অপ্রতিরোধ্য রংপুরকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো দুর্বার রাজশাহী
জয়ে শুরুর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল রংপুর রাইডার্স। কোনো প্রতিপক্ষই তাদের সামনে বাধার দেয়াল তুলতে পারছিল না। দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্সে জয়ের মালা বড় করে যাচ্ছিল রংপুর। কোনো ম্যাচ না হেরেই সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চি করে ফেলে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। অবশেষে তাদেরকে হারের স্বাদ নিতে হলো, ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে অপ্রতিরোধ্য রংরপুরের জয়রথ থামলো দুর্বার রাজশাহী।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ২৪ রানে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। টানা আট ম্যাচ জেতার পর প্রথম হারলো রংপুর। নয় ম্যাচে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই আছে নুরুল হাসান সোহানের দল। রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী। ১০ ম্যাচে চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বর দল তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। সাব্বির হোসেন ও এনামুল হক বিজয়ের তিরিশোর্ধ্ব ইনিংসের পর ইয়াসির আলী রাব্বির ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ১৭০ রান তোলে তারা। জবাবে ম্যাচসেরা রায়ান বার্ল, রাজশাহী অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ ও এসএম মেহেরবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় রংপুর।
লক্ষ্য তাড়ায় অগোছালো শুরুর পর কেবল সাইফ হাসান ও অধিনায়ক সোহানের ব্যাট থেকে রান পেয়েছে রংপুর। ২৯ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংসসেরা ৪৩ রান করেন সাইফ। ২৬ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রান করেন সোহান। এ ছাড়া খুশদিল শাহ ১৪ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২৩ রান করেন। রংপুরের সাতজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
৪ ওভারে ২২ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বার্ল। আসরজুড়ে দুর্বার ছন্দে থাকা তাসকিন ৩.২ ওভারে ২০ রানে নেন ২ উইকেট। ১৯০ ম্যাচে ডানহাতি এই পেসারের শিকার ২২ উইকেট, যা এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ। ৩ ওভারে ১৯ রান খরচায় ২টি উইকেট পান মেহেরব। একটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম ও সাব্বির হোসেন।
এর আগে রাজশাহীর ইনিংস বড় করার পথে ব্যাট হাতে কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেন ইয়াসির। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৬০ রান করেন। সাব্বির ১৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন। ৩১ বলে ২টি চারে ৩৩ রান করেন বিজয়। মোহাম্মদ হারিসের ১৯ রান করেন, দলটির আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। রংপুরের খুশদিল ও আকিফ ৩টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান রাকিবুল হাসান ও নাহিদ রানা।
