হেলিকপ্টার নেমে থামিয়ে দিল মাশরাফি-তামিমদের অনুশীলন

রোববার বেলা ১টা ১০ মিনিট, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল মিনিষ্টার ঢাকা। স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের দুটি নেটে ব্যাটিং করছেন মোহাম্মাদ শাহজাদ ও তামিম ইকবাল। অন্যরা মাত্রই ফুটবল খেলে নেটে পাশে ভিড় জমাচ্ছেন। এরই মধ্যে উড়ে এলো হেলিকপ্টারের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। নেমে পড়লো মাঠে। কিছু বুঝে উঠতে না পারা ঢাকার ক্রিকেটাররা অনুশীলন ছেড়ে দাঁড়িয়ে রইলেন ২০ মিনিটের মতো।
খেলার মাঠে এমন হঠাৎ হেলিকপ্টার নেমে যাওয়ার দৃশ্য বিরল। মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা তাই বুঝতে পারছিলেন না কী হচ্ছে। হেলিক্পটার যখন মাঠে নামে, পাখার বাতাসে ধুলোয় চারপাশ তখন অন্ধকার। ক্রিকেটাররা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়ে দাঁড়ান। এরপর ২০ মিনিটের মতো অনুশীলন বন্ধ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বা বিপিএলের দল মিনিস্টার ঢাকার সঙ্গে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টার উড়ে আসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একজন মুমূর্ষ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারটি নামার অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও নির্দেশনা মতো ঠিক জায়গায় হেলিকপ্টারটি না নামায় মাঠের মধ্যে ঝামেলার তৈরি হয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শামীম বিষয়টি নিয়ে বলেন, 'হেলিকপ্টারটি মানবিক কারণে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে আগেই জানানো হয়েছে, আমরা ক্রিকেট বোর্ড ও ঢাকা টিমকে বিষয়টি অবহিত করি। পূর্ব পাশে জায়গা ঠিক করা থাকলেও পাইলট ভুলবশত পশ্চিম পাশে অনুশীলনের কাছেই অবতরণ করে। এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।'
শামীম জানিয়েছেন, গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়া এক রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে তারা হেলিকপ্টারটি নামার অনুমতি দিয়েছেন তারা। কয়েক দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন রোগী। মাথা এবং দুই হাতে প্রচন্ড চোট পান তিনি। কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর তার উন্নতি হওয়ায় আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হলো।