৈরি হয়। মায়ের ডাকের আয়োজনে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে প্রদর্শিত হচ্ছে তার তোলা ছবি, সংগৃহীত ডায়েরি এবং শোনার সুযোগ হচ্ছে অডিও রেকর্ড ইত্যাদি।  

প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয় গত ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে, চলেছে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

মানবাধিকার সংস্থা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের দেড় দশকে ৬৭৭ জন গুম হয়েছেন।

প্রদর্শনীর একটি ছবি। ভাঙা চেয়ারটি বিপর্যস্ত পরিবারের রূপক। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

তুমি লাল টুকটুকে শাড়ি পরো

গুম হওয়া আরেক ব্যক্তি ইসমাইল হোসেন বাতেনের স্ত্রী নাসরীন জাহান স্মৃতির ডায়েরিও প্রদর্শিত হয়েছে 'জান ও জবান' শীর্ষক ওই প্রদর্শনীতে। 

বাতেন গুম হন ২০১৯ সালে। তাদের সন্তান ইনামের তখন আড়াই বছর বয়স। বাতেনের অনুপস্থিতিতে ইনাম একবার অসুস্থ হয়ে গেলে স্মৃতি দিশেহারা হয়ে যান। তার মনে পড়ে আরেকবার ইনাম যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তখন ইসমাইলই যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছিলেন। হাসপাতালে পরিচিত একজনকে বলে ইনামের চিকিৎসা দ্রুততর করেছিলেন। আজ ইসমাইল কোথায় আছেন কোনো হদিস নেই, নাসরীনের বারবারই মনে পড়ছে তার কথা, কাছে থাকলে ইনামের যন্ত্রণা দ্রুত লাঘবের জন্য তিনি মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাতেন। 

হিসাব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, বাতেন আর স্মৃতির বিয়ের বয়স খুব বেশি নয়, অন্তত গুম হওয়ার আগে তো বেশি ছিলই না। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর স্মৃতি লিখছেন, 'আমি তোমার আসার আভাস পাচ্ছি। বাতাস আমাকে শিনশিন, কনকন, শনশন দুষ্টু ছোঁয়ায় আলতো করে স্পর্শ করে। বলছে, তোমার অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে যাচ্ছে, তুমি লাল টুকটুকে শাড়ি পরো, হাতে কাঁকন, পায়ে নূপুর, নাকে নথ। হঠাৎ দরজায় নক। দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললে চোখে চোখ রেখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলে...।' 

মায়ের ডাকের আহ্বানে মাসে/দুমাসে একটি মানববন্ধন আয়োজিত হতো। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

ছবি তোলার আগে জোহান চেষ্টা করেছিলেন পরিবারগুলোর আপন হয়ে উঠতে। বাচ্চাদের জন্মদিনে তিনি কেক নিয়ে যেতেন, যদিও তার নিজের সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এমন একটি বিষয়ের ছবি তোলা সহজ নয়। গত ৯-১০ বছরে মানুষগুলোর চোখের পানিও ফুরিয়ে গেছে। বাকি রয়ে গেছে সীমাহীন কষ্ট—  যা কাজের, চলাচলের, খাওয়ার, ঘুমানোর, অবসরের সময়ে হঠাৎ হঠাৎ ফুটে বের হয়। সেগুলো ক্যামেরায় ধরতে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ সময়। 

তাই তিনি পরিবারগুলোর এমন আপন হয়েছিলেন যে, আদনান চৌধুরীর বাবা মারা গেলে তাকে খবর দেওয়া হয়েছিল— যেভাবে আপনজনকে দেওয়া হয়।  

এরজন্য প্রয়োজন ছিল বিশ্বাস অর্জন করা, তাদের বিপদের বন্ধু হওয়া। জোহান প্রস্তুত হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। সময় যতই লাগুক তিনি মাঠ ছাড়বেন না। পুরান ঢাকা থেকে মিরপুর— তিনি যাতায়াত অব্যাহত রাখলেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়িতে যান। যে বাড়িতে শিশু আছে, সে বাড়িতে চিপস–চকলেট আর যে বাড়িতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আছেন, তাদের জন্য ফল নিয়ে যান। সম্পর্ক গভীর হতে থাকে ক্রমশ। একসময়ে এমন হয় যে, গেলে ভাত না খেয়ে ফিরতে পারেন না। 

জোহান একজন আলোকচিত্রী বা ছবি তুলতে এসেছেন, তা মনে থাকে না কারো। জোহান ধীরেসুস্থে ছবি তোলেন বৃদ্ধের উদাস হয়ে যাওয়ার, মায়ের সন্তানকে জড়িয়ে ধরার, নববিবাহিত দম্পতির ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার ছবির, মায়ের নিশ্চুপ বসে থাকার, পিতার হাতে সন্তানের ছবি ধরে রাখার, ঘড়িতে সময় বয়ে যাওয়ার, আয়না ঝুলতে থাকার, মেয়ের পড়ার টেবিলের, ছেলের মাকে জড়িয়ে ধরার বা পুরানো ফটো অ্যালবামের।

প্রদর্শনীর শিরোনাম জান ও জবান। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

যদি চঞ্চল ফিরে আসে!

জোহান বুঝতে পারেন পরিবারগুলো দুঃখের এক অথৈ সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে। পরিচালনার ভার বইতে হচ্ছে নারীকে, স্বামী গুম হওয়ার হয়তো ৪-৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম দুবছর তাদের ঘুরে বেড়িয়ে কেটেছে। তারপর সন্তান এসেছে, তখনও কল্পনাতে ছিল না বছরখানেকের মধ্যে কী অসহনীয় জীবন অপেক্ষা করছে তার জন্য! সন্তান ছাড়াও সংসারে আছেন বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি, তাদের চিকিৎসা খরচ, বাসা ভাড়া আর খাবার খরচ তো আছেই।  

প্রতিবেশীদের মধ্যে এই পরিবারগুলো নিয়ে একটু–আধটু দ্বিধা-সংকোচও রয়েছে। কারণ সরকার এদের প্রতিপক্ষ। তাছাড়া তারা জানেন না তাদের প্রতীক্ষার শেষ আছে কি–না। তাদের সন্তানেরা বড় হচ্ছেন পরিচয় সংকট নিয়ে। 

জোহান বললেন, "আমাদের মতো সমাজে পিতৃপরিচয় ছাড়া না স্কুলে, না খেলার মাঠে— কোথাও দাঁড়ানো যায় না।" 

প্রদর্শনীর একটি আলোকচিত্র। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

কীভাবে চলে পিতৃহীন, স্বামীহারা বা পুত্রহারা এই পরিবারগুলো? 

জোহান বললেন, "বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন পরিবারগুলোর কর্তা, গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী। বিয়ের আগে পিতার হাত ধরে রাস্তা পার হয়েছেন, বিয়ের পরে স্বামীর। এখন নিজেই পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধ সবাইকে রাস্তা পার করান। কিন্তু এ পর্যায়ে আসতে তাকে বহুমুখী সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে।" 

"একটি যেমন, নিজের পরিবার থেকে বলা হতো আবার বিয়ে করো। মোহাম্মদ হোসেন চঞ্চলের (গুম হয়েছেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে) স্ত্রী  উত্তরে বললেন, 'এটা ২০২২ সাল হলেও আমি সেই ২০১৩ সালেই বাস করি। চঞ্চল যেকোনো দিন ফিরে আসবে, আর এসে তো আমাকেই খুঁজবে। না পেলে তার কেমন লাগবে, আমি ভাবতেও পারি না। কাজেই আর কাউকে আমি বিয়ে করতে পারব না'," জানালেন জোহান।

ইসমাইল হোসেন বাতেনের স্ত্রী নাসরীন জাহান স্মৃতির ডায়েরির পাতা। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

সময় আটকে আছে

সেলিম রেজা পিন্টুর বাড়িতেও সময় আটকে আছে। তিনিও গুম হয়েছেন ২০১৩ সালে। এখনও তার বাড়িতে সিআরটি মনিটর, ওই বছরের ক্যালেন্ডার, ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যাট। ঘরটা অন্ধকারাচ্ছন্ন, পিন্টু না ফেরা পর্যন্ত আলো জ্বলবে না কোনোদিন। 

জোহানের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে সাজেদুল ইসলাম সুমনের মেয়ে আরোয়ার ছবি দিয়ে— যে হাত দিয়ে কান্না ঢাকছে। পরের ছবিটি আরোয়ার বোন রাইতার লেখা একটি পোস্টারের। তাতে লেখা, 'তোর হাসি দেখলে আমার হিংসা লাগে... কান্না দেখবি? থামাতে পারবি তো?' 

জোহান এ কথাটির ব্যখ্যা দিয়ে বললেন, "মায়ের ডাকের আকুতি, হাহাকার দেখে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা হাসি–ঠাট্টা করতো। বলত, আরেকটি বিয়ে করে দেখো কোথায় গিয়ে লুকিয়ে আছে ইত্যাদি। তখন রাইতা রাগ করে এভাবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে।" 

এরপরে সুমনের মা হাজেরা খাতুনের ছবি— যিনি আরও চারজন মাকে নিয়ে শুরু করেছিলেন মায়ের ডাক।  

গুম হওয়া ব্যক্তি বৃদ্ধ বাবা-মা। ছবি সৌজন্য : মোশফিকুর রহমান জোহান

তারপর জোহান দেখালেন ২০১২ সালে গুম হওয়া তরিকুল ইসলামের পুত্র ও স্ত্রীর ছবি। ছবি দেখে মনে হলো, জগৎসংসারে তাদের আপন বলতে কেউ নেই আর। জোহান জানালেন, "আসলেই তারা একা। সেঁলাইয়ের কাজ করে একরকম জীবন চালাচ্ছেন তরিকুল ইসলামের স্ত্রী বেবি।" 

তারপর দেখালেন এক পিতার ছবি— যিনি সাদা পাঞ্জাবীর পকেটে সব সময় ছেলের ছবি নিয়ে ঘোরেন।  জোহান বললেন, "এই প্রদর্শনীর ছবিতে অনেক প্রতীকের ব্যবহার দেখতে পাবেন; যেমন— ঘড়ি, পায়রা, আয়না, পর্দা, ভাঙা চেয়ার। বিশেষ করে দরজা অনেকবার এসেছে। আশা, নিরাশা, অপেক্ষা, বিপর্যয় ইত্যাদি বোঝাতে এগুলো এসেছে ছবিতে।" 

"ষোলটি পরিবারের ছবি আছে এই প্রদর্শনীতে। কান্নাকাটি, হাহাকার নেই ছবিগুলোতে; তবে বিষন্নতা, ছায়াচ্ছন্নতা দেখবেন । ছবিগুলো প্রচলিত অর্থে সুন্দর নয়, তবে দর্শকের মনে দাগ কেটে যাবে। স্বজন হারানোর ব্যথা সবার মনেই অনুভূত হবে। আশাকরি, দর্শকও পরিবারগুলোর বেদনায় সমব্যথী হয়ে একটি সম্মিলিত পরিবার হয়ে উঠবেন," যোগ করলেন জোহান।

Related Topics

টপ নিউজ

গুম / গুমের শিকার / প্রদর্শনী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশের’ ব্যবসায় ধস, এক বছরে ১,০০০ কোটি রুপির লোকসান
  • ১০ মডেলের হার্টের রিংয়ের দাম ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত কমাল সরকার
  • ৩৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপি: এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোকের নির্দেশ
  • মাহফুজ আলম হয়তো ঘণ্টাখানেক পর পোস্টটি ডিলিট করবেন: সালাহউদ্দিন
  • রেজ হাউস: পয়সা খরচ করে ভাঙচুর করা যায় যেখানে!
  • ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

Related News

  • সরকার দায়িত্বশীল আচরণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে: নাহিদ
  • আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত ‘মরিয়া’ প্রমাণ করল তারা ভারতের লোক: সালাহউদ্দিন
  • আ.লীগ আমলে দলের নেতাকর্মী গুমের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল বিএনপির
  • সেনা সদস্যদের গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনা সদর দপ্তর
  • বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশের’ ব্যবসায় ধস, এক বছরে ১,০০০ কোটি রুপির লোকসান

2
বাংলাদেশ

১০ মডেলের হার্টের রিংয়ের দাম ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত কমাল সরকার

3
বাংলাদেশ

৩৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপি: এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোকের নির্দেশ

4
বাংলাদেশ

মাহফুজ আলম হয়তো ঘণ্টাখানেক পর পোস্টটি ডিলিট করবেন: সালাহউদ্দিন

5
ফিচার

রেজ হাউস: পয়সা খরচ করে ভাঙচুর করা যায় যেখানে!

6
বাংলাদেশ

ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net