চাটুকারিতা করে বিদেশ থেকে ঋণ নেব না: গভর্নর মনসুর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (লেনদেনের ভারসাম্য) খুবই ইমপ্রুভ হয়েছে, বর্তমানে আমাদের ফরেন সেভিংস পজিশন খুবই স্ট্রং, আমরা বিদেশে থেকে চাটুকারিতা করে ঋণ আনব না।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড আয়োজিত ব্যাংকখাতের পুনরুদ্ধার নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারি ঋণ যে চক্রের মধ্যে রয়েছে, তাতে 'চাটুকারিতা করে বিদেশ থেকে টাকার আনার পক্ষে আমি নই। উই হ্যাভ ইসুজ ওয়ার্কিং অন আইএমএফ, তবে আমরা কম্প্রোমাইজ করব না।' বাংলাদেশের বৈদেশিক আর্থিক অবস্থান এখন খুবই শক্তিশালী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মনসুর বলেন, 'আমাদের সরকারের বাজেট ঘাটতি মেটাতে রাজস্ব আদায়ই হলো একমাত্র সমাধান। রেভিনিউ বাড়াতে পাড়লে আমাদের আইএমএফ এর দিকে তাকাতে হবে না। আমি ইতোমধ্যে আইএমএফকে বলেছি আমাদের আইএমএফ'র টাকা দরকার নেই।'
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আমাদের প্রবাসী আয় হবে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া রপ্তানি আয় যদি আমাদের ৫০ বিলিয়নও হয়— তারপরও আমাদের আমদানি বাবদ পরিশোধ করে ১০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত থাকবে।'
'বর্তমানে আমাদের সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকের আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারছি না। বেসরকারি খাতের সেভিংস বাড়ছে না। তবে আমরা যদি লেনদেনের ভারসাম্যকে ইমপ্রুভ করতে পারি, দ্যাট ইজ হেল্প আওয়ার সেভিং গ্রেস। দ্যাটস ইজ ওয়ান ওয়ে টু গ্রো সেভিংস। আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট আগের সরকারের আমলে নেগেটিভ ছিল— এখন পজিটিভে চলে এসেছে।'
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, 'আমাদের ফরেন সেভিংস (বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়) বেড়েছে, যার কারণ আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স (চলতি হিসাবের ভারসাম্য) ইতিবাচক রয়েছে। আর্থিকখাতের ইতিবাচকতার জন্য বিদেশ থেকে প্রবাসীদের আমানত আরও বাড়াতে হবে।'
'আমাদের বেসরকারিখাতের ওপর কাজ করতে হবে; বিশেষ করে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে। সেটা হতে পারে স্টক মার্কেটে, হতে পারে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) এর মাধ্যমে। ব্যাংকগুলো ওবিইউ এর মাধ্যমে ক্যাশ ফ্লো ইনজেক্ট করা, ডিপোজিট মোবিলাইজেশন করতে পারবে। আমাদের অনাবাসী বাংলাদেশী আছে, তাদের ডিপোজিট দেশে আনতে দেশের ব্যাংকগুলো তৎপরতা বাড়াতে হবে। এটা করতে পারলে আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে আরও পজেটিভ হবে।'