জেতার পরও যে কারণে বিরক্ত তামিম

প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। লক্ষ্য থাকতে পারতো ১১৫ রানের মতো। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়ায় সেটা হয়নি। একের পর এক ক্যাচ ফেলায় লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৫০ রান। এরপরও অবশ্য জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ক্যাচ মিসের কারণে অতীতে যে অনেকবার চড়া খেসারত দিতে হয়েছে, তা ভালো করেই মনে আছে তামিম ইকবালের।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তাই ব্যাপারটি নিয়ে বিরক্ত। তামিম মনে করেন, ফিল্ডিংয়ে এভাবে চলতে পারে না। যে করেই হোক, ফিল্ডিংয়ে উন্নতির পথ খুঁজে বের করতে হবে।
বৃষ্টির কারণ গায়ানাতে প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়ায় বেশ দেরিতে। ম্যাচ নেমে আসে ৪১ ওভারে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ৪১ ওভারই একটা সময়ে অনেক দূরের মনে হচ্ছিল ক্যারিবীয়দের জন্য। ৩৪তম ওভারে নবম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা, তখন তাদের রান ১১০।
কিন্তু শেষ জুটি আর ভাঙতে পারেনি দারুণ বোলিং করতে থাকা বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের শেষ দুই ব্যাটসম্যান অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও জেডেন সিলস মিলে বাকি ওভারগুলো খেলে ফেলেন, গড়েন ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। এটা সম্ভব হয় বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে।
শেষ দিকে খেই হারানো বাংলাদেশ কয়েকটি ক্যাচ মাটিতে ফেলে। নিজের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ ছাড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া রান আউটের সুযোগও হাতছাড়া করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ দলে এমন দৃশ্য এবারই প্রথম দেখা গেল, এমনও নয়। শেষ তিন বছরে সব ফরম্যাটেই ক্যাচিং নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। এ কারণে তামিমের চাওয়া, দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয়ের পর গায়ানাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, 'আরও অনেক জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। আরও একটা ভালো দলের সঙ্গে খেলা হলে এই ক্যাচগুলোর অনেক চড়া মূল্য দিতে হতে পারত। আগেও দুর্ভাবনার কথা বলেছি, এটা বন্ধ হতে হবে বা কমে আসতে হবে। কারণ চার-চারটা ক্যাচ ছেড়ে এভাবে হয় না। আমরা হয়তো ১১৫ রান তাড়া করতাম ক্যাচ না ছাড়লে।'
ভুল খুঁজে বের করে সেটা নিয়ে কাজ করার জোর তাগিদ দিয়ে তামিম আরও বলেন, 'এই একটা দিক আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে ভুল কোথায় হচ্ছে। কারণ অনুশীলনে আমি কোনো ভুল দেখি না। এটা নিয়ে সতর্কভাবে আলোচনা করতে হবে আমাদের। বারবার একই মানুষেরা ক্যাচ মিস করছে, যা বাজে ব্যাপার। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন এটা সবসময় না হয়।'