সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতল বারমুডা

বারমুডার জনসংখ্যা মাত্র ৬৩ হাজার। আয়তন মাত্র ২০.৫ বর্গমাইল। সবচেয়ে ছোট দেশ বা অঞ্চল হিসেবে অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ের রেকর্ড এখন এই দেশটির দখলে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টিস্নাত সকালে বারমুডার জন্য এই সম্মান বয়ে আনেন ফ্লোরা ডাফি। ৩৩ বছর বয়সি ডাফি প্রমীলা ট্রায়ালথনে (সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড়) স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নিয়েছেন। প্রায় এক মাইল উন্মুক্ত পানিতে সাঁতার কেটে, ২৫ মাইল সাইক্লিং করে এবং ৪.৬ মাইল দৌড়ে জয়ী হয়ে এই সম্মান নিজের করে নিলেন ফ্লোরা ডাফি।
তার স্বর্ণজয়ের পর বারমুডার স্থানীয় পত্রিকা দ্য রয়্যাল গ্যাজেট লিখেছে, 'আজ রাতে অলিম্পিক প্রমীলা ট্রায়ালথনে প্রতিযোগিতায় নামার আগেই সোনার মেয়েতে পরিণত হয়েছিলেন ফ্লোরা ডাফি। কিন্তু টোকিওর বিশ্বমঞ্চে বিধ্বংসী জয় পাওয়ার পর তিনি পরিণত হয়েছেন খাঁটি সোনায়।'

ডাফিসহ দুজন বারমুডিয়ান টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন। আটলান্টিক মহাসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশীর দূরত্ব ৬০০ মাইল।
অলিম্পিকে আসার আগে কয়েক দফা ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছেন ডাফি। পায়ের ইনজুরিতে ২০১৮-১৯ মৌসুমের পুরোটা সময় তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। ২০২০-এর নভেম্বরে ডাফি জানান, হাঁটুর প্রদাহে ভুগছেন তিনি। এসব কারণে ডাফির এই জয়ের মাহাত্ম্য বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
স্বর্ণ জয়ের পর ডাফি বলেন, 'আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত। আমি শুধু নিজের স্বর্ণ জয়ের স্বপ্নই পূরণ করিনি, বারমুডার হয়েও প্রথম স্বর্ণ জিতেছি। এই অর্জন আমার চেয়ে অনেক বড়। এটা অসাধারণ এক মুহূর্ত।'
ডাফি সাঁতারে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। তবে সাইক্লিংয়ে প্রথম হন। তারপর দৌড়েও প্রথম হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর এক মিনিটেরও আগে দৌড় শেষ করেন। ৪.৬ মাইল দূরত্ব তিনি পারি দেন ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।
বারমুডার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বার্ট ডাফিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, 'তুমি কঠোর পরিশ্রম করেছ, একটা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ।'
এর আগে অলিম্পিকে বারমুডার একমাত্র পদক জয় ১৯৭৬ সালে। সেবার দেশটি পুরুষদের হেভিওয়েট বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিল।