ছেঁড়া জিন্স, বিখ্যাত কোম্পানির টি-শার্ট, আঁটসাঁট জিন্স —এসব উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ কেন?

রক্ষণশীল দেশগুলোতে অনেক পোশাকই পরা নিষিদ্ধ। কারণটা কমবেশি একই—ওসব পোশাক দেশগুলোর সংস্কৃতির পরিপন্থী। উত্তর কোরিয়াতেও অনেক ধরনের পোশাকই নিষিদ্ধ। যদিও সবগুলো পোশাক একই কারণে নিষিদ্ধ করা হয়নি। একেক পোশাক নিষিদ্ধ হয়েছে একেক কারণে।
তবে শুধু পোশাক নয়, আরও অনেক রকমের সাজ-সজ্জাই নিষিদ্ধ দেশটিতে। সেরকমই কিছু নিষিদ্ধ কাজকর্ম ও সাজসজ্জার কথা জেনে নেওয়া যাক চলুন।
বিখ্যাত কোম্পানির টি-শার্ট
বিখ্যাত টিশার্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোই ইউরোপ ও আমেরিকার। ওইসব কোম্পানির কোম্পানির টিশার্ট পরা উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ। তবে দেশে তৈরি টিশার্ট পরতে কোনো মানা নেই।
আঁটসাঁট জিন্স
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের মতে, আঁটসাঁট দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিপন্থী। তার মতে, সম্পূর্ণ পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ এরকম পোশাক। তাই কিম জং এরকম 'পশ্চিমা' ধাঁচের প্যান্ট উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
অবিবাহিত মেয়েদের বড় চুল
উত্তর কোরিয়ায় বিবাহিত মেয়েরা বড় চুল রাখতে পারলেও অবিবাহিত মেয়েদের বড় চুল রাখা নিষিদ্ধ।
নাক ফোঁড়ানো বারণ
উত্তর কোরিয়ায় নাক ফোঁড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ ঠোঁট ফুটো করানোও। খুব বেশি ইচ্ছা করলে বড়জোর কানে ফুটো করানোর অনুমতি আছে, তা-ও একটির বেশি নয়।
ছেঁড়া জিন্স
আঁটসাঁট জিন্সের মতো ছেঁড়া জিন্সও উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ। এই জিন্স নিষিদ্ধ করার কারণও সেই একই—এটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ।
রং করা যাবে না চুলে
উত্তর কোরিয়ায় ২৮ ধাঁচে চুল কাটার কায়দা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। এই ২৮ ধাঁচ থেকেই যেকোনো একটি স্টাইল বেছে নিতে হয় পুরুষদের। এর বাইরে নতুন কোনো স্টাইলে চুল কাটা নিষেধ। আর রং করা তো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
চামড়ার ট্রেঞ্চ কোট
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নিজে পরেন চামড়ার ট্রেঞ্চ কোট। কাজেই দেশের আর কারও এ ধরনের কোট পরার অধিকার নেই।
মাও সে তুংয়ের মতো স্যুট
মাও সে তুংয়ের মতো স্যুটও কিম জং উন পরেন। তাই দেশের আর কারও এই স্যুট পরার অনুমতি নেই।
চশমা
চশমার ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই বটে, কিন্তু চশমা বাছাইয়ের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় কারও চশমার সঙ্গে যেন কিম জংয়ের চশমার কোনো মিল না থাকে। বিশেষ করে রঙের মিল থাকা তো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।