‘এই টুর্নামেন্টে যেকোনো দলকে হারাতে পারি আমরা’

দেশ ছাড়ার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক সেদিন অনেক আশার কথাই শুনিয়েছিলেন। দুবাই গিয়ে কয়েক দিনের অনুশীলন ও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর দলের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস যেন আরও বেড়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন তিনি জানালেন, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে তাদের।
আট বছর পর আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে 'এ' গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। তাদের তিন প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। শিরোপা জয়ের দৌড়ে তিন দলকেই রাখা সম্ভব। পাকিস্তান আসরটির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, তাদের বর্তমান অবস্থাও বেশ ভালো। টপ ফেবারিট হিসেবে খেলতে যাচ্ছে ভারত। আইসিসির টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডও কঠিন প্রতিপক্ষ। এমন প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে জয় পাওয়াই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, শান্তর চোখ সেখানে সরাসরি শিরোপায়।
বড় লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেলেও ম্যাচ অনুশীলন অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শানিসের বিপক্ষেই পাত্তা পায়নি তারা, হারতে হয় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। তবে শান্তর বিশ্বাস, এই ম্যাচের ফল প্রভাব ফেলবে না, 'প্রস্তুতি ম্যাচের হারের কোনো ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা অনেক কিছু দেখেছি, সবাইকে বোলিং বা ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অনুশীলনের জন্যই ওসব করা। আমার মনে হয় না, খুব বেশি একটা প্রভাব পড়বে।'
বাংলাদেশ যে ওয়ানডেতে ভালো দল, সেটা মনে করালেন শান্ত। জানালেন, যেকোনো দলকেই এবার হারােতে পারেন তারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'এই সংস্করণে আমাদের দল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ এবং আমরা বিশ্বাস করি, এই টুর্নামেন্টে যেকোনো দলকে আমরা হারাতে পারি। সব দলই ট্রফি জয়ের সামর্থ্য রাখে। তবে আমি এমন একজন, প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি যে ভাবে না। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারি যথাযথভাবে, যেকোনো দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারি আমরা।'
যেকোনো দলকে হারাতে সব বিভাগেই ভালো করতে হবে জানিয়ে শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয়, সব বিভাগেই আমাদেরকে ভালো খেলতে হবে, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং। গত কয়েক বছরে এই সংস্করণে যেভাবে খেলেছি আমরা, আমাদের দলটি বেশ ভালো। কন্ডিশনও অনেকটা আমাদের মতো। নিজেদেরকে যেভাবে তৈরি করেছি, তাতে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। আগামীকালের ম্যাচের জন্য সেরা কিছুর আশাই করছি।'
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়েও ক্রিকেটভক্তদের অনেক আগ্রহ। এই ম্যাচ নিয়েও বাড়তি উত্তেজনা দেখা যায়। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ম্যাচের উত্তেজনা নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না বলেন জানান শান্ত। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন তিনি বললেন, 'ভারত-বাংলাদেশ সব সময় একটা বাড়তি উত্তেজনা থাকেই। তবে ক্রিকেটাররা এসব নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করে না। তাদের মনোযোগ বেশি থাকে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা নিয়ে এবং মাঠে যতোটা ধীরস্থির থাকা যায়, সেটা নিয়ে।'
অলরাউন্ডার হিসেবে বাংলাদেশ দলে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লেগ স্পিনার রিশাদকেও এই নামে ডাকা যায়। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের থেকেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব। অলরাউন্ডাররা দলকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলে জানিয়ে তাদের কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্সের আশায় শান্ত, 'অলরাউন্ডাররা সব সময় দলকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। আমাদের ভালো কিছু অলরাউন্ডার আছে। আশা করি, তারা আগামীকাল পারফর্ম করবে এবং দলের জন্য নিজেদের মেলে ধরবে।'