বউয়ের চাওয়ায় জার্সি নম্বর বদলেছেন মুমিনুল

ক্রিকেটের সঙ্গে বসবাস সেই ছোটবেলা থেকে। ২০০৪ সালে বিকেএসপিতে ভর্তির পর ক্রিকেট প্রেম বেড়ে যায় আরও বহুগুণে। অনেক পথ মাড়িয়ে ২০১২ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলেন মুমিনুল হক। তখন থেকেই ৬৮ নম্বর জার্সি পরে খেলে আসছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু হঠাৎ-ই বদলে যায় জার্সি নম্বর! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ০৭ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন মুমিনুল।
জার্সি নম্বর বদলালেন কেন মুমিনুল? মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন থেকে অনেকের মুখেই এমন প্রশ্ন। উত্তর জানা গেল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর। স্বল্পভাষী মুমিনুল জানালেন, স্ত্রী ফারিয়ার চাওয়াতেই জার্সি নম্বর বদলে ফেলা।
মুমিনুল-ফারিয়ার বিয়ে হয়েছে গত বছরের ২৯ এপ্রিল। এরপর বেশ কিছু ম্যাচ খেললেও মুমিনুলের জার্সি নম্বর নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ছিল না ফারিয়ার। হঠাৎ কেন স্ত্রীর এমন চাওয়া? মুমিনুল অবশ্য কারণ ব্যাখা করলেন না।
টেস্ট অধিনায়ক বললেন, 'আসলে বউয়ের চাওয়াতে জার্সি নম্বর বদলে নিয়েছি। ও বলছিল, ৬৮ নম্বরের চেয়ে ০৭ নম্বর বেশি ভালো লাগে। এরপরই আসলে জার্সি নম্বর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিই। এ ছাড়া বিশেষ কিছু নেই।'
৭ সংখ্যাকে বলা হয় সৌভাগ্যের নম্বর। মুমিনুলও সেীভাগ্যের দেখা পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। ০৭ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামা মুমিনুল ১৪ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
মুমিনুলের ভাগ্য বদলানোর ম্যাচে বাংলাদেশও ভেঙেছে পরাজয়ের শৃঙ্খল, মুশফিকুর রহিম হাঁকিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডবল সেঞ্চুরি (২০৩*)। দেড় বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে টানা ছয় ম্যাচে হার মানে দলটি।
টেস্ট ক্রিকেটে জার্সির পেছনে নাম ও নম্বর যোগ হওয়ার বেশিদিন হয়নি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হওয়ার পর নাম ও নম্বর সম্বলিত জার্সির রীতি চালু করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাম-নম্বর সম্বলিত জার্সি পরে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম অভিজ্ঞতাটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। আফগানদের বিপক্ষে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় সাকিব আল হাসানের দল।