Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

আমঝুপি নীলকুঠি: কৃষকের বেদনার নীলাভ স্মৃতি 

আমঝুপি নীলকুঠি: কৃষকের বেদনার নীলাভ স্মৃতি 

ফিচার

অনুস্কা ব্যানার্জী
27 October, 2024, 12:35 pm
Last modified: 27 October, 2024, 12:34 pm

Related News

  • মেলায় এসেছে পূর্ববঙ্গের নীল চাষ ও বিদ্রোহ এবং সতীদাহ প্রথা নিয়ে দুটি আকরগ্রন্থ
  • কখনো কি ভেবেছেন, পরীক্ষায় পাশ করতে কেন ‘৩৩’ নম্বর লাগে?
  • একসময়ের অন্ধকার ইতিহাসের সাক্ষী ‘নীল চাষ’ এখন যেভাবে আশীর্বাদ 
  • সোফিয়া দুলীপ সিং: যুক্তরাজ্যে নারীদের ভোটাধিকারের জন্য লড়েছেন যে ভারতীয় রাজকন্যা
  • ভারতবর্ষে পথ্য হিসেবে দেশীয় খাবারেই ভরসা রেখেছিলেন ব্রিটিশরা

আমঝুপি নীলকুঠি: কৃষকের বেদনার নীলাভ স্মৃতি 

অনুস্কা ব্যানার্জী
27 October, 2024, 12:35 pm
Last modified: 27 October, 2024, 12:34 pm

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

'বাড়া ভাতে ছাই তব বাড়া ভাতে ছাই 
ধরেছে নীলের যমে আর রক্ষা নাই।'

সময়টা ১৮৬০। তখনও নীলচাষ গল্প হয়ে যায় নি। বরং সেই জীবন্ত ঘটনা দীনবন্ধু মিত্রের "নীলদর্পণ"-এর বদৌলতে পৌঁছোচ্ছে ঘরে ঘরে। অত্যাচারী নীলকরের গল্প শুনিয়ে মায়েরা দস্যি ছেলেদেরকে ঘুম পাড়াচ্ছেন ভরদুপুরে। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন তখন একশ বছর ছাড়িয়েছে। সিপাহি বিদ্রোহের ধাক্কাটা কেবল সামলে উঠছে ব্রিটিশ। ভারতবর্ষ তখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে জর্জরিত। ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ অত্যাচারী ব্রিটিশ রাজের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ। কৃষকের গোলাভরা ধান আর পুকুরভরা মাছের সেই সুখের দিন এই একশ বছরে হয়ে গেল স্মৃতি। আর এই সময়ের মধ্যে আস্তে আস্তে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিতে শুরু করল নীল চাষ। 

নীল চাষের ইতিহাস

সে সময় ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের কারণে বস্ত্রশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল ব্যাপকভাবে। আর বেড়েছিল নীলের চাহিদা। কেননা কাপড়ের জন্যে তখনও কৃত্রিম রং তৈরি হয়নি ইংল্যান্ডে।তাই ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের উর্বরা মাটিতে নীল চাষ করতে চেয়েছিল নিজেদের প্রয়োজনে।

সে নীল ইংরেজদের জন্যে পৌষমাস ডেকে আনলেও বাংলার কৃষকের জন্যে হয়ে দাঁড়াল সর্বনাশ। কৃষকরা হয়ে গেল নীলের হাতে বন্দি। নীল চাষ শুনলেই চোখের সামনে যেন ভেসে ওঠে অসহায় কৃষকের নিরুপায় মুখ আর অত্যাচারী ইংরেজ সরকারের নিষ্ঠুরতা। নীল চাষ কেড়ে নিয়েছিল কৃষকের অন্ন আর শস্য চাষের অধিকার। দাদনের ফাঁদে পড়ে বহু কৃষককে হারাতে হয়েছে সর্বস্ব। 

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

১৪৯৮ সালে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা সমুদ্রপথে ভারতবর্ষে আসবার পথ আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে বিদেশি বণিকরা মশলা আর নীলের প্রলোভনে ভারতবর্ষের দিকে হাত বাড়ায়। ব্রিটিশরা তাদের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে সুকৌশলে হটিয়ে দেওয়ার পর নীলের ফায়দা লুটতে একেবারেই ভোলেনি।

নীল চাষের জন্যে বাংলার ভূমি ছিল উৎকৃষ্ট। পশ্চিম ভারত ও অন্যান্য জায়গা থেকে যে পরিমাণ নীল পাওয়া যেত, বাংলা থেকে পাওয়া যেতে শুরু করে তার দ্বিগুণ । সুতরাং সুযোগসন্ধানী ব্রিটিশ বাংলার জমির এক কণা ছাড়তে রাজি হলো না। 

ঐতিহাসিক আমঝুপি নীলকুঠি

আজও বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানের নীলকুঠি নীল চাষের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। নীলকুঠির দেয়ালে দেয়ালে এখনো যেন অনুরণিত হয় নীল চাষির আর্তনাদ। মেহেরপুর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে "আমঝুপি"তে এমনই এক নীলকুঠির অবস্থান। পলাশীর যুদ্ধের শেষ নীলনকশা হয়েছিল যে আমঝুপির নীলকুঠিতে আজ সেই নীলকুঠি থেকে ঘুরে আসা যাক। 

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

বিশাল জায়গা জুড়ে আমবাগান। আমবাগান পেরোলেই নীলকুঠির গেট। গেট পার হতেই বিশাল বারান্দা, ভেতরে দালানঘর। সে দালানঘর সাবেকি ধাঁচের হলেও তাতে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া স্পষ্ট৷ দালানের ভেতরে থাকা ফায়ারপ্লেস কিংবা স্নেকপ্রুফ কাঠের মেঝে জানান দেয় পাশ্চাত্য রীতি স্থাপত্যশৈলীর।

নীলকুঠির শুধু সামনের ও পেছনের ছাদে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাজবেস্টস, অন্যগুলোতে আড়াবর্গা। আয়তাকার এই দালানঘরের মধ্যে রয়েছে তেরোখানা ছোটো-বড়ো কক্ষ। আছে পুরোনো রেকর্ডরুম, নায়েবদের ঘর, কাছারি ও কয়েদখানা।

যে সমস্ত নীলকর সাহেব এই এলাকায় নীলচাষের তদারকি করতেন, আমঝুপির এই নীলকুঠি ছিল তাদেরই আস্তানা। নীলকর সাহেবরা কৃষকদের দুবেলা দুমুঠো ভাতের জোগান কীভাবে হবে সে কথা খুব একটা ভাবতেন না। নীলচাষে অস্বীকৃতি জানালে সে কৃষককে ছুড়ে ফেলা হতো মৃত্যুকূপে। কিন্তু এসব নীলকর সাহেবই নিজেদের জীবনযাপনে ছিলেন শৌখিন।

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

ঘরের সাথে দুপাশে লাগোয়া ঝুলবারান্দায় আলো হাওয়ার কমতি নেই।বারান্দায় নকশা কাটা রেলিং। এই বারান্দা থেকে উত্তর দিকে মুখ করে দুপাশ জুড়ে ফুলের বাগান। সে বাগানে রঙিন ফুলের গালভরা হাসি দেখলে চোখ আটকে যাবে যে কারো। ফুল বাগানের মাঝখানটাতে আবার নদীমুখো চলাচলের রাস্তা।

নীলকুঠির পেছন দিকের বারান্দা থেকে পুবদিকে নামলেই দেখা যায় একখানা আকর্ষণীয় ঘর। বেশ উঁচু একটা স্তম্ভের ওপরে ছোট্ট ঘর। না মানুষ থাকবার ঘর নয়, কবুতরের৷ লেখা আছে 'ডাক বহনকারী কবুতরের ঘর'। লেখাগুলো খুব পুরোনো নাহলেও কবুতরের ঘরখানা পুরোনোই বটে। 

কেন সবসময় নদী-তীরে নীলকুঠি?

সে সময়ে নীল গাছ থেকে রং উৎপাদন পদ্ধতি একেবারেই সহজসাধ্য ছিল না। কেননা তখনও আসেনি অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

নীল গাছ থেকে নীল রং তৈরির জন্য প্রয়োজন পড়ত প্রচুর জলের। এজন্যে নীল চাষ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ সবটার জন্যে জলের চাহিদা মেটাতে নীল কারখানাগুলো নদী তীরবর্তী এলাকায় তৈরি করা হতো। তা শুধু জল থাকলে চলবে কেন? এত পরিমাণ জল বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঝঞ্ঝাও তো কম না। সে ব্যবস্থা করা গেল হস্তচালিত পাম্পের সাহায্যে।

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

নদীর জল এই পাম্পের মাধ্যমে তুলে সরাসরি নেয়া হতো নীল কারখানার চৌবাচ্চায়। আমঝুপি নীলকুঠিও একই কারণে গড়ে উঠেছিল নদীর তীরে। নদীর নাম কাজলা। যেমনি নাম, তেমনি জলের ধারা। পরিষ্কার, স্বচ্ছ জল। কাজলা নদীর দিকে উত্তরমুখী করেই বানানো হয়েছিল আমঝুপি কুঠিখানা। 

আমঝুপি নীলকুঠির ইতিহাস ও জনশ্রুতি

আমঝুপি নীলকুঠির সঠিক ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক আছে বিস্তর। কিংবদন্তি বলে, পলাশীর যুদ্ধের আগে মির জাফর আর ষড়যন্ত্রীদের সাথে রবার্ট ক্লাইভের শেষ বৈঠক বসেছিল এই নীলকুঠিতে । যে বৈঠক না হলে হয়তো বাংলার স্বাধীনতা সূর্যকে কেড়ে নিয়ে যেতে পারত না ব্রিটিশরা।

তবে আরেকটি মত এই যে, ১৭৭৮ সালে ক্যারেল ব্লুম নামের এক ইংরেজ নদীয়া জেলায় সর্বপ্রথম নীল চাষ ও নীলকুঠি স্থাপন করা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮১৮ থেকে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে মেহেরপুরের আমঝুপি, ভাটপাড়া, কাথুলি, বামন্দীসহ বেশ কিছু স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়।

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

তবে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, আমঝুপির নীলকুঠি বয়ে চলেছে বাংলার নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রীদের পদচিহ্ন থেকে শুরু করে নীলচাষের নির্মম ইতিহাস। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর এ কুঠির দায়িত্ব নেন মেদিনীপুরের জমিদার। কিন্তু দেশভাগের পর ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হলে কুঠির দায়িত্ব বর্তায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের হাতে।

বর্তমানে ভবনটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। এই কুঠির নির্মাণকাল নিয়ে যতই তর্কবিতর্ক থাকুক না কেন, ইংরেজ কুঠিয়াল কেনি, সিম্পসেন, ফার্গুসেনের সতীর্থদের অত্যাচারের স্মৃতি কিন্তু এই নীলকুঠিতে এখনো সযত্নে বন্দি। 

কাজলা নদীর ওপর দিয়ে নীলকুঠির ঘেরা অংশটুকু জুড়ে বাঁধানো রয়েছে ব্রিজ। ব্রিজের চারদিক জুড়ে রেলিং।বিকেলবেলা রোদ পড়লে কাজলা নদীর শীতল হাওয়া বয়ে চলে। সে হাওয়া ঠান্ডা করে দেয় প্রাণমন। কাজলা নদীর পাড়ে এখনো রয়ে গেছে সাহেবদের বসবার জন্যে তৈরি বাঁধানো জায়গা।

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

তবে কিনা বৈশাখ মাসে ইদানীং এই কাজলা নদীতে জল থাকে না। প্রচণ্ড দাবদাহে কাজলা নদী শুকনো খটখটে হয়ে যায়। কাজলা অপরূপ রূপ যে আগে দেখে নি, সে এই শুকিয়ে যাওয়া জায়গাটাকে নদী বলে একেবারেই মানতে চাইবে না। যেন সবুজ মাঠ। তখন কাজলা নদীতে গরু চড়াতে নিয়ে আসে স্থানীয় রাখালেরা। নীলকুঠির ওপর নির্মিত রেলিংটার জন্যে নদী শুকোলেও এই কুঠির সীমানায় চাইলেই ঢুকে পড়া সম্ভব হয় না। 

এই কুঠির পুরো জায়গা জুড়ে ছোটো ছোটো বসবার জায়গার অন্ত নেই। কোথাও বা রয়েছে মাথার ওপর ছাউনির ব্যবস্থা। হয়তো সেসব জায়গায় বসে নীলকররা বাংলার কৃষকদের সর্বনাশের নীলনকশা আঁকতেন। নীলকুঠির ভেতরে সবুজের সমারোহ চোখে পড়বার মতো। যেন সবুজ রঙের গালিচা বিছানো। কুঠির দালান পেরোতেই ফাঁকা জায়গাজুড়ে নানা ধরনের গাছ আর মাঠজুড়ে সবুজ ঘাস৷ 

আমঝুপি নীলকুঠি থেকে খানিকটা দূরের একটি পুরোনো আমলের বাড়ি বর্তমানে আনসার ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয়, এসব পুরোনো বাড়ি ছিল নীলকরদের কর্মচারীদের। এই আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা আমঝুপি নীলকুঠির নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে থাকেন।

নীলকুঠির গেটের এক পাশে রয়েছে একটি ছোট্ট ঘর, যেটি টিকিট কাউন্টার। এই কাউন্টার থেকে দেশি পর্যটকরা মাত্র ১৫ টাকা প্রবেশমূল্য পরিশোধ করে ঢুকতে পারবেন ঐতিহাসিক নীলকুঠিতে। তবে বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রবেশমূল্য খানিকটা বেশি। 

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

নীলকুঠির ভেতরে পুরোনো দিনের জানালার সাথে ছবি তুলছিলেন এক দর্শনার্থী। আলাপ করে জানতে পারলাম তিনি সাতক্ষীরা থেকে আমঝুপি নীলকুঠি দেখতে এসেছেন। এই দর্শনার্থী হুমায়রা আফরিন জানালেন, 'নীলকুঠি দেখতে এসে খুবই ভালো লাগছে। অনেকদিন ধরে নীলকুঠি দেখবার খুব ইচ্ছে ছিল। আমি এসেছি আমার বান্ধবীর নানার বাড়িতে। তবে যেটা দেখে হতাশ হয়েছি, তা হচ্ছে নীলকুঠির আশেপাশে থাকা-খাওয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে যারা আসবেন, তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হবে।'

আরেকজন পর্যটক অঞ্চল ভট্টাচার্য জানালেন, তিনি মেহেরপুরের স্থানীয় হলেও বছরে অন্তত কয়েকবার নীলকুঠিতে ঘুরতে আসেন। ২০ বছর আগে নীলকুঠি যত ঝকঝকে ছিল, এখন তা নেই। ফুলের বাগানগুলোতেও ফুলের বৈচিত্র্য কমেছে অনেকখানি। কাজলা নদী শুকোলেও খননের উদ্যোগ নেয়া হয় না। নীলকুঠিকে সংরক্ষণ করতে হলে কর্তৃপক্ষকে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। নইলে কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে এই কুঠি। 

কীভাবে যাবেন নীলকুঠি?

ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মেহেরপুরের বাস টিকিট কেটে আমঝুপিতে নামতে হবে। এসব বাস আমঝুপি হয়ে মেহেরপুর শহরে ঢোকে। সেক্ষেত্রে না চিনলে কন্ডাক্টরকে আমঝুপিতে নামিয়ে দেয়ার কথা বলে রাখা ভালো।

আমঝুপিতে নেমে ইজিবাইকে ১০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যাবেন ঐতিহাসিক নীলকুঠিতে। নীলকুঠির আশেপাশে খাওয়ার কোনো হোটেল নেই। কয়েকটা চায়ের দোকান রয়েছে। তাই দুপুরে কিংবা সকালে গেলে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে আমঝুপিতে গিয়েই। 

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

বছরে প্রায় ২০ হাজার পর্যটক নীলকুঠি দেখতে ছুটে আসেন মেহেরপুর জেলার আমঝুপিতে। অথচ কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা গেল, নীলকুঠির আশেপাশে ব্যবহারযোগ্য কোনো টয়লেট নেই। যে টয়লেট আছে, সেটিতে নেই পানির ব্যবস্থা। 

১৯৭৮ সালে ৮২ লাখ টাকা খরচ করে নীলকুঠির মূল ভবনটির সংস্কার কাজ করা হয়। এরপর পর্যটকদের জন্য এই নীলকুঠি করা হয়েছিল উন্মুক্ত। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নীলকুঠির ৩ একর ৬১ শতক জমি অধিগ্রহণ করে। তবে বাকি ৬১ একর জমি পড়ে আছে অরক্ষিত অবস্থায়। এই জায়গাটিকে সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে আনা হয়নি। এই জায়গাটির মধ্যে কয়েকটা পুরোনো বাড়ি রয়েছে। এই সমস্ত বাড়িগুলো যত্নের অভাবে পোড়ো হয়ে যাচ্ছে । অথচ সংস্কার করে বাঁচানো গেলে এসব বাড়ির ভেতর থেকে হয়তো অনেক না জানা ইতিহাস উদ্ধার করা যেত। 

ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস

ব্রিটিশ শাসনের ২৭৫ বছর পেরিয়েছে। সেই সাথে নীলকুঠিরও বয়স বেড়েছে। কিন্তু উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ আর সংস্কারের অভাবে নীলকুঠি তার জৌলুস হারিয়ে ফেলতে বসেছে। নীলকুঠি বাংলার কৃষকদের বেদনার নীলাভ স্মৃতি তো বটেই। পাশাপাশি নীলবিদ্রোহের সেই আগুন দিনের স্মৃতিও এই নীলকুঠি।নবীন মাধব, বেনী মাধবের মতন বিদ্রোহী কৃষকনেতা যাঁরা নীলবিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারাও কিন্তু বেঁচে আছেন নীলকুঠির জ্বলজ্বলে অধ্যায় হয়ে।

Related Topics

টপ নিউজ

নীলকুঠি / নীলকুঠী / নীল চাষ / নীলকর / আমঝুপি নীলকুঠি / ব্রিটিশ শাসন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি
  • বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই
  • ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

Related News

  • মেলায় এসেছে পূর্ববঙ্গের নীল চাষ ও বিদ্রোহ এবং সতীদাহ প্রথা নিয়ে দুটি আকরগ্রন্থ
  • কখনো কি ভেবেছেন, পরীক্ষায় পাশ করতে কেন ‘৩৩’ নম্বর লাগে?
  • একসময়ের অন্ধকার ইতিহাসের সাক্ষী ‘নীল চাষ’ এখন যেভাবে আশীর্বাদ 
  • সোফিয়া দুলীপ সিং: যুক্তরাজ্যে নারীদের ভোটাধিকারের জন্য লড়েছেন যে ভারতীয় রাজকন্যা
  • ভারতবর্ষে পথ্য হিসেবে দেশীয় খাবারেই ভরসা রেখেছিলেন ব্রিটিশরা

Most Read

1
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি

2
বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি

3
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই

4
বাংলাদেশ

‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা

5
আন্তর্জাতিক

১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab