কেন্দ্রীয় চুক্তি চূড়ান্ত, বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন-ম্যাচ ফি

শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শিরোপা তো দূরের কথা সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম দুই হারের আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ না হওয়ায় এক পয়েন্ট ও অন্য দলের ব্যর্থতায় ষষ্ঠ হিসেবে শেষ করে তারা, মেলে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বেশি অর্থ পুরস্কারও।
হতাশার সফর শেষে বাংলাদেশের জন্য এটা বড় বোনাসই। এর মাঝে সুখবরও পেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে। চুক্তিতে কজন ক্রিকেটার থাকবেন, সেটাও চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। অনুমোদন হয়ে গেলেও নতুন চুক্তিতে কয়েকটি বিষয় পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
বেতনের সঙ্গে ম্যাচ ফি-ও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির এই পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, 'ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। বাড়ানোর ক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটার যারা, তাদের বৃদ্ধির পরিমাণ অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা সুরক্ষিত করতে চাই।'
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কারা থাকছেন বা কজন ক্রিকেটারের জায়গা হচ্ছে, এ ব্যাপারে এখনই কিছু জানালেন না নাজমুল আবেদীন। সংখ্যাটা কমতে বা বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে সংখ্যাটা বলতে চাই না, একটা সংখ্যা আছে। সেটা বলতে চাই না। পর্যালোচনা করার পরে হয়তো বাড়তে বা কমতে পারে। পর্যালোচনার মতোই বোঝায়। তবে অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন যেটা দেখানো হবে, সেটাই চূড়ান্ত।'
সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে গ্রেড, প্রনোদনা, অধিনায়কত্ব, ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসহ আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় সর্বোচ্চ গ্রেড 'এ' প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটার ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন। সর্বনিম্ন বেতন ছিল এক লাখ টাকা, এটা 'ডি' গ্রেড। নতুন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রনোদনা বা অন্যান্য হিসাব ছাড়াই যারা ৮ লাখ টাকা পেতেন, তারা ১০ লাখ টাকা বেতন পাবেন। সর্বনিম্ন বেতন হবে দুই লাখ টাকার মতো। টেস্টের ম্যাচ ফি ছিল ৬ লাখ, ওয়ানডের ৩ লাখ ও টি-টোয়েন্টির দুই লাখ টাকা। এবার কী পরিমাণ বেড়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।