সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশের সামনে মাঝারি লক্ষ্য

বল হাতে দাপুটে শুরুর পর জিম্বাবুয়েকে চেপেই ধরছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু দলকে পথ হারাতে দেননি ব্রেন্ডন টেলর, ডিওন মায়ার্স, ওয়েসলে মাধেভেরে, সিকান্দার রাজারা। মাঝারি সব ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন তারা। রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। চাপ সামলে উইকেটে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার পর রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়ে সবাই দিক হারিয়েছেন। জিম্বাবুয়েকে ২৪০ রানের মধ্যে আটকে রাখার পথে বল হাতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তরুণ বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ৪টি উইকেট। সাকিব আল হাসান ২টি এবং তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তোপ দাগেন তাসকিন আহমেদ। স্বাগতিকদের ওপেনার তিনাশে কুমুনহুকামউইকে ফিরিয়ে দেন দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি এই পেসার। তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।
প্রথম ওভারেই উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিল জিম্বাবুয়ে। রেজিস চাকাভার সঙ্গে সেই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন টাডিওয়ানাশে মারুমানি। কিন্তু বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের পথটা দীর্ঘ হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের ডানহাতি এই অফ স্পিনার উপড়ে নেন ১৩ রান করা মারুমানির স্টাম্প।
স্রোতের বিপরীতে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন রেজিস চাকাভা। অন প্রান্তে ভাঙনের সুর বাজতে থাকলেও সেদিকে কান না দিয়ে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন জিম্বাবুয়ের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন ব্রেন্ডন টেলর। দুজন মিলে চাপ কাটিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সাকিব আল হাসান ভেঙে দেন ৪৭ রানের জুটি।
২৬ রান করে থামেন চাকাভা। এরপর ডিওন মায়ার্সের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন টেলর। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা টেলর হিট উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। এরপর জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা ওয়েসলে মাধেভেরের সঙ্গে কিছুটা পথ পাড়ি দেন মায়ার্স।
সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে মায়ার্স ৩৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। এই দুই ব্যাটসম্যান ষষ্ঠ উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন। ৬৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মাধেভেরে। সিকান্দার রাজা করেন ৩০ রান।