ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিসিবি: আসিফ মাহমুদ
ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, 'অভিযুক্ত হলেই তো আপনি কাউকে বাদ দিতে পারবেন না। অবশ্যই সেটি প্রমাণ হতে হবে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রমাণ পেতে হবে। যারা ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত, বিসিবি অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।'
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিকেএসপি পরিচালিত যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, 'বিসিবি যেভাবে খেলার কথা বলেছে, আমার মনে হয় যে একটু মিসকমিউনিকেশন হয়েছে বিসিবির সঙ্গে। আমি যখন কথা বলেছি, উনারাও বলেছেন উনারাও চান যে যারা ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত এবং সেটির ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া গেছে; তারা কোনোভাবেই না খেলে।'
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন শুধু খেলোয়াড় না, খেলোয়াড় ছাড়াও বাইরে থেকেও অনেকে জড়িত থাকেন। তাই সেই রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ক্রিকেটার জাহানারা আলমের যৌন হয়রানির অভিযোগসহ নারী খেলোয়াড়দের হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'তদন্ত কমিটি যেহেতু হয়েছে, এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দাখিল করবে এবং প্রয়োজনে জাতীয় পর্যায় থেকে যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয়, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা চাই ক্রীড়া ক্ষেত্র, সব স্পোর্টসের ক্ষেত্র, নারীদের জন্য নিরাপদ হোক এবং আমাদের নারীরা যেন আরও বেশি স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করতে পারে।'
উপদেষ্টা বলেন, 'আপনারা দেখেছেন যে আমাদের তারুণ্য উৎসবের আওতায় আমরা প্রায় সাড়ে আটশ' নারী নিয়ে নারীদের ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করেছি সারাদেশে। এর থেকেই বোঝা যায় আমরা স্পোর্টসে নারীদেরকে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছি। আমরা নারীদের জন্য ক্রীড়াক্ষেত্রকে আরও বেশি নিরাপদ করার জন্য বদ্ধপরিকর থাকব।'
যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে যে আইডিয়া, সেই আইডিয়ার তুলনায় খুবই ছোট পরিসরে এটি শুরু করেছি। ৮ হাজার ৮৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা এবং এই প্রকল্প দুই বছর ছয় মাস সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আপনারা জানেন এই ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের আলাদা ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই। বিকেএসপির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো এবং বিকেএসপির সাভারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৭টি জায়গায় ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন হবে।'
