সহজ জয়ে সেরা দুইয়ে থাকার পথে এগিয়ে রইলো রংপুর

প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হারানোর কিছু ছিল না। জয় দিয়ে বিপিএল মিশন শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে দলটি। কিন্তু রংপুর রাইডার্সের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিলো। তাদের লক্ষ্য যে সেরা দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা। সেই চ্যালেঞ্জে সফল বিপিএলের একবারের চ্যাম্পিয়নরা। চট্টগ্রামকে হারিয়ে সেরা দুই থাকার পথে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ে এগিয়ে রইলো রংপুর।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর। ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে তারা। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের ব্যবধানে তিন নম্বরে কুমিল্লা। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১০ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে এই দুই দল। এই ম্যাচের জয়ী দল প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকা চট্টগ্রামের শেষটা হলো ব্যর্থতা দিয়েই। ১২ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বর দল হিসেবে শেষ করেছে তারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে রংপুর। ম্যাচসেরা হারিস রউফ, রাকিবুল হাসান, রিপন মন্ডলদের বোলিংয়ের সামনে দলটির হয়ে কেউ-ই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তৌফিক খান, অধিনায়ক জিয়াউর রহমান, মৃতুঞ্জয় চৌধুরীদের ব্যাটে ৮ উইকেটে ১৩২ রান তোলে চট্টগ্রাম। জবাবে ইনিংস বড় করতে না পারলেও রংপুরের সবাই রানের দেখা পান। মাঝে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ২৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় রংপুর।
লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের জয়ের কাজটি সহজ করে দেন গুরবাজ। আফগানিস্তানের মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান করেন। নাঈম শেখ ২০ ও রনি তালকুদার ২৮ রান করেন। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৫ ও টম কোহলার ক্যাডমোর ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের নিহাদুজ্জামান ২টি ও জিয়াউর রহমান একটি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক জিয়াউর। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন। এ ছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৫, তৌফিক খান ২৮ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী অপরাজিত ১৭ রান করেন। হারিস ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ২টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে রাকিবুলের শিকারও ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান আজমতউল্লাহ ওমরজাই, হাসান মাহমুদ ও রিপন মন্ডল।