রাসেল জায়েদীর হাতে তৈরি কাঠের চশমা যেভাবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে
লোহা, প্লাস্টিক কিংবা ধাতব—চশমার ফ্রেম বলতে মূলত আমরা যা ভাবি, সবই তো সেরকম! কিন্তু রাসেল জায়েদীর ভাবনায় ছিল ভিন্ন কিছু। তিনি ফ্রেম হিসেবে কল্পনা করলেন কাঠ। কাঠের ফ্রেমে চশমা? টিকবে তো? দেখতে কেমন হবে? এমন ভাবনায় খানিকটা দোটানায় পড়েছিলেন রাসেলও। কিন্তু পিছু হটেননি।
দক্ষিণ মেরুল বাড্ডার দারোগা বাড়ির মোড়। সেখান থেকে কিছুটা হেঁটে মদিনা টাওয়ারের পাশেই সাজানো-গোছানো ছোট্ট অফিস কারখানায় বসে টিবিএসের সঙ্গে সেসব গল্পই বলছিলেন রাসেল। মুখে প্রশান্ত হাসি আর চকচক করা চোখ দেখেই বোঝা গেল ঠিক কতখানি ভালোবাসা এ কাজে দিয়েছেন তিনি।
২০২০ সাল। বিশ্বজুড়ে তখন করোনার অচলাবস্থা। অফিস-স্কুল বন্ধ, মানুষ ঘরবন্দি। কিন্তু অনলাইন ব্যবসা তখন উঠছে নতুন উচ্চতায়। কেউ বিক্রি করছেন পোশাক, কেউ হ্যান্ডক্রাফট, কেউ বা খাবার। এই সুযোগটাই কাজে লাগালেন রাসেল ও তার ওপটোমেট্রিস্ট বন্ধু খসরু সুমন। ভারতের ভিনায়াকা মিশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওপটোমেস্ট্রি পড়ছেন তিনি। মূলত ওপটোমেট্রিস্ট হলেন চশমা বিশেষজ্ঞ। ভিশন সায়েন্টিস্টও বলা যায়। তারা চোখের জন্য ওষুধ দেন না। ডাক্তার নন। কিন্তু চোখের পাওয়ার নির্ধারণ করে চশমা দিতে পারেন।
এনজিওতে কাজের সুবাদে শত শত চোখের রোগীর সঙ্গে কাজ করেছেন সুমন। এসব অভিজ্ঞতাই হয়ে উঠল তাদের নতুন ব্যবসার বীজ।

করোনা তীব্র রূপ ধারণ করল যখন, সে সময়ে বাজারে একটা ঘাটতি তারা দেখতে পেলেন। অনলাইনে সব পাওয়া যাচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু পাওয়ারের চশমা পাওয়া ছিল কঠিন। এই ফাঁকটাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তারা।
চীন থেকে চশমা এনে অনলাইনে বিক্রি শুরু করলেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫০০টি প্লাস্টিক ফ্রেম নিয়ে যাত্রা শুরু হয় তাদের অনলাইন পেইজ 'রোদচশমা'-র।
প্রথম তিন-চার দিনেই বেশ ভালো সাড়া মিলল। কিন্তু রাসেলের মন তাতে ভরল না। প্রশ্ন জাগল, এটা তো নিছক ব্যবসা, এতে শিল্প কোথায়? নিজেদের কাজের ছাপ কোথায়?
সিরাজগঞ্জের ছেলে রাসেল জায়েদী পড়াশোনা করেছেন শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ আর্টস থেকে। পেশায় তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাতা। পনেরো বছরের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে। কখনো কবিতা লেখেন, কখনো বা গান। আবার চলচ্চিত্র নির্মাণেও নাম লেখাবেন। ব্যবসায় একেবারেই নতুন। তাই অনেকটা হাসতে হাসতে বলেন, "এখনো আমি শিশু এই দুনিয়ায়।"
তবে কাঠ দিয়ে চশমা বানানোর চিন্তা তাদের কাছে কেবল ব্যবসা ছিল না, বরং সৃজনশীল মননশীলতার পরীক্ষাও ছিল। এমন কিছু বানাতে চেয়েছিলেন, যা হবে পরিবেশবান্ধব, দৃষ্টিনন্দন এবং ব্যবহারযোগ্য।

সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় তাদের অনলাইন পেইজ 'রোদচশমা'। রাসেলের মতে, এটি এমন একটি অনলাইন ব্র্যান্ড, যেখানে শিল্প আর প্রয়োজনের সংযোগ ঘটবে। শুরুতে কেবল অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম চললেও পরবর্তীতে নিজেদের শোরুমও খোলেন। এতে অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে চলতে লাগল কাজ।
'পারফেক্ট ফ্রেম বানানোর যুদ্ধ'
রাসেলের কঠিনতম অধ্যায়ের শুরু হয় কাঠের ফ্রেম বানাতে গিয়ে। কারণ একটি যথাযথ কাঠের চশমা বানাতে সময় লেগেছিল বছর দুইয়ের মত। প্রথমে তিনি চেষ্টা করেছিলেন প্লাইউড দিয়ে। এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

তারপর কাঠের তক্তা পাতলা করে কেটে, অনেকটা কাগজের মতো বানিয়ে চশমা তৈরি করলেন। দেখতে খুব ভালো না হলেও চোখে বসানো গেল। পুরোনো চশমা থেকে কবজা খুলে লাগালেন কাঠে, সাথে লেন্সও। তারপর সেই চশমা পরে নিকেতন রোডে হাঁটতে বেরোলেন। কিছুদূর যেতেই চশমা থেকে লেন্স খুলে মাটিতে পড়ল।
রাসেল হেসে বললেন, "ব্যস! সেই থেকে শুরু হলো পারফেক্ট ফ্রেম বানানোর যুদ্ধ।"
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলল সেই লড়াই। একের পর এক ব্যর্থতা, শেখা আর চেষ্টা। ইউটিউবের ভিডিও দেখে, নানাজনের পরামর্শ, নিজের হাতে কাটাছেঁড়া করে ধীরে ধীরে শিখলেন কাঠের চশমা তৈরির কৌশল।

প্রথম বিক্রি
একদিন এক বিস্ময় হলো। রাসেলের দোকানটায় এক স্প্যানিশ নারী এলেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস কিনতেন। হাতে একটি কাঠের চশমা। রাসেলকে দেখিয়ে বললেন, "তোমরা এইভাবে সুন্দর ফিনিশিং দিতে পারো না কেন?"
রাসেল চশমাটা হাতে নিয়ে বুঝলেন ওটা ছাঁচে ঢেলে বানানো, আর তারটা কাঁচা হাতে খোদাই করা। কিছুটা মন খারাপ হলেও ওই ভদ্রমহিলার "তোমার ফিনিশিং ভালো হলে বাজার পাবে" কথাটিই রাসেলকে ভাবাল বেশি।
রাসেল নতুন করে প্রেরণা পেলেন। আরও বছর দেড়েক চেষ্টা চলল। ২০২৩ সালের শেষ দিকে তৈরি হলো বিক্রির উপযোগী প্রথম কাঠের চশমা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস। ফেসবুক পেইজে কাঠের চশমার বিজ্ঞাপন দিলেন রাসেল। প্রথম ক্রেতা এলেন কলকাতা থেকে। অফিসেই এলেন, নিজ চোখে দেখলেন তৈরির প্রক্রিয়া। দাম জানতে চাইলেন।

রাসেল একটু থেমে গেলেন। কারণ তখনো দাম নির্ধারণ করেননি। তবে ভদ্রলোক পাঁচ হাজার টাকায় প্রথম কাঠের চশমা কিনে নিলেন। সেই মুহূর্তটিই যেন রাসেলের জন্য এক মাইলফলক।
দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ
আজ রাসেলের 'রোদচশমা'র কাঠের ফ্রেম যাচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডসহ আঠারোটি দেশে। এসব ক্রেতার আশি শতাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি। মূলত তাদের মাধ্যমেই বিদেশি বন্ধুরা জানতে পারেন, কেনেন। গত তিন মাসে বিদেশে গেছে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার চশমা।

ইউরোপে পাঠাতে খরচ হয় প্রতি শিপমেন্টে ৪ হাজার টাকা। ফেডেক্স, ডিএইচএল, এরাম এক্সের মতো বেসরকারি কোম্পানি দিয়ে বিদেশে পার্সেল পাঠান তারা। প্রতি শিপমেন্টে আধা কেজির মতো পণ্য পাঠানো হয়। শিপমেন্ট খরচ ক্রেতাই বহন করেন। প্রতি মাসে গড়ে ১৫০টি চশমা দেশের বাইরে যায়।
চশমাগুলো বানানো হয় বার্মাটিক কাঠে, যা দেশের সবচেয়ে দামি কাঠগুলোর একটি। দেখতে চকচকে, পলিশ দিলে দারুণ রূপ আসে। বাজারে এই কাঠের দাম প্রতি ঘনফুট ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে রাসেল বড় কাঠের টুকরো থেকে বেঁচে যাওয়া অংশ কেনেন। তাতে খরচ কমে পড়ে—১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
চশমা তৈরির পুরো প্রক্রিয়াই হয় হাতে। ছোট ছোট যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু মূল কাজটা হয় হাতের সাহায্যে। কাঠ এনে প্রথমে ছয় ঘণ্টা সেদ্ধ করা হয়। এতে ঘুণ ধরা ভয় থাকে না। কারও অ্যালার্জি থাকলে সেটিও দূর হয়ে যায়। কাঁচা কাঠ থেকে চশমার ফ্রেম হতে সময় লাগে বাইশ দিন।
ওজনের কথা বলি? অবাক করা হালকা। সাধারণ প্লাস্টিকের চশমা লেন্সসহ হয় ২২ থেকে ২৫ গ্রাম। আর কাঠের চশমা মাত্র ১৬-১৭ গ্রাম থেকে শুরু। ডিজাইন আর সাইজভেদে ওজন একটু কমবেশি হয়। তবু অন্য চশমার চেয়ে বেশি বলা যাবে না৷

হালকা ওজনের কারণে অনেক ক্রেতাই এখন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এই যেমন নীলার কথাই ধরা যাক। পেশায় চাকরিজীবী। গত এপ্রিল থেকে ব্যবহার করছেন 'রোদচশমার' কাঠের ফ্রেমের চশমা। অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, "ছোটবেলা থেকেই চশমা পরি, সবসময় প্লাস্টিকের ফ্রেমই ব্যবহার করেছি। ছয় মাস হলো কাঠের চশমা পড়ছি। বেশ হালকা ও টেকসই, দেখতেও দারুণ। আসলে একটু ভিন্ন আর ব্যতিক্রমী কিছু পরার ইচ্ছা থেকেই কাঠের চশমা বেছে নিয়েছিলাম। আমার ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে।"
রঙের ব্যবহার বলতে গেলে নেই। পঁচানব্বই ভাগ চশমায় কোনো রং দেওয়া হয় না। বরং কাঠের নিজের রংই থাকে। এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই থাকে বলে মত রাসেলের।

সুমন বলেন, "আমি কাঠের চশমাকে এক ধরনের পরিধেয় ফার্নিচার মনে করি। যেমন কাঠের ফার্নিচার বছরের পর বছর টেকে, তেমনি এই চশমাও ২০-২৫ বছর টিকবে। পুরনো হলে বার্নিশ বা মেরামত করলেই নতুনের মতো হয়ে যাবে—বরং সময়ের সঙ্গে কাঠের ঔজ্জ্বল্য আরও বেড়ে যায়।"
সুমন চান ভবিষ্যতে প্রতি মাসে চার-পাঁচ হাজার চশমা উৎপাদন করতে। রিপেয়ার আর সার্ভিসিং এর জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করতে চান তারা।

পাখির নামে চশমা, কেন?
বলা হয় "শখের মূল্য লাখ টাকা"। রাসেলের ক্ষেত্রেও তাই। চশমা তো বানালেন। ভাবলেন, তার বানানো চশমার নাম থাকা উচিত। যে চিন্তা সে কাজ!
তিনি সব ডিজাইনের নাম দিলেন পাখির নামে। গোল চশমার নাম দিলেন "পেঁচা"। আরেকটার নাম "শালিক"। এভাবে হলো "ভুবনচিল", "টুনটুনি", "বসন্তবাউলি", "হরিয়াল", "ধানশালিক"। মেয়েদের চশমার নাম রাখলেন "ময়ূর", "চোখাচোখি", "ফ্যালকন"। আর একটার নাম "বউ কথা কও"। বাচ্চাদের জন্য আছে "টুনটুনি"।
অবশ্য পাখির নামে চশমার নাম রাখার ভাবনাটা আসে একদম অন্যরকম এক মজার চিন্তা থেকে। হাসতে হাসতেই রাসেল বললেন, "আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি, পাখির নামগুলো আমাদের খুব চেনা। কিন্তু শহরের বাচ্চারা তো অনেকেই জানে না 'ধানশালিক' বা 'বউ কথা কও' কী! তাই ভাবলাম, প্রতিটি চশমার নাম রাখব পাখির নামে। অন্তত এতে এক-দুটো পাখির নাম হলেও মানুষ মনে রাখবে।"

বৈচিত্র্য এসেছে ডিজাইনেও। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত চশমার ডিজাইন ছিল কেবল একটি। এখন আছে একুশটি। এর মধ্যে চারটি প্রিমিয়াম মডেল। সুন্দর কাঠের বক্সে প্যাক করা। সাধারণ চশমার দাম পাওয়ারসহ ১,৩০০ টাকা। সানগ্লাস ১,৫০০ টাকা। প্রিমিয়াম বক্সসহ পাওয়ারের চশমা ৩,৩০০ টাকা, সানগ্লাস ৩,৫০০ টাকা। কিন্ত কাস্টম ডিজাইন, যেমন নিজের নামের আদ্যাক্ষর খোদাই করানো বা নিজের মতো করে বানিয়ে নিলে দাম পড়ে ৫,০০০ টাকা।
অনেক ক্রেতাই নিজেদের মনের মতো ডিজাইন পাঠিয়ে ক্রয় করছেন রাসেলের এই কাঠের চশমা। রায়হান চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তাই।
আর্কিটেকচারে পড়াশোনা শেষ করে এখন ফার্মিং করছেন রায়হান। শখের বশে বিভিন্ন দেশের ব্যতিক্রমী ও পুরোনো চশমা সংগ্রহ করেন। সম্প্রতি তিনি 'রোদচশমার' কাঠের চশমা ব্যবহার শুরু করেছেন।
রায়হান বলেন, "রোদচশমা যখন অর্গানিক উপায়ে কাঠ দিয়ে চশমা তৈরি করছে শুনি, আমি আগ্রহী হই। নিজের ডিজাইন পাঠালে তারা ঠিক সেইভাবে চশমা বানিয়ে দেয়। চার হাজার টাকায় এমন মানের কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো কাজ তারা করেছে।"
এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগেই অর্ডার দিয়ে চশমা নিতে হয়। তবে কিছু জনপ্রিয় মডেল সবসময় পাওয়া যায়। আর পাঁচটি সাইজে তৈরি হয় চশমা। যেমন ভেরি স্মল, স্মল, মিডিয়াম, লার্জ আর এক্সট্রা লার্জ।
মূলত ছয়জন কর্মী নিয়েই চলে রাসেলের কারখানা। তবে পুরো প্রক্রিয়ায় কাজ করেন ১১ জন। মাসে বানানো হয় ২৫০ থেকে ৩০০টি চশমা। এই কর্মীদের দুজনকে রাসেল নিজে কাজ শিখিয়েছেন। আর তার শেখানো দুজন শেখান বাকিদের।

চলতি মাসেই রোদচশমা জয়েন্ট স্টকের অনুমোদন পায় সরকারের কাছ থেকে। এখন তারা কোম্পানি লিমিটেড। বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারবে এবং এতে করে তাদের পণ্যগুলো পেটেন্ট করতে সুবিধা হবে। বর্তমানে রোদচশমা লিমিটেডের এমডি রাসেল জায়েদী। চেয়ারম্যান চশমা বিশেষজ্ঞ খসরু সুমন।
সুমন বলেন, "ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও সহজ হলো। এতদিন নানা সীমাবদ্ধতা ছিল, এখন সেগুলোও ধীরে ধীরে কেটে যাবে। জার্মানির এক ক্রেতা চশমা কেনার আগে আমাদের কাছে ২০০টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন—যেমন আমরা যে আঠা ব্যবহার করি তা পরিবেশবান্ধব কি না, শরীরের ক্ষতি করে কি না ইত্যাদি। এসব মান বজায় রেখেই বিদেশে পণ্য পাঠাতে হয়। সীমাবদ্ধতা দূর হলে আমরা আরও বেশি চশমা উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারব।"
চলচ্চিত্র নির্মাতা, কবি, গায়ক, অ্যানিমেটর—বহু পরিচয়ের বাইরে রাসেল জায়েদীর আরও একটি নতুন পরিচয় তৈরি হয়েছে। সাথে সুমনেরও। ''রোদচশমা'র রাসেল-সুমন হিসেবেই খ্যাত তারা। তবুও রোদচশমাকে রাসেল জায়েদী এখনো তাদের প্রধান ব্যবসা মনে করেন না। নিজেকে ফিল্মমেকার হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

তাদের কাঠের শিল্প উড়ে যাচ্ছে হাজার মাইল দূরে, পৃথিবীর নানা প্রান্তে। এ যাত্রা কখনোই সহজ ছিল না। তবে স্বপ্ন দেখেছেন। তাই বাস্তবে সম্ভব হয়েছে।
রাসেল বলেন, "ভালোবাসা থেকে যে কাজ শুরু হয়, সেটা একদিন মানুষের মনে ঠিকই জায়গা করে নেয়।"