ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজয়ী হলেন ১০২ বছরের বৃদ্ধা

তার জন্ম হয়েছিল আরেক প্রাণঘাতী বিশ্ব মহামারির কালে- ১৯১৮ সালে। সেবছর বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছিল স্প্যানিশ ফ্লু নামক এক মহামারি । যাতে প্রাণ হারান কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষ।
আর এখন ২০২০ সালে যখন তার বয়স ১০২ বছর, তখনও আরেক মহামারির দাপটে কাঁপছে বিশ্ব। এতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ডাচ বংশদ্ভুত বৃদ্ধা নিজেও।
করোনাভাইরাস দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বয়স্কদের প্রতি নির্দয়। এতে তাদের প্রাণহানির সংখ্যাই বেশি বৈশ্বিক গড়ে।
তারপরেও সবাইকে অবাক করে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এর মধ্য দিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তারপর সুস্থ হয়েছেন এমন মুষ্টিমেয় কিছু শতবর্ষীর তালিকায় নাম লেখালেন।
আলোচিত বৃদ্ধার পাঁচ সন্তান-সন্তনদি। তাদের সূত্রে তিনি ১১ নাতি-নাতনী এবং তাদের ১৩ সন্তানের নানী ও দাদি।
এর আগে নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের লি আহ মোই বৃদ্ধাশ্রমের ১৬ জন অধিবাসী এবং কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হন। আলোচিত বৃদ্ধা ছিলেন তাদেরই একজন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক দৈনিক স্ট্রেইটস টাইমস প্রথম তার সুস্থতার খবর প্রকাশ করে।
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের মহামারিতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮৬ বছরের দুই বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন আলোচিত বৃদ্ধাশ্রমটির বাসিন্দা। সেদেশে এখন ১৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
লি আহ মোই বৃদ্ধাশ্রম তাদের এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, 'আজ খুবই খুশির দিন। কোভিড-১৯ ভাইরাসকে পরাজিত করতে তিনি কঠিন লড়াই করেছেন। আমরা তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।'
বিশ্ব মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ মোকাবেলায় সিঙ্গাপুরের নেওয়া সতর্ক পদক্ষেপগুলো বিশ্ববাপী প্রশংসা কুড়ায়। তবে অধিবাসী শ্রমিকদের একটি আবাসিক স্থাপনা থেকে পরবর্তীতে এই সংক্রমণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
গত এক মাসে সংক্রমণের সংখ্যায় দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এশিয় দেশগুলোর মধ্যে চীন এবং ভারতের পরেই তৃতীয় শীর্ষস্থানে চলে আসে।