নেতৃত্ব ছাড়তে কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বিসিসিআই

বিশ্বকাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপের আগেই দেওয়া ঘোষণায় জানিয়েছিলেন, টেস্ট এবং ওয়ানডের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চান তিনি। কিন্তু দুই মাসেই বদলে গেল বাস্তবতা। ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো কোহলিকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অধিনায়কত্ব ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল কোহলিকে। এই সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় নতুন অধিনায়ক চূড়ান্ত করে ফেলে বিসিসিআই। ভারতের ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত, কোহলি শুধু টেস্টে অধিনায়কত্ব করবেন।
কোহলিকে সরিয়ে রোহিতকে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব দেওয়ার ঘোষণা অনাড়ম্বরভাবেই দিয়েছে বিসিসিআই। কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য টেস্ট দল ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে নিচে একটি লাইনে জানানো হয়েছে, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। কোহলির নাম পর্যন্ত সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। টুইটারেও যে ঘোষণা করা হয়, সেখানেও নেই কোহলির নাম।
সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, ওয়ানডেতে যে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সময় শেষ হয়ে এসেছে, তা আগেই লেখা হয়েছিল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কোহলির ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। তবে ভারতীয় বোর্ড কোহলিকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে চেয়েছিল। সে পথে হাঁটেননি কোহলি। তাই কোহলিকে 'বরখাস্ত' করা হয়। এটা মেনে নেওয়া ছাড়া তার উপায় ছিল না।
পিটিআই তাদের খবরে আরও জানিয়েছে, অনেকেই এই ঘটনায় অবাক নন। বরং ভারতীয় দলের অনেকেই জানতেন যে কোহলি দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না। দলের একাংশ ক্রমশ তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল।
বছর দুয়েক আগে ভারতের ড্রেসিংরুমে সময় কাটানো এক খেলোয়াড়কে উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই লিখেছে, 'কোহলির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি। ও মুখে স্পষ্ট কথাবার্তার ব্যাপারটি বলে। কিন্তু উপযুক্ত কথাবার্তার অভাবেই নেতা হিসেবে সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল সে।'