অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দামি দামি ক্রিকেটার দলে ভিড়িয়ে এবারও শিরোপায় দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে তারা। কিন্তু এবারের আসরে দলটির শুরু হয় হার দিয়ে, এরপর হার আর হার। হারে শুরু, হারেই বসবাস; কুমিল্লার গল্পটা ছিল এমন। অবশেষে তাদের গল্প পাল্টালো। বিপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের স্বাদ পেল তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙলো ইমরুল কায়েসের দল।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা। চার ম্যাচে এক জয় নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে তারা। আজকের ম্যাচে হেরে যাওয়া চট্টগ্রাম পাঁচ ম্যাচে দুটিতে জিতেছে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান চার নম্বরে। মাঠের মতো পয়েন্ট টেবিলেও রজত্ব করছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার তানভীর, মোসাদ্দেক, খুশদিলদের বোলিংয়ের সামনে ঘরের মাঠের দলটি এদিন সুবিধা করতে পারেনি। অধিনায়ক শুভাগত হোম, ম্যাক্স ও'দাউদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে চট্টগ্রাম। জবাবে লিটন কুমার দাসের দাপুটে শুরুর পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, জাকের আলীদের নিয়ে ১৫ বল হাতে রেখে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন মোহম্মদ রিজওয়ান।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় কুমিল্লা। পাকিস্তানি ওপেনার রিজওয়ানকে দর্শকের ভূমিকায় রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন লিটন। তার ব্যাটে ৫.৫ ওভারেই ৫৬ রান পেয়ে যায় কুমিল্লা। পাওয়ার প্লের এক বল বাকি থাকতে থামেন লিটন। চট্টগ্রামের পেসার মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্বায় ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ওপেনার।
লিটনের বিদায়ের পর ২৯ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান-লিটন। ১৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করা ইমরুলের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এক বল পরই জনসন চার্লসও আউট হলে হঠাৎ-ই চাপ বাড়ে কুমিল্লার। যদিও দলকে তা বুঝতে দেননি রিজওয়ান ও জাকের আলী। এ দুজন ৩৫ রানের জুটি গড়ে কুমিল্লাকে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে দেন।
দলীয় ১২৫ রানে আউট হন জাকের। এর আগে ২৩ বলে ২টি চারে ৩৩ রান করেন তিনি। পরে খুশদিল শাহকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের তারকা এই ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে ৪টি চারে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। খুশদিল অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। চট্টগ্রামের মালিন্দ পুষ্পকুমারা ২টি এবং মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউর একটি করে উইকেট নেন পান।
এর আগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ডানহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ২৩ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন। এ ছাড়া ও'দাউদ ২৪, আফিফ ২৯, দারউইস রসুলি ১১ ও শেষ দিকে মেহেদী হাসান রানা ১৩ রান করেন। দলটির চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। কুমিল্লার তানভীর, মোসাদ্দেক ও খুশদিল ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।