প্রাণঘাতী ওমিক্রনকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলার সুযোগ নেই: ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলতে নিষেধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, ধরনটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। খবর বিবিসির।
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, করোনার আগের ধরনগুলোর তুলনায় নতুন ধরনটি কম প্রাণঘাতী।
কিন্তু ওমিক্রন ধরনটি আগের ধরনগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক। এর ফলে করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর তীব্র চাপ পড়ছে।
সোমবারে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় দশ লাখের বেশি লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর তথ্যানুসারে, গত সপ্তাহে সারা বিশ্বে রেকর্ড ৯৫ লাখ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে গত সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭১ শতাংশ, আর আমেরিকায় বেড়েছে ১০০ শতাংশ। আর বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত যত মানুষের প্রাণ বিপন্ন হয়েছে, তাদের ৯০ শতাংশই টিকা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান ড. টেডরোস বলেছেন, 'দেখা গেছে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের প্রভাব কম মারাত্মক হয়েছে। বিশেষ করে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ মারাত্মক হয়নি।' কিন্তু তাই বলে ওমিক্রনকে কম মারাত্মক ভাবার সুযোগ নেই বলে সতর্ক করেন তিনি।
ড. টেডরোস বলেন, 'অন্য ধরনগুলোর মতোই ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, মৃত্যুও হচ্ছে।
'সত্যি বলতে কী, এত দ্রুত এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যে তা সামাল দিতে বিশ্বের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।'
অমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক। পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিকেও এ ধরন আক্রান্ত করতে পারে। তবে এখনও টিকাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম সেরা অস্ত্র। টিকা নেওয়া থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশেই।
ড. টেডরোস আবারও দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান গতিতে টিকাদান চললে এ বছরের জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্য ডব্লিউএইচও-র, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।