দুই বছর নিষিদ্ধ কাজী অনিক

মাদক বিরোধী আইন ভঙ্গ করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন কাজী অনিক ইসলাম। মাদক সেবনের দায়ে প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০১৯ সালের ৮ ফ্রেবুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাঁহাতি এই পেসার নিষিদ্ধ থাকবেন।
এই হিসেবে সাত মাস পর নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হবেন কাজী অনিক। এমন সময়ে বিসিবি এই খবরটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানালো। কী কারণে এত দেরি, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অপরাধ স্বীকার করে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন কাজী অনিক। ২০১৮ সালের নভেম্বরে একটি টুর্নামেন্ট চলাকালীন ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেথামফেটামিন নামক এক ধরনের মাদক গ্রহণের মাধ্যমে বিসিবির অ্যান্টি ডোপিং কোডের ৮.৩ ধারা ভঙ্গ করেছেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরের প্লেয়ার ড্রাফটের আগে কাজী অনিকের নাম পত্যাহার করা হয়। যদিও তখন কোনো কারণ জানানো হয়নি। পরে জানা যায়, মাদক বিরোধী আইন ভঙ্গ করেছেন তিনি।
তরুণ এই ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে তখনই সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। নিষিদ্ধও হন তিনি, কিন্তু অজানা কারণে বিসিবির পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
রাজশাহী কিংসের হয়ে বিপিএলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অনিক। দারুণ পারফর্ম করে জায়গা করে নেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। বিপিএল অভিষেকেই চার উইকেট নেওয়া এই পেসার ২০১৮ যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।