সাবিনার হ্যাটট্রিকে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেমিতে এক পা বাংলাদেশের

মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দুর্বার এই পথচলায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন সাবিনা খাতুন। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা বাংলাদেশ অধিনায়ক এবার করলেন হ্যাটট্রিক। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের দিনে পাকিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ।
শনিবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখরেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেন অধিনায়ক সাবিনা।
দারুণ ছন্দে থাকা সাবিনাকে সামলাতেই দিশেহারা হয়ে ওঠে আট বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরা পাকিস্তান। যদিও তাকে আটকে রাখতে পারেনি তারা। গোলবন্যার ম্যাচে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশের হয়ে বাকি তিন গোল করেন মনিকা, সিরাত জাহান স্বপ্না ও ঋতুপর্ণা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া বিশাল এই জয়ে সেমি-ফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচের আগেই শেষ চারের টিকেট মিলতে পারে। আজ সন্ধ্যায় মালদ্বীপকে ভারত হারাতে পারলে সেমি-ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
দাপুটে ফুটবল খেলা বাংলাদেশ ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায়। সাবিনার শট পাকিস্তানের ডিফেন্ডার মিশেল আকরাম পরিষ্কার করতে পারেননি। সেখান থেকে বল পেয়ে জোরালো নেন মনিকা, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
২৮ থেকে ৩৫; এই সাত মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। মারিয়া বল বাড়ান সাবিনাকে। অধিনায়কের থ্রু পাস খুঁজে নেয় বক্সে থাকা স্বপ্নাকে। বল নিয়ন্ত্রণে দারুণ শটে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন স্বপ্না। ৩০তম মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে বক্সের একটু ওপরে এসে সাবিনার উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান মনিকা। পাকিস্তানের ডিফেন্ডার হাজেরা খান পরিষ্কার করতে গেলে বল তার পায়ে লেগে উপরে উঠে যায়। দারুণ টোকায় বল জালে জড়ান সাবিনা।
৩৫তম মিনিটে আবারও বাংলাদেশের গোল উৎসব। আঁখির লং পাস ধরে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান সানজিদা। গোল মুখ থেকে অনায়াসে বাকি কাজ সারেন সাবিনা। ৫৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে মারিয়ার ক্রস থেকে বল পেয়ে হেডে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাবিনা। সাফে এ নিয়ে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ৭৭তম মিনিটে মনিকার পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে শেষ গোলটি করেন ঋতুপর্না।