এ সরকারকে নির্বাচিত করা দেশে থাকার জন্য আমি লজ্জিত: ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক

যুক্তরাজ্য সরকারের শরণার্থী ও আশ্রয় প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণের কারণে তিনি লজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক হিলারি ম্যানটেল।
দুবারের বুকার পুরস্কারজয়ী এই ঔপন্যাসিক লা রিপাবলিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে দেশটির শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
অভিবাসন ও এসাইলাম প্রার্থীদের ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে লেখিকা বলেন, "আমার দাদা-দাদীর প্রজন্ম অভিবাসী (আয়ারল্যান্ড থেকে) ছিলেন।"
"কোনোমতে উপকূলে ভেসে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে ব্রিটেনের মানুষের আচরণ দেখলে বর্তমান ব্রিটেনের কুৎসিত রূপ দেখা যায়।"
"এজন্য লজ্জিত আমি। এ সরকারকে নির্বাচিত করেছে ও এখনো শাসনভার দিয়ে রেখেছে এমন দেশে থাকার জন্য লজ্জিত আমি।"
ডার্বিশায়ারে জন্ম নেওয়া এই ঔপন্যাসিককে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল।
তিনি বলেছিলেন, "একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে রাজতন্ত্রের জনপ্রিয়তা এমন একটি বিষয় যা দেখে আমি বিভ্রান্ত বোধ করি।"
"আমি ভাবতে চাই না যে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই দাসসুলভ হয় বা বৈষম্য উপভোগ করে... প্রজাতন্ত্রেই আরও মুক্তভাবে বেঁচে থাকতে পারবো আমি। আমি আশা করি আমার পারিবারিক খুঁটিতে ফিরে যাবো এবং আইরিশ নাগরিক হবো।"
একারণে ইংল্যান্ড ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
"আমাদের পরিকল্পনা কোভিডের কারণে পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু আমি এখন যেখানে থাকি- সমুদ্রের তীরে- তা আমার পছন্দের হলেও ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে পড়া এবং আবার ইউরোপীয় হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।"
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী আন্তোনেলো গুয়েরেরাও ম্যান্টেলকে জনসন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এবং তিনি সম্মত হয়েছেন কি না যে "তিনি ব্রেক্সিটার/বফুন/ইত্যাদি" এর চেয়ে অনেক জটিল ব্যক্তিত্বের অধিকারী।"
এদিকে, ২০০৩ সালে প্রকাশিত ম্যানটেলের আত্মজীবনী 'গিভিং আপ দ্য গোস্ট' ইতালিতেও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান