Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
September 29, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, SEPTEMBER 29, 2025
যেভাবে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারে সাহায্য করেছিল ‘জিন অ্যান্ড টনিক’

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
18 October, 2022, 05:45 pm
Last modified: 18 October, 2022, 05:59 pm

Related News

  • বিশ্বের প্রথম ব্যক্তিগত জিন-সম্পাদনা চিকিৎসায় রোগমুক্তি শিশুর
  • ম্যালেরিয়া রোগীর ৮৮% রাঙ্গামাটি, বান্দরবানে; ২০৩০ সাল নাগাদ শূন্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
  • দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা তহবিল বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র
  • এককোষী জীবের জিন ব্যবহার করে ইঁদুর তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা
  • শত বছরের চেষ্টার পর মিসরকে ম্যালেরিয়ামুক্ত ঘোষণা 

যেভাবে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারে সাহায্য করেছিল ‘জিন অ্যান্ড টনিক’

ভারতের প্রান্তিক সব অঞ্চল দখল ও শাসন করতে যখন ব্রিটিশ সেনাদের পাঠানো হতো তখন যেন তারা অসুখ বাঁধিয়ে না বসে তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই পান করতে হতো কুইনাইন। কিন্তু সমস্যা ছিল একটাই। এই কুইনাইন ভীষণ তেতো।
টিবিএস ডেস্ক
18 October, 2022, 05:45 pm
Last modified: 18 October, 2022, 05:59 pm
জিন আর টনিকই ভারতে আসা লাখো ব্রিটিশের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। এক কথায় বললে ইতিহাস বদলে দিয়েছিল এই জিন আর টনিক ওয়াটার। ছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি

উপমহাদেশের জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে জিন আর টনিক অন্যতম। বেশ কয়েক বছর ধরেই ককটেল প্রেমীরা আবারও একে টেনে তুলেছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। দাদার আমলের কেবিনেট থেকে নামানো জিন-টনিক পরিবেশিত হচ্ছে পার্টির গ্লাসে গ্লাসে। ১৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক জিন ও টনিক দিবস। নতুন প্রজন্মের ককটেলপ্রেমীদের অনেকেই হয়তো জানেন না জিন-টনিকের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের ইতিহাস। তাই উদযাপনের আগে জেনে নেওয়া যাক জিন-টনিক কীভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনকে পোক্ত করে টানা দু'শ বছর উপমহাদেশের মানুষকে পরাভূত করে রাখার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।

জিনের উদ্ভাবন কে করেছিল?

জিন আদতে বেরি জাতীয় জুনিবার ফলের স্বাদযুক্ত ডিস্টিল্ড অ্যালকোহল ড্রিংক। কিন্তু বেরি ফলের স্বাদ থেকে যে এত দারুণ কিছু হতে পারে সেটা কে আবিষ্কার করল? অনেকে বলে মধ্যযুগ থেকেই জিনের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে ১৭ শতকের দিকে নেদারল্যান্ডসে জিন একরকম জাতীয় পানীয় হয়ে ওঠে।

তবে তখনও একে জিন নামে ডাকা হতো না। ডাচরা একে জেনিভার কিংবা জুনিপার নামেই ডাকত। জেনিভার নামটা অবশ্য সৈন্যরা ব্যবহার করত। বড় বড় দু-তিন পানপাত্র ভর্তি জেনিভার খেয়ে যুদ্ধে যেত সৈন্যরা। জিন পানের এই বিশেষ কেতা তখন বীরত্বসূচক ছিল। এখান থেকেই 'ডাচ কারেজ' কথাটির উদ্ভব।

১৭ শতকের শেষ থেকে শুরু করে ১৮ শতকের শুরুর দিকে অবশ্য জিন গরীব মানুষের সস্তা পানীয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এমনকি জিনকে সমাজের সামগ্রিক অধঃপতনের জন্যও দায়ী করা শুরু হয়। এর পরিবর্তে হালকা ব্রিটিশ এল বিয়ার খাওয়া ভালো ছিল বলে প্রচার লাভ করে।

ধীরে ধীরে অবশ্য জিন সামাজিক পদোন্নতি লাভ করে অভিজাতদের ঘরে প্রবেশ করে নিজের অবস্থান পোক্ত করে।

টনিক ওয়াটারের জন্ম কীভাবে?

জিনের সবচেয়ে ভালো সঙ্গী টনিক ওয়াটার। তখনও অবশ্য এই হিট জুটির মিল হয়নি। তবে কাকতালীয়ভাবে এই টনিক ওয়াটারের জন্মও সেই একই সময় যখন ডাচরা মারামারি কাটাকুটি করে জিন পানে ব্যস্ত ছিল।

১৭ শতকে স্প্যানিশরা আবিষ্কার করে বর্তমান পেরুর এক আদিবাসী গোষ্ঠী সব ধরনের জ্বরের দাওয়াই হিসেবে সিনচোনা বা সিনকোনা গাছের ছাল-বাকল ব্যবহার করে। অল্প সময়েই পুরো ইউরোপ জুড়েই তা ম্যালেরিয়ায় মহৌষুধ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তারা এটাও আবিষ্কার করে এই বাকল শুধু ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, প্রতিষেধক হিসেবেও দারুণভাবে কাজ করে। সিনকোনার বাকলের যে উপাদানটি জাদুর মতো কাজ করছিল তা হলো কুইনাইন। আর এভাবেই কুইনাইন হয়ে ওঠে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার।

১৮৪০-এর দশকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা যখন তুঙ্গে তখন ভারতে নিয়োগপ্রাপ্ত সৈন্য ও অফিসারদের প্রতিষেধক হিসেবে বছরে প্রায় ৭০০ টন সিনকোনা বাকল ব্যবহৃত হতো।

ভারতের প্রান্তিক সব অঞ্চল দখল ও শাসন করতে যখন ব্রিটিশ সেনাদের পাঠানো হতো তখন যেন ভ্যাপসা-গরমে তারা অসুখ বাঁধিয়ে না বসে তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই পান করতে হতো কুইনাইন। কিন্তু সমস্যা ছিল একটাই। এই কুইনাইন ভীষণ তেতো।

কুইনাইনের উপযোগিতা কারও অজানা ছিল না। তারপরও সৈন্যরা তেতো স্বাদ থেকে বাঁচতে প্রায়ই নিয়মিত সেবন করাটা এড়িয়ে যেত। সেই সময় স্বউদ্যোগী হয়ে কয়েকজন আবিষ্কার করল সোডা পানি আর চিনির সঙ্গে মিশিয়ে কুইনাইন পান করাটা খুব একটা মন্দ না। আর এভাবেই জন্ম নিল টনিক ওয়াটার।

ভারতবর্ষে ব্রিটিশ রাজত্ব কায়েমে জিন ও টনিক কীভাবে সাহায্য করেছিল?

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুকুটে ভারত ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল রত্ন। ভারতবর্ষের গুরুত্ব এতটাই ছিল যে খোদ রানি ভিক্টোরিয়াই তার উপাধি হিসেবে ভারত সম্রাজ্ঞী খেতাব যোগ করেন। রাজা ষষ্ঠ জর্জ পর্যন্ত তাঁর উত্তরসূরীরা এই খেতাব বহন করে গেছেন।

এটা পরিষ্কার ছিল যে ভারতবর্ষের শাসনভার ধরে রাখতে হলে ঠাণ্ডা মাথার দক্ষ কিছু মানুষ দরকার। আর তাই ব্রিটিশরা তাদের সবচেয়ে সেরা প্রশাসকদের পাঠাতো ভারতে। এই ব্রিটিশ অফিসারদের সুস্থ রাখতে সবচেয়ে জরুরি জিনিসটি টনিক ওয়াটার।

কার মাথায় প্রথম অ্যালকোহলের সঙ্গে কুইনাইন পানের আইডিয়া এসেছিল তা জানা না থাকলেও এটা নিশ্চিত কোনো শৌখিন মদিরাপ্রেমীই এর উদ্ভাবন করেছেন। টনিক ওয়াটারের সঙ্গে কুইনাইনকে ওষুধ হিসেবে না খেয়ে সেটাকে রীতিমতো আয়োজন করে জিনের সঙ্গে খাওয়া শুরু হলো। রাতের খাবার সেড়ে রেশনে পাওয়া জিনের সঙ্গে টনিক ওয়াটার পান নিত্যদিনের আচারে পরিণত হলো।

আর এভাবেই মিলন ঘটল জিন আর টনিক ওয়াটারের।

সাম্রাজ্যজয়ী এই ককটেইল পান শুধু শৌখিন আচারই ছিল না, এই জিন আর টনিকই ভারতে আসা লাখো ব্রিটিশের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। সেই সঙ্গে ভারতেও তারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করার সুযোগ পেয়েছিল। এক কথায় বললে ইতিহাস বদলে দিয়েছিল এই জিন আর টনিক ওয়াটার।

পরের ঘটনা সবার জানা। ব্রিটিশদের সেই শক্ত মুঠো থেকে ভারতবর্ষকে ছাড়িয়ে আনতে দুটো বিশ্বযুদ্ধ, লাখো শহীদের আত্মত্যাগ আর কয়েক হাজার ঘণ্টার বিরতিহীন সমঝোতা আলোচনার প্রয়োজন পড়েছিল। এরপরই তাদের তাড়ানো সম্ভব হলো।

সাম্রাজ্যবাদী সময়টা আমরা পার করে এসেছি বটে। তবে আজও রয়ে গেছে জিন আর টনিক ওয়াটার। যুগ বদলালেও আবারও নতুন করে দম্ভের সঙ্গেই নিজেদের রাজত্ব বিস্তার করে চলেছে এই ককটেল যুগল।


  • মানিকন্ট্রোল থেকে অনুবাদ: তামারা ইয়াসমীন তমা

Related Topics

টপ নিউজ

কুইনাইন / ম্যালেরিয়া / ব্রিটিশ সাম্রাজ্য / জিন / জিন ও টনিক

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি: টিবিএস
    প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, মনে হচ্ছিল জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি: মির্জা ফখরুল
  • ছবি: টিবিএস
    বেনজীরের অর্থপাচার মামলায় রিমান্ডের আদেশ শুনে কাঠগড়ায় ঢলে পড়লেন আসামি মার্কিন নাগরিক এনায়েত
  • ছবি: ইনস্টাগ্রাম
    তামিল সুপারস্টার থেকে রাজনীতিবিদ, কে এই থালাপতি বিজয়? যার জনসভায় পদদলিত হয়ে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন
  • প্রতীকী। ছবি: শাটারস্টক
    দুর্গন্ধযুক্ত জুতা যেভাবে ভারতের ইগ নোবেলজয়ী গবেষণার প্রেরণা জোগালো
  • ফাইল ছবি/সংগৃহীত
    খাগড়াছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নিহত ৩; জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
  • জিয়া হায়দার রহমান। স্কেচ: টিবিএস
    পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকার কি ভজকট পাকিয়ে ফেলেছে?

Related News

  • বিশ্বের প্রথম ব্যক্তিগত জিন-সম্পাদনা চিকিৎসায় রোগমুক্তি শিশুর
  • ম্যালেরিয়া রোগীর ৮৮% রাঙ্গামাটি, বান্দরবানে; ২০৩০ সাল নাগাদ শূন্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
  • দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা তহবিল বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র
  • এককোষী জীবের জিন ব্যবহার করে ইঁদুর তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা
  • শত বছরের চেষ্টার পর মিসরকে ম্যালেরিয়ামুক্ত ঘোষণা 

Most Read

1
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, মনে হচ্ছিল জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি: মির্জা ফখরুল

2
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

বেনজীরের অর্থপাচার মামলায় রিমান্ডের আদেশ শুনে কাঠগড়ায় ঢলে পড়লেন আসামি মার্কিন নাগরিক এনায়েত

3
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আন্তর্জাতিক

তামিল সুপারস্টার থেকে রাজনীতিবিদ, কে এই থালাপতি বিজয়? যার জনসভায় পদদলিত হয়ে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন

4
প্রতীকী। ছবি: শাটারস্টক
আন্তর্জাতিক

দুর্গন্ধযুক্ত জুতা যেভাবে ভারতের ইগ নোবেলজয়ী গবেষণার প্রেরণা জোগালো

5
ফাইল ছবি/সংগৃহীত
বাংলাদেশ

খাগড়াছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নিহত ৩; জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

6
জিয়া হায়দার রহমান। স্কেচ: টিবিএস
বাংলাদেশ

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকার কি ভজকট পাকিয়ে ফেলেছে?

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net