বেইজিংয়ে করোনার ‘গোষ্ঠীবদ্ধ সংক্রমণ’ শনাক্ত, ‘যুদ্ধকালীন’ জরুরি অবস্থা জারি

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে খাদ্যপণ্যের পাইকারি একটি বাজার থেকে 'গোষ্ঠীবদ্ধ সংক্রমণ' শনাক্ত হওয়ায়, নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।
জরুরি অবস্থার আওতায় পড়েছে রাজধানী বেইজিংয়ের বড় একটি এলাকা। এ ঘটনার পর কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিংয়ে সকল প্রকার পর্যটন এবং ক্রীড়ানুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে ওই এলাকায় সোয়াব টেস্ট বা মুখের লালা পরীক্ষায় ৫১৭ জনের মধ্যে ৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরা সবাই রাজধানী বেইজিংয়ের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ-পশ্চিমের ফেংতাই জেলার জিয়ানফাদি নামক বাজারটিতে গিয়েছিলেন।
শনিবার চু জুনওয়েই নামে বেইজিং শহর কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
তিনি বলেন, শনাক্তদের কারো দেহেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়নি। এরপরও কড়া সতর্কতার অংশ হিসেবে এশিয়ার বৃহত্তম এই কৃষিপণ্যের বাজার এবং এর আশেপাশের ১১টি মহল্লাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। লকডাউন কার্যকরে সেখানে ২৪ ঘন্টা প্রহরীদল উপস্থিত থাকবে।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ৩টা থেকেই সেখানে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
চু জুনওয়েই আরও বলেন, সকল জনগণের স্বাস্থ্য এবং জীবনের সুরক্ষা মাথায় রেখেই আমরা জিয়ানফাদি বাজার এবং আশেপাশের এলাকা লকডাউনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই অঞ্চলে এখন 'যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা' চলছে।
করোনাভাইরাসের কোনো কার্যকর প্রতিষেধক এখনও বাজারে আসেনি। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যে দিয়েই চলার নীতি নিয়েছে চীন। নিয়মিত করা হচ্ছে ম্যাস টেস্টিং।
সংক্রমণের প্রথম ঢেউ মোকাবিলায় সফলতা অর্জনের পর আর দ্বিতীয়বারের ঝুঁকি নিতে চাইছে না চীন। তাই অর্থনীতি উন্মুক্ত করা হলেও জনসমাগমস্থলে ব্যাপক আকারের করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মূলত এমন সতর্ক পদক্ষেপের কারণেই রাজধানী বেইজিংয়ের জিয়ানফেদি বাজার এলাকায় গোষ্ঠীবদ্ধ সংক্রমণ উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়।