এবার সেশেলসের কাছে হেরেই গেল বাংলাদেশ

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেই 'বাংলাদেশকে আমরা হারাবোই' বলে পণ করেছেন সেশেলস কোচ নেভিল বোথ। শেষ পর্যন্ত কথা রেখেছে তার দল। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ১-০ হারিয়েছে সেলেশস।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল একই ব্যবধানে। বাংলাদেশ-সেশেলস দুই ম্যাচের সিরিজটি শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতায় শেষ হলো।
এই ম্যাচের একমাত্র গোলটি সেশেলস করেছে ৬০ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে । বাংলাদেশের বক্সের ভেতর ভেসে আসা বল ক্লিয়ারের চেষ্টা করেন ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে তার পা উঠে যায় সেশেলস ডিফেন্ডার ডেরিল লুইসের মাথার ওপর। এই বিপজ্জনক ট্যাকলের ফলে ভুটানি রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
পেনাল্টি কাজে লাগান সেশেলসের সেরা তারকা মাইকেল মানচিনে। চেলসির হয়ে ৪টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই সেন্টারব্যাকের কাছে মাথার খেলায় বাংলাদেশ গোলকিপার আনিসুর রহমান সহজেই পরাস্ত হন। গোলপোস্টের ঠিক মাঝখান দিয়ে বল জালে পাঠান মানচিনে।
বাংলাদেশের জন্য এটি বিব্রতকর হারই বটে। সাদ উদ্দিনের জন্য আরো বেশি লজ্জার। এর আগে শ্রীলঙ্কাতে অনুষ্ঠিত হওয়া রাজা পাকশে টুর্নামেন্টে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে স্বাগতিকদের পেনাল্টি দেন সাদ।
মালদ্বীপে গত সাফে নেপালের বিপক্ষেও একইভাবে পেনাল্টি উপহার দেন সাদ। পিছিয়ে থেকে শেষ সময়ে ১-১ করে ফাইনালে ওঠে নেপাল। আজ সাদ বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয়বার পেনাল্টি দিলেন প্রতিপক্ষকে।
প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধের ২০-২৫ মিনিট ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছিল বাংলাদেশ। আজ আর সেটা পারেননি জামালরা। কখনো কখনো তো মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলছে না। খেলায় ছিল না তেমন পরিকল্পনার ছাপ। তবে গোলের সুযোগ তৈরি করেছে বেশ কয়েকটি। কিন্তু গোল করার মানুষই যে নেই!
অন্য দিকে সেশেলস খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু কাজের কাজটা ঠিকই করছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলকে তাদেরই মাঠে হারিয়েছে ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৯৯ তম এই দেশ। সেশেলসের ফুটবলের জন্য এটা বড় সাফল্যই বলা চলে। ২০২২ সালে তারা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতেনি। অবশেষে দলটি দেখল জয়ের মুখ। তাই আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে সেশেলসের জন্য।