Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 04, 2025
‘উপমহাদেশে ছয় মাস আলোচনার বাইরে থাকলে মানুষ আপনাকে ভুলে যাবে’

খেলা

শান্ত মাহমুদ
04 February, 2025, 08:45 pm
Last modified: 04 February, 2025, 09:03 pm

Related News

  • দুর্বল ব্যাংকের বড় আমানতকারীদেরকে শেয়ার, বন্ড দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন
  • কোনো বল না গড়িয়েই বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত
  • ‘পাকিস্তান ক্রিকেটে ট্যালেন্ট কোথায়’- প্রশ্ন শোয়েবের
  • শোয়েব আখতারের চোখে বাবর আজম কেন ‘ভণ্ড’
  • খাদের কিনারে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তোলাই প্রধান দায়িত্ব: অর্থ উপদেষ্টা

‘উপমহাদেশে ছয় মাস আলোচনার বাইরে থাকলে মানুষ আপনাকে ভুলে যাবে’

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা, পিএসএল ও বিপিএলের পার্থক্য, তাসকিন আহমেদের উন্নতি এবং পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইজাজ আহমেদ।
শান্ত মাহমুদ
04 February, 2025, 08:45 pm
Last modified: 04 February, 2025, 09:03 pm

অদ্ভুত ব্যাটিংয়ের ধরণ আর বটম হ্যান্ডের ওপর নির্ভরশীল টেকনিক নিয়ে ইজাজ আহমেদ হয়তো তার সময়ের সবচেয়ে নান্দনিক ব্যাটসম্যান ছিলেন না, তবে তার কার্যকারিতা অস্বীকার করার উপায় নেই। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কিংবদন্তি সাবেক এই ব্যাটসম্যান। ১৯৮৭ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ৩১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৯ হাজার ৮৭৯ রান করেছেন ইজাজ। ১২টি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ৩৭.৬৭। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো বড় দলের বিপক্ষে তার গড় ছিল প্রায় ৫০, যা তাকে বড় মঞ্চের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।

২০০৩ সালে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে কোচিংয়ে যোগ দেন ইজাজ। পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শক ও সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করার পর পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের কোচ হিসেবে কাজ করেন তিনি। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্বার রাজশাহীর প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। প্রথমদিকে হোঁচট খেলেও তার দল শেষ পর্যন্ত ১২ ম্যাচের ৬টিতে জেতে। যদিও প্লে-অফের টিকেট মেলেনি দলটির। 

রাজশাহীর বিপিএল অভিযান শেষ হওয়ার আগে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন ইজাজ, যেখানে তিনি বাংলাদেশে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা, পিএসএল ও বিপিএলের পার্থক্য, তাসকিন আহমেদের উন্নতি এবং পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড: প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বাইরে কোচ হিসেবে কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাই…

ইজাজ আহমেদ: উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা মোটামুটি একই রকম থাকে, যেখানেই খেলুন না কেন। তবে আমি এখানে বাংলাদেশে যে পার্থক্য লক্ষ্য করেছি, তা হলো এখানে পাকিস্তানের তুলনায় বল বেশি টার্ন করে। আমাদের টুর্নামেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো ছির না, কিন্তু খেলোয়াড়রা পরে ছন্দ খুঁজে পায়।

টিবিএস: আপনার দৃষ্টিতে পিএসএল এবং বিপিএলের মধ্যে কতোটা পার্থক্য আছে?

ইজাজ: পিএসএলে খেলোয়াড়দের মান আরও উন্নত। যেসব বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নেয়, তাদের মানও বিপিএলের তুলনায় ভালো। আমি বিপিএলের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি দেখছি, সেটা হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সামঞ্জস্যহীনতা। আমি শুনেছি, আগামী বছর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য দল রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। এটা করতে পারলে বিপিএলের দলগুলো আরও সুসংগঠিত হবে। এখন প্রতি মৌসুমেই নতুন দল আসছে, যা টুর্নামেন্টের স্থিতিশীলতায় বাধা সৃষ্টি করছে।

একটি লিগ সফল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে ক্রিকেট বোর্ডগুলোরও। আমার মনে হয়, পিএসএলের ব্যাপারে পিসিবি যতোটা চোখকান খোলা রাখে, বিসিবি বিপিএলের ক্ষেত্রে ততোটা সক্রিয় নয়। যদি বিপিএল পরিচালনায় বিসিবি আরও শক্তিশালী ভূমিকা নেয়, তাহলে যেসব সমস্যা আমরা দেখছি; যেমন পারিশ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যা, এসব দূর হয়ে যাবে এবং টুর্নামেন্টের সামগ্রিক উন্নতি হবে।

টিবিএস: আপনার অধীনে খেলা তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি তাকে আরও কাজ করতে হবে, এমন কোনো জায়গা দেখেন? 

ইজাজ: তাসকিন শর্ট বল করতে পছন্দ করে, আর আমরা সেটাকে আরও ভালও করার জন্য কাজ করছি। ও অসাধারণ পারফর্ম করছে; রেকর্ড ভাঙছে এবং একটি ম্যাচে সাত উইকেট পর্যন্ত নিয়েছে। তার আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে, যা দেখতে দারুণ লাগছে। তবে একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি, যদি তাকে কেউ চার বা ছয় মারে, তাহলে ও কিছুটা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। আমি তাকে বলেছি, এসব ক্ষেত্রে শান্ত থাকতে, কারণ টি-টোয়েন্টিতে বাউন্ডারি হজম করাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি এতে তাসকিন হতাশ হয়ে পড়ে, তাহলে ওর জন্য লাইন-লেংথ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ নিয়মিত ঠিক জায়গায় বল করে এবং সুইং করাতে পারে; ধারাবাহিকভাবে আউটসুইং বোলিং করার পর হঠাৎ একটি ইনসুইং দেয়, তাহলে ব্যাটসম্যানরা ধোঁকা খায়। আমরা তাসকিনের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে এই দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।

টিবিএস: জিশান আলমের ব্যাটিংয়ের ধরন ভিন্ন। আপনার কি মনে হয়, এভাবে ব্যাটিং করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সে সফল হতে পারবে?

ইজাজ: কোনো পরিস্থিতিতে সফল হতে হলে একজন ব্যাটসম্যানের ডিফেন্স ভালো হওয়া জরুরি। এটা নিয়ে আমি ওর সঙ্গে আলোচনা করেছি। সে এখনও তরুণ, যার মানে তার খেলায় উন্নতি আনার জন্য প্রচুর সময় রয়েছে। তবে ওর বিশেষ গুণ হলো যে, ও একজন ভার্সেটাইল ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সে বোলিংও করতে পারে, যেটা আমরা পাওয়ারপ্লে ওভারে তার অফ স্পিনে দেখেছি। জিশান যদি তার এই স্কিল আরও ভালো করতে পারে, আমি বিশ্বাস করি ও আগামীতে বাংলাদেশের জন্য দারুণ এক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।

টিবিএস: আপনার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু প্রশ্ন। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের আগে আপনার ফর্ম তেমন ভালো ছিল না, কিন্তু অধিনায়ক ইমরান খান আপনাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। বিশেষ করে আপনার ফিল্ডিং এবং বাঁহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের জন্য। সেই সময়কার কিছু অভিজ্ঞতা যদি ভাগাভাগি করতেন…

ইজাজ: আমার সবচেয়ে বড় দক্ষতাগুলোর মধ্যে একটি ছিল আমার ফিল্ডিং। আমি সাধারণত সাত নম্বরে ব্যাটিং করতাম এবং ব্যাট হাতে ২০-২৫ রান করতাম, পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে ২০-২৫ রান বাঁচাতাম। ইমরান খান আমাকে বলতেন,  এভাবে আমি প্রতি ম্যাচে কার্যত ৫০ রান করে দিচ্ছি। আমি মজা করে তাকে বলতাম, যখন আপনি অবসর নেবেন, তখন পরবর্তী অধিনায়ক আমার এই অবদান আপনার মতো করে দেখবে না এবং হয়তো আমাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেবে। এবং সেটাই হয় তার অবসরের পর, দলে ফিরে আসতে আমাকে দুই বছর লড়াই করতে হয়।

যখন এই ধরণের ধাক্কা আসে, তখন আরও কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হয়। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে গিয়েছিলাম, সেখানে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করছি এবং আমার বোলিং নিয়ে কাজ করে আরও ভালো করে তুলেছিলাম। সেই সময় আমি সকাল ৯টায় মাঠে যেতাম এবং বিকেল ৫টায় ফিরে আসতাম। দলে ফিরতে আপনাকে এ রকম নিবেদন দেখাতেই হবে। উপমহাদেশে, আপনি যদি ছয় মাস আলোচনার বাইরে থাকেন, মানুষ আপনাকে ভুলে যাবে; মনে হবে আপনার যেন আর অস্তিত্বই নেই। এসবের জন্য দলে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে যায়। আমি তো কাঁধের চোট নিয়েও খেলেছি। কারণ আমি জানতাম যদি না খেলি, তাহলে সবাই আমাকে ভুলে যাবে।

আজকাল, খেলোয়াড়রা এতো বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিচ্ছে যে, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলে। কেউ যদি নিয়মিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে, তাহলে সে টেস্ট ক্রিকেটে টানা স্পেলে বোলিং করতে হিমশিম খাবে। আপনি ভারতের দিকে তাকান, তারা কীভাবে এই ভারসাম্য রক্ষা করে যাচ্ছে। তাদের খেলোয়াড়রা কেবল আইপিএল খেলে। পিসিবিও বিদেশি লিগের জন্য প্রতি খেলোয়াড়কে বছরে মাত্র দুটি এনওসি দিচ্ছে, আমি মনে করি এটা পাকিস্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো কিছু নিয়ে আসবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অর্থ লোভনীয়, কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলা সব সময় আগে। টাকার পেছনে ছুটতে গিয়ে যেন এই দায়িত্বের প্রতি কোনো অবহেলা না আসে। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা গর্বের বিষয় এবং খেলোয়াড়দের এটাকেই সব সময় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

টিবিএস: অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে আপনার রেকর্ড বেশ ভালো ছিল। শেন ওয়ার্নের সঙ্গে আপনার লড়াই জমতো, যেটা উত্তপ্ত অবস্থার মতো। আপনাদের সম্পর্কটা কেমন ছিল?

ইজাজ: প্রতিটি ব্যক্তির নিজের মতামত দেওয়ার অধিকার আছে, কিন্তু যখন আমি সংবাদপত্রে পড়লাম ওয়ার্ন আমার ব্যাপারে কী কী বলেছে, আমাকেও তখন পালটা জবাব দিতেই হতো। আমি তার বিপক্ষে তিন বা চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছি এবং সেখানে তিনটি সেঞ্চুরি করেছি, এটাই ছিল আমার পালটা জবাব দেওয়ার উপায়। পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই একজন খেলোয়াড়ের জবাব দেওয়া উচিত।

তখন অস্ট্রেলিয়া দল স্লেজিংয়ের জন্য বেশ পরিচিত ছিল। তারা প্রতিপক্ষের মনোবল ভাঙার জন্য সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করতো, তবে আমি যেভাবে এই ব্যাপারটি সামলেছি, তাতে আমি গর্বিত। আমার সফল হওয়ার একটি বড় কারণ ছিল আমার শৃঙ্খলা। আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম অফ-স্টাম্পের বাইরে বল আসলেই ছেড়ে দিবো, আমি আমার শক্তির জায়গা ব্যবহার করেছি এবং এটাই আমাকে অজিদের বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ভালো করতে সাহায্য করেছিল।

টিবিএস: ৯০-এর দশকের প্রথম দিকে একদিনের ক্রিকেট দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। আপনি কি মনে করেন সেই যুগের সাথে এখনকার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্থানের কোনো মিল আছে?

ইজাজ: হ্যাঁ, আমি অনেক মিল দেখতে পাই। আসলে আমি প্রায়ই ভাবি যে, আমি যদি এই যুগে খেলতাম তবে আমরা কতোটা উপভোগ করতাম। যদি আমার স্ট্রাইক রেট দেখেন, এটা সেই সময়ের হিসেবে যথেষ্ট ভালো ছিল। বাউন্ডারিগুলো এখনকার তুলনায় অনেক বড় ছিল, তবুও আমি দ্রুত রান তুলতে পারতাম। তখন ২২৫ রানই ম্যাচ জেতানো স্কোর ছিল, তবে আজকের দিনে ৩৫০ রানও অনেক সময় যথেষ্ট নয়।

আরেকটি বড় পার্থক্য হলো বোলিংয়ের মান। সেই সময় বাউন্সারের ব্যাপারে এতো এতো নিয়ম ছিল না, প্রায় প্রতিটি দলেই এমন একজন করে বোলার ছিল যে, নিয়মিত ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করতে পারতো। অ্যামব্রোস, মার্শাল, ওয়ালশ, ওয়াকার এবং ওয়াসিমের মতো খেলোয়াড়রা ছিল সবার থেকে কয়েক লেভেল ওপরে। বর্তমানে এমন বোলার হাতেগোনা কয়েকজন আছে, যারা ওই ধরনের মানের। এ জন্য আমি আধুনিক দিনের খেলোয়াড়দের দোষী দিই না; ক্রিকেটের অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণের কারণে এমন হয়েছে।

টেস্ট ক্রিকেটও দর্শক ধরে রাখতে সংগ্রাম করছে, তবে আমি বিশ্বাস করি পিচের অবস্থাও এতে বড় ভূমিকা রাখে। যদি পিচগুলো খুবই ফ্ল্যাট হয় এবং ম্যাচের ফলাফল আগেই অনুমান করে ফেলা যায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এটার সমাধান হলো উপমহাদেশে আরও ড্রপ-ইন পিচ ব্যবহার করা, যা খেলাতে ভারসাম্য নিয়ে আসবে এবং খেলার মানও ভালো করতে সাহায্য করতে পারে।

টিবিএস: পাকিস্তানের ক্রিকেট কোন অবস্থায় আছে, আপনার মূল্যায়ন কী?

ইজাজ: আমি এ সম্পর্কে আগেও কথা বলেছি এবং আমার কথাগুলো খুব একটা ভালোভাবে নেওয়া হয়নি। তবে আমি সব সময় সৎ থেকে কথা বলি। বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট ভালো অবস্থায় নেই। আমাদের দেশে এখন যেমন পিচ বানানো হয়, তা আমাদের সাহায্য করছে না। আমরা এসব পিচে হয় ম্যাচ ড্র করি বা হারি, যা আমাদেরকে সামনে এগোতে বাধা দিচ্ছে। 

দীর্ঘ সময় ধরে আরব আমিরাতে হোম ম্যাচ খেলায় আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় আমাদের মানিয়ে নিতে না নেওয়ার বড় কারণ আমরা ঘরের মাঠে সেই ধরনের পিচে খেলি না। আমরা শুধু এমন পিচ তৈরি করি, যা মাঝে মাঝে আমাদের জেতাতে পারে। কিন্তু আমাদের এমন পিচ তৈরি করতে হবে, যা আমাদের খেলোয়াড়দের বাইরের দেশে খেলার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে পারে। 

টিবিএস: নতুন দল হয়েও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ হারের পর পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ কেমন ছিল?

ইজাজ: পরিবেশ তেমন খারাপ ছিল না। বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ হয়েছিল, কারণ ওয়াসিম আকরাম নতুন বলে বোলিং করতে পারেনি। বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর দাঁড় করায় এবং তাদের বোলিং আক্রমণও দুর্দান্ত ছিল। আমরা সেই হারের শোক কাটিয়ে ফাইনালে উঠেছিলাম। তবে এখনও যা আমাকে পীড়া দেয়, তা হলো আমরা টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যদি আমরা বোলিং করতাম, তাহলে হয়তো সেই ম্যাচে জেতার জন্য আমরা অনেক ভালো অবস্থানে থাকতাম।

Related Topics

টপ নিউজ

ইজাজ আহমেদ / বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) / সাবেক ক্রিকেটার / পাকিস্তান ক্রিকেট দল / সাক্ষাৎকার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি
  • বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই
  • ‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • ১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

Related News

  • দুর্বল ব্যাংকের বড় আমানতকারীদেরকে শেয়ার, বন্ড দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন
  • কোনো বল না গড়িয়েই বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত
  • ‘পাকিস্তান ক্রিকেটে ট্যালেন্ট কোথায়’- প্রশ্ন শোয়েবের
  • শোয়েব আখতারের চোখে বাবর আজম কেন ‘ভণ্ড’
  • খাদের কিনারে থাকা অর্থনীতিকে টেনে তোলাই প্রধান দায়িত্ব: অর্থ উপদেষ্টা

Most Read

1
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদে জড়ায় বিএনপি ও এনসিপি

2
বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি; আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্সরাও পেলেন স্বীকৃতি

3
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১ জুলাই

4
বাংলাদেশ

‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে’ গানের শিল্পী আপেল মাহমুদ প্রমাণ দিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা

5
আন্তর্জাতিক

১৮ মাসের প্রস্তুতি, রাশিয়ায় ড্রোন পাচার: যেভাবে রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের দুঃসাহসিক হামলা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net