সৎ ও নিষ্ঠাবান ফুটবলপ্রেমীদের নির্বাচিত করার আহ্বান বিদায়ী সভাপতি সালাউদ্দিনের

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এবারের নির্বাচনে সভাপদি পদে লড়ছেন না কাজী সালাউদ্দিন। নির্বাচনের মাঠে না থাকলেও দৃশ্যপটে আছেন তিনি। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাফুফের নির্বাচনে ভোট দিতে হাজির হয়েছেন টানা চার মেয়াদে ১৬ বছর বাফুফে প্রধানের পদে থাকা সালাউদ্দিন। সাবেক হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সৎ ও নিষ্ঠাবান ফুটলপ্রেমীদের নির্বাচিত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দুপুর ২টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে ৬টা পর্যন্ত। এর আগে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। যেখানে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বক্তব্য দেন সালাউদ্দিন। বক্তব্যে তিনি কী বলেছেন, এ নিয়ে আগ্রহ ছিল সংবাদমাধ্যমের। এজিএম শেষে এ নিয়ে কথা বলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়া ইমরুল হাসান। তিনি জানান, ফুটবলকে ভালোবাসেন, এমন সৎ সংগঠকদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সালাউদ্দিন।
ইমরুল বলেন, 'সালাউদ্দিন ভাই তার বিদায়ী ভাষণে যেটা বলেছেন, ডেলিগেটরা যেন নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সততা দেখায়। যাদের ফুটবল সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, ফুটবল যারা পছন্দ করে- এ রকম সৎ ও নিষ্ঠাবান ফুটবলপ্রেমী যারা আছেন, তাদের নির্বাচিত করার জন্য আহ্বান করেছেন।'

বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির পদ মোট ২১টি, পদগুলোয় লড়ছেন ৪৬ জন প্রার্থী। মোট ১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইমরুল হাসান সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় এই পদে ভোট নেই। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সহ-সভাপতি চারটি পদে ভোট করছেন ছয়জন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য ১৫টি পদে নির্বাচন করছেন ৩৭ জন।
এবারের এজিএমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) একজন ডেলিগেট বক্তব্য দিয়েছেন, তুলে ধরেছেন সরকারের দিক নির্দেশনা। বাফুফে নির্বাচনে আগে কখনও এমন হয়নি। এ ব্যাপারে ইমরুল বলেন, 'এই প্রথমবার ডায়াসে এসে এনএসসির ডেলিগেট বক্তৃতা দিয়েছেন এবং সরকারের কিছু দিক নির্দেশনা ডেলিগেটদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। অন্যান্য এজিএমের চেয়ে এই এজিএমের বিশেষত্ব এটা ছিল।'
এজিএমে ৬১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়। ঘাটতি রয়েছে ১৪ কোটি। এটা নতুন কমিটির কাছে পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন উপস্থিত ডেলিগেটরা, এখনও অনুমোদন হয়নি। ইমরুল বলেন, 'এজিএমে গত বছরের রিপোর্ট পেশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক। নতুন বছরের প্রস্তাবিত বাজেটও দেওয়া হয়েছিল। তবে অধিকাংশ ডেলিগেটের দাবি ছিল, যেহেতু নতুন কমিটি আসছে, নতুন কমিটির সামনেই যেন সেটা পেশ করা হয়। সেটা আগামীতে উপস্থাপন করা হবে।'
নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে ইমরুল বলেন, 'প্রার্থী হিসেবে আমি ইশতেহার দিয়েছি। যখন নির্বাচিত কমিটি আসবে, তাদের সামনে সেটি তুলে ধরব। নির্বাচিত কমিটি যদি মনে করে, ওই মেনিফেস্টো অনুযায়ী কাজ করার... অন্য কেউ আরও নতুন কিছু যোগ করতে পারে। সেগুলো আমরা সংযুক্ত করতে পারি। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা সবাই যদি ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন হন, তাহলে এই মেনিফেস্টো অনুযায়ী কাজ করতে সুবিধা হবে। আমি আশাবাদী, এবার হয়তো আগের তুলনায় ইতিবাচক ধারার লোকজন নির্বাচিত হয়ে আসবেন।'