আইসিসির সেরা পারফরম্যান্সের তালিকায় মুমিনুলের ব্যাট-বলের বীরত্ব
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজ স্বপ্নের মতো কাটলেও টেস্ট সিরিজে হতাশার শেষ ছিল না। ৫৩ ও ৮০ রানের অস্বস্তিতে পড়ার সিরিজটি ২-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। দলের মতো দুঃস্বপ্নের সময় কাটে অধিনায়ক মুমিনুল হকের। দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়ে তার মোট রান ১৩, সর্বোচ্চ ৬ রান। এমন সিরিজ শেষে দেশে ফেরার কয়েকদিনের মধ্যে সংসংবাদ পেলেন মুমিনুল।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রে সেরা অলরাউন্ডিং পারফর্মারদের তালিকায় জায়গা হয়েছে মমিনুলের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকার পরও মুমিনুলের এমন সাফল্যের খবরে দ্বিধার তৈরি হতে পারে। আসলে তার এই স্বীকৃতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের কল্যাণে। ঐতিহাসিক ওই জয়ে ব্যাটে-বলে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্র শেষ হতে এখনও বছর খানেক বাকি। কেবল ভারত ও ইংল্যান্ড উল্লেখযোগ্য টেস্ট খেলেছে। ভারত ১১টি ও ইংল্যান্ড খেলেছে ১২টি টেস্ট। তবে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে যে কয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে আছে অনেক রোমাঞ্চকর গল্প। এ কারণে মাঝামাঝি অবস্থাতেই সেরা অলরাউন্ডিং পারফর্মারদের তালিকা করে তা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
সোমবার আইসিসির প্রকাশিত টেস্টের শীর্ষ পাঁচ অলরাউন্ডিং পারফর্মারের তালিকায় মমিনুল ছাড়াও আছে নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ও দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। ভারত থেকে আছেন দুজন, তারা হলেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং শার্দুল ঠাকুর।
নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে পাওয়া ঐতিহাসিক জয়ে কাণ্ডারির ভূমিকায় ছিলেন মুমিনুল। মূলত ব্যাটসম্যান হলেও ওই টেস্টে পুরোদস্তর অলরাউন্ডার হয়ে ওঠেন তিনি। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪৪ বলে ৮৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন মমিনুল। এ ছাড়া বল হাতে নেন মহামূল্যবান দুই উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ১২২ রান করা ডেভন কনওয়ে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করা হেনরি নিকোলসের উইকেট তুলে নেন মুমিনুল। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থামে ৩২৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ১৬৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪০ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। এই ইনিংসে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।
