শিরোপা ছুঁতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭৮ রান

স্বপ্নের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ যুব দল। আর মাত্র একটি ধাপ, এরপরই আকবর আলীদের হাতে উঠতে পারে সোনালী শিরোপা। এ জন্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে করতে হবে ১৭৮ রান। অসাধারণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে নাগালের মধ্যে রাখতে কাণ্ডারির ভূমিকায় ছিলেন শরিফুল, তানজিম, রকিবুল ও অভিষেকরা।
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অবিশ্বাস্য বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ভারতকে ১৭৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এর মাঝেও নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য দেখিয়েছেন যশস্বি জাইসওয়াল। ৮৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন ভারতের বাঁহাতি এই ওপেনার। তার ব্যাটেই মূলত লড়াই করেছে ভারত।
ভারতের স্কোর দেখে অবশ্য বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরু এবং সেই ধারা ধরে রাখার ব্যাপারটি পুরোপুরি বোঝা কঠিন। আগুনে বোলিংয়ে প্রথম ওভার থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম দুই ওভারে কোনো রান খরচা করেননি এ দুজন।
এই ধারাতে সপ্তম ওভারে মিলে যায় সাফল্য। ৬.৪ ওভারে ভারতের রান তখন মাত্র ৯। এ সময় দিব্যনাশ সাক্সেনাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে আনন্দে ভাসান তানজিম হাসান।
যদিও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনেও পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফেলেন জাইসওয়াল ও তিলক ভার্মা। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গেড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান।
এই জুটি দেখে মনে হতে পারে ভারত শাসন করেছে। আদতে তেমন নয়। তাদের রান তোলার গতি ছিল একেবারে ধীর। ৭.৪ ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পাওয়া ভারত ১০ ওভারে তোলে মাত্র ২৩ রান। ২০ ওভারে ৬৩ আর ১০০ ছাড়াতে লেগে যায় ২৯ ওভার।
অতি সাবধানি থেকে তিলক ভার্মা হাত খুলে খেলতে গিয়েই বিদায় নেন। এর আগে ৬৫ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। ভারতের অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গকে উইকেটে থিতু হতে দেননি রকিবুল হাসান। ৭ রান করা গার্গকে বিদায় করেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার।
অসম্ভব চাপের মাঝেও একপাশ আগলে রাখেন পুরো আসরে দারুণ ব্যাটিং করা জাইসওয়াল। ধ্রুব জুরেলকে সঙ্গে নিয়ে আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা বাঁহাতি এই ওপেনার। কিন্তু ৪০তম ওভারে ভারতের ব্যাটিংয়ের কোমড় ভেঙে দেন আগুনে বোলিং করতে থাকা শরিফুল।
পরপর দুই বলে বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দেন ভারতের ইনিংসের কান্ডারি জাইসওয়াল ও সিদেশ বীরকে। ক্যাচ তুলে ফেরার আগে ১২১ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৮ রানের মহা কার্যকর এক ইনিংস খেলেন জাইসওয়াল।
এই দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ভারতের যুবারা। দিক হারিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন পরের দুই ব্যাটসম্যান। জুরেল করেন ২২ রান। বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সামনে ভারতের পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি।
৪০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অভিষেক দাশ। দোর্দণ্ড প্রতাপে বোলিং করা শরিফুল ও তানজিম নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়া রকিবুল একটি উইকেট পান।