Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
May 22, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, MAY 22, 2025
তিন দশকে ২৮ লাখ টন বরফের আচ্ছাদন হারিয়েছে পৃথিবী, এক মিটার বাড়বে সমুদ্রের উচ্চতা 

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
23 August, 2020, 09:35 pm
Last modified: 24 August, 2020, 02:18 am

Related News

  • ১২৫ বছরে কারও চোখে পড়েনি ভ্যান গখের চিত্রকর্মে লুকানো এই বৈজ্ঞানিক রহস্য
  • বিছারা ‘দখল করে নিচ্ছে’ ব্রাজিলের শহরগুলো, হুল ফোটানো বেড়েছে ২৫০% পর্যন্ত
  • প্রজাপতিবিহীন পৃথিবী: যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রজাতি
  • ২০২৪ সালে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে
  • ১৯৮০-এর দশকের পর থেকে বিশ্বজুড়ে তীব্র খরাপ্রবণ এলাকা বেড়েছে ৩ গুণ: গবেষণা

তিন দশকে ২৮ লাখ টন বরফের আচ্ছাদন হারিয়েছে পৃথিবী, এক মিটার বাড়বে সমুদ্রের উচ্চতা 

প্রতি সেন্টিমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির অর্থ; এতে নিম্নভূমিতে বসবাসকারী এক কোটি মানুষ তাদের জন্মভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত হবে। তাই একশ’ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির মানে শত কোটি মানুষের জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হওয়া- জানান লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ডি শেফার্ড। বাংলাদেশের মতো নিম্নভূমির পলিগঠিত বদ্বীপের জন্য সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ার সর্বনাশা প্রভাব এড়ানো একেবারেই অসম্ভব।
টিবিএস ডেস্ক
23 August, 2020, 09:35 pm
Last modified: 24 August, 2020, 02:18 am
উত্তরপশ্চিম গ্রিনল্যান্ডে সামুদ্রিক বরফের উপর দিয়ে স্লেজ টানছে হাস্কি কুকুরের দল। জলবায়ু পরিবর্তনে সামুদ্রিক বরফের বিস্তার এবং পুরুত্ব উভয়েই কমেছে উত্তর মেরু অঞ্চলে। ছবি: এএফপি

আমাদের গ্রহের উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু জুরে থাকা বিশাল বরফের আচ্ছাদন- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের এক প্রাকৃতিক সুরক্ষা কবচ। বিশাল হিমবাহ সঞ্চিত জলরাশি যেমন নিশ্চিত করে অনুকূল সমুদ্র স্রোত এবং আবহাওয়ার চক্র। ঠিক তেমনি বরফের সাদা আস্তরণে প্রতিফলিত হয়ে বিপুল সুর্যালোকের তাপ ফেরত যায় মহাশূন্যে। এভাবেই পৃথিবীর স্বাভাবিক জলবায়ুর অস্তিত্বের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি জরিয়ে আছে হিমশীতল মেরু অঞ্চল। 

তবে, মানুষের মতো আত্মঘাতি জীব পৃথিবীর অন্য কোনো প্রজাতি নয়। বৈশ্বিক সম্পদ আহরণ ও অপব্যবহারের যে বিধ্বংসী প্রক্রিয়া আমাদের প্রজাতি সূচনা করেছে, তার হাত ধরেই এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা শোষণকারি গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে চলায় তৈরি হয়েছে এ অবস্থা। সমুদ্রজলও শোষণ করে নিচ্ছে বাড়তি তাপ। ফলশ্রুতিতে জীবনদায়ী হিমশৈল হারিয়ে চলেছে পৃথিবী। 

১৯৯৪ সালের পর থেকে গ্রিনহাউজ উষ্ণতা চক্রের এ প্রভাবে ২৮ লাখ কোটি টন বরফের আচ্ছাদন হারিয়েছে, বলে জানান বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের একটি বিজ্ঞানীদল সম্প্রতি পৃথিবীর দুই মেরুর পাহাড় এবং হিমবাহের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে রক্তহিম করা এ তথ্য দিয়েছেন। 

লিডস ও এডিনবরা- বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা হিমবাহ এবং সামুদ্রিক বরফ গলার এ হারকে 'গগণচুম্বি' আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ার করে বলেন, এর ফলে চলতি শতকের শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার পর্যন্ত বাড়বে।  

বাংলাদেশের মতো নিম্নভূমির পলিগঠিত বদ্বীপের জন্য সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ার সর্বনাশা প্রভাব এড়ানো একেবারেই অসম্ভব। মহাসমুদ্র বেষ্টিত পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন কিছু দ্বীপরাষ্ট্রের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর ফলে দারিদ্র্য বাড়ার কথাও জানানো হয়েছে ইতোপূর্বের অনেক গবেষণায়। 

''বিষয়টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা যায়; মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর তার প্রভাবের মধ্য দিয়ে। সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রতি সেন্টিমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির অর্থ; এতে নিম্নভূমিতে বসবাসকারী এক কোটি মানুষ তাদের জন্মভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত হবে। তাই একশ' সেন্টিমিটার (এক মিটার)  বৃদ্ধির অর্থ শত কোটি মানুষের জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হওয়া'' বলছিলেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পোলার অবজারভেশন অ্যান্ড মডেলিং- এর পরিচালক অধ্যাপক অ্যান্ডি শেফার্ড।

উত্তর মেরুর সাভালবার্ড দ্বীপপুঞ্জের হিমবাহ ক্ষয়ের দৃশ্য। ছবি: গেটি ইমেজেস

বরফরাশির ক্ষয় সূর্যরশ্মির তীব্র বিকিরণ মহাশূন্যে ফিরিয়ে দিতে আমাদের গ্রহের সক্ষমতা হ্রাস করছে। তারা জানান, বরফ আর তুষারের আচ্ছাদন সরে গিয়ে উন্মুক্ত হয়ে পড়া সমুদ্র এবং কালো রঙা মাটি, আরো বেশি পরিমাণে সূর্যকিরণের তাপ শুষে নিচ্ছে। ফলে চক্রাকারে বাড়ছে গ্রহের উষ্ণতা আর বরফগলার পরিমাণ।    

পাশাপাশি, হিমবাহ থেকে গলে ধেয়ে আসা বিপুল ঠাণ্ডা পানির স্রোত উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সাগরের বাস্তুসংস্থান এবং জীব-বৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। হিমবাহ গলে যাওয়ায়; মেরুর প্রতিকুল পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের বিশুদ্ধ পানির উৎসও ক্রমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

''অতীতে গবেষকরা শুধু নির্দিষ্ট একটি অঞ্চল যেমন; দক্ষিণ মেরু বা গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। কিন্তু, এই প্রথমবার কোনো অনুসন্ধানের আওতায় পুরো পৃথিবীর বরফের আচ্ছাদন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এ গবেষণার ফলাফল আমাদের বাকরুদ্ধ ও বিস্মিত করে দেয়'' বলছিলেন অ্যান্ডি শেফার্ড।
 
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে যেভাবে বরফ গলার অনুমান করেছিলেন, সেটাই আমাদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে- যোগ করেন তিনি।  

ব্রিটিশ গবেষক দলটি দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, কানাডা এবং বিশ্বের অঞ্চলের পর্বতমালায় অবস্থিত হিমবাহের অবস্থাও কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে বিশ্লেষণ করেন। তাছাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সাগরের সামুদ্রিক বরফের স্তর গলন এবং উত্তর মেরুর মূল বরফ হিমবাহ স্তর থেকে হিমশৈলের সাগরে স্খলন গতিও পর্যবেক্ষন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ১৯৯৪ থেকে ২০১৭ সাল নাগাদ তোলা কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি একত্র করে তুলনা করেন তারা। 

বয়াব্রিন হিমশৈল থেকে গলে আসা পানির স্রোত নেমে আসছে নরওয়ের ফিরারল্যান্ড উপত্যকায়। ছবি: গেটি ইমেজেস

বিজ্ঞানীরা তাদের অনুসন্ধানের ফলাফলে জানিয়েছেন, পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চলেই বরফের আচ্ছাদন মারাত্মক আকারে কমেছে গত তিন দশকে। আর এই হারিয়ে যাওয়ার হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। 

লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের সদস্য টম সল্টার বলেন, ''২৮ লাখ কোটি টন বরফ আচ্ছাদন হারিয়েছি আমরা। এ পরিমাণ বরফ দিয়ে পুরো যুক্তরাজ্যকে ১০০ মিটার পুরু জমাট পানির আস্তরণে ঢেকে দেওয়া সম্ভব। বিষয়টি চিন্তা করলেই হতবাক হতে হয়।'' 

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাটির রিভ্যিউ পেপার সম্প্রতি প্রকাশিত হয় অনলাইন জার্নাল- ক্রায়োস্ফিয়ার ডিসকাশন্স- এ। বিজ্ঞানীরা সেখানে জোর দাবি করে বলেছেন, শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাবেই পৃথিবী তার বিপুল বরফের সুরক্ষা চাদর হারিয়েছে। 

তারা জানান, ১৮৮০ সাল থেকে পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দশমিক৮৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়ে। এ বৃদ্ধি মেরু অঞ্চলে বহুগুণ শক্তিশালী আকারে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। বিশেষ করে, গ্রিনহাউজ গ্যাসের তাপমাত্রা ধরে রাখার কারণে বায়ুমণ্ডল এবং সমুদ্রস্তর দুই মাত্রিকে উষ্ণতা বাড়তে থাকে। এই দ্বিমুখী চাপেই বিপর্যয়কর হারে বরফ গলা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে বিশ্বের নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতার নিন্দা করেছেন।   

হিমালয়ের মতো ভূভাগের পর্বতমালায় হিমবাহ গলার পরিমাণ বাড়ার জন্য তারা অবশ্য বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাকেই মূল প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত করেন। 
 

Related Topics

টপ নিউজ

জলবায়ু পরিবর্তন / বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি / হিমবাহ ক্ষয় / উত্তর মেরু / দক্ষিণ মেরু / বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে
  • লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি
  • হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিল এনসিপি
  • নির্বাচন কমিশন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে: এনসিপির বিক্ষোভে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী
  • করিডর নিয়ে 'কোনো আলোচনা হয়নি', ত্রাণ 'চ্যানেল' দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায়: খলিলুর রহমান
  • রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ইশরাক

Related News

  • ১২৫ বছরে কারও চোখে পড়েনি ভ্যান গখের চিত্রকর্মে লুকানো এই বৈজ্ঞানিক রহস্য
  • বিছারা ‘দখল করে নিচ্ছে’ ব্রাজিলের শহরগুলো, হুল ফোটানো বেড়েছে ২৫০% পর্যন্ত
  • প্রজাপতিবিহীন পৃথিবী: যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রজাতি
  • ২০২৪ সালে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে
  • ১৯৮০-এর দশকের পর থেকে বিশ্বজুড়ে তীব্র খরাপ্রবণ এলাকা বেড়েছে ৩ গুণ: গবেষণা

Most Read

1
অর্থনীতি

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর-কর্মকর্তাদের বহুল প্রত্যাশিত সভা ভেস্তে গেল যে কারণে

2
বাংলাদেশ

লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তাদের, শনিবার থেকে কর্মবিরতি

3
বাংলাদেশ

হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিল এনসিপি

4
বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে: এনসিপির বিক্ষোভে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী

5
বাংলাদেশ

করিডর নিয়ে 'কোনো আলোচনা হয়নি', ত্রাণ 'চ্যানেল' দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায়: খলিলুর রহমান

6
বাংলাদেশ

রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ইশরাক

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net