দাপুটে জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের

বাংলাদেশের বোলারদের প্রতাপ তো ছিলই, সাথে নিজেদের করা ভুলে অল্পতেই গুটিয়ে যায় নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ইনিংস। রান আউটের মহড়ায় নাম লেখানো দলটি ৫০ পেরিয়েই অলআউট হয়ে যায়। এই সংগ্রহ পাড়ি দিতে তেমন বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে, এরপরও অবশ্য ৫টি উইকেট হারায় তারা। তবে দিন শেষে জয়ী দল হওয়ার আনন্দই তো সবকিছু, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনও শুরু হলো দারুণ জয়ে।
শনিবার মালয়েশিয়ার বাঙ্গিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ৪০ বল হাতে রেখেই জেতে বাংলাদেশ। 'ডি' গ্রুপের শীর্ষে থাকা দলটির পরের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ম্যাচটি হবে ২০ জানুয়ারি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। বল হাতে দারুণ শুরু করে তা ধরে রাখে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ১৮.২ ওভারে নেপালকে ৫২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা জান্নাতুর মাওয়া, ফাহোমিদা ছয়া, আনিসা আক্তার সোবাদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দলটির মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন, তাদের পাঁচজন ব্যাটার রান আউটে কাটা পড়েন। জবাবে সাদিয়া ইসলাম ও অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের ব্যাটে ১৩.২ ওভারে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশও চাপ বুঝেছে, তাদের প্রথম তিন ব্যাটারের কেউ-ই ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে ২১ রানের জুটি গড়ে দলকে ঠিক পথে ফেরান সাদিয়া ও সুমাইয়া। ২৪ বলে একটি চারে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন সাদিয়া। সমান বলে ১২ রান করেন সুমাইয়া। কেবল এ দুজনই দুই অঙ্কের রান করেন। নেপালের রচনা চৌধুরী, রিয়া শর্মা, সীমান কেসি ও পুজা মাহাতো একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সানা পারভিন। ৩২ বলে ১৯ রান করেন তিনি, মারেননি কোনো বাউন্ডারি। ১৬ বলে একটি চারে ১০ রান করেন সীমানা। এ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি, রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন দুজন ব্যাটার। ৪ ওভারে ১১ রানে ২টি উইকেট নেন ম্যাচসেরা জান্নাতুল মাওয়া। ৪ ওভারে ৭ রানে একটি উইকেট নেন ফাহোমিদা। ৩.২ ওভারে ৬ রানে একটি উইকেট পান সোবা। ৪ ওভারে ১৩ রানে নাহিদা আক্তার নিশিও একটি উইকেট পান।