মাঠে ফেরার আগেই চোটে মাশরাফি

করোনাকালে কম ঝড় যায়নি মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার পরিবারের ওপর দিয়ে। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হন মাশরাফি। এরপর তার স্ত্রী সুমনা হক, ছোট ভাই মোরসালিন ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন। কিছুদিন পর মাশরাফির বাবা-মাও করোনায় আক্রান্ত হন।
সর্বশেষ মাশরাফির ছেলে সাহেল ও মেয়ে হুমায়রা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এবার মাঠে ফেরার আগেই চোট পেলেন বাংলাদেশের ওয়ানডের সফলতম এই অধিনায়ক। তিনদিন আগে রানিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন মাশরাফি। গত কয়েকদিন ধরে সকালে সিটি ক্লাব মাঠে ফুটবল খেলে আসছিলেন মাশরাফি। এর এক ফাঁকে রানিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
চোট পাওয়ায় গত দুদিন রানিং করেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মাশরাফি বলেন, 'রানিং করতে গিয়ে তিনদিন আগে হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা পেয়েছি। যে কারণে পরের দুদিন আর রানিং করা হয়নি। দেবাশিষ দাদা স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এখনও স্ক্যান করাইনি।'
বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমার সঙ্গে ওর ফোনে কথা হয়েছে। তিনদিন আগে রানিংয়ের সময় ও হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা পেয়েছে। কী কী করতে হবে, প্রাথমিক সেই চিকিৎসার কথা আমরা ফোনে ওকে জানিয়েছি।'
প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি মাশরাফিকে স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'চতুর্থ দিনে একটা স্ক্যান করিয়ে নিলে ভালো হয়। তাহলে আমরা বুঝতে পারব কতটুকু আঘাত পেয়েছে। আজ চতুর্থ দিন, আমি ম্যাসেজ করে ওকে জানিয়েছি সম্ভব হলে যেন একটা স্ক্যান করে ফেলে।'
গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন মাশরাফি। ওই সিরিজেই ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। এরপর কোনো ধরনের ম্যাচ খেলা হয়নি তার। বলা যায় গত ৮ মাস ধরে ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্নই ছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
আগামী নভেম্বরে কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফেরার লক্ষ্য মাশরাফির। এ কারণেই একটু একটু করে নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করেছিলেন তিনি। এখানেও বিরতি পড়লো হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে।