Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
July 23, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JULY 23, 2025
ডিসেম্বরে রপ্তানি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ

অর্থনীতি

রিয়াদ হোসেন & শাখাওয়াত প্রিন্স
03 January, 2023, 12:35 am
Last modified: 04 January, 2023, 03:44 pm

Related News

  • কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও আখাউড়া স্থলবন্দরে বেড়েছে রপ্তানি আয়
  • জুনে রপ্তানি কমলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৯%
  • সব দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে: প্রধান উপদেষ্টা
  • ‘আমি এটাও মনে করি ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব’: তারেক রহমান
  • বৈদ্যুতিক পণ্য রপ্তানি, এলএনজি সরবরাহ, ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ স্থাপনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: সালেহউদ্দিন

ডিসেম্বরে রপ্তানি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। এরমধ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের দাম ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার।
রিয়াদ হোসেন & শাখাওয়াত প্রিন্স
03 January, 2023, 12:35 am
Last modified: 04 January, 2023, 03:44 pm

তথ্যচিত্র: টিবিএস

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশকে রপ্তানি আয়ের নতুন রেকর্ড অর্জনে সহায়তা করেছে তৈরি পোশাক খাত। একইসঙ্গে, তা নভেম্বরে হওয়া রেকর্ডকেও ভেঙ্গেছে।

আলোচ্য মাসে ৯ শতাংশের কিছু বেশি প্রবৃদ্ধি নিয়ে রপ্তানি হয়েছে ৫.৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা একক মাসের হিসাবে- এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।

পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচামালের বাড়তি মূল্য, আগের মাসগুলোর তুলনায় বাড়তি রপ্তানি আদেশ, উচ্চ মূল্যের পোশাক অপেক্ষাকৃত বেশি হারে রপ্তানি হওয়া, এবং চীনসহ প্রধান প্রতিযোগীদের তুলনায় বড় বাজারগুলো থেকে বেশি হারে রপ্তানি আদেশ পাওয়া ডিসেম্বরে রেকর্ড রপ্তানির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এর বাইরে প্রচলিত বাজার তথা ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে– নতুন বাজারগুলো থেকে বাড়তি অর্ডার আসাও সার্বিকভাবে রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

এ্দিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রথমবারের মতো দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি– আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৪১ শতাংশ কমে ১১.৭৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১২ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।

দেশের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি ও আমদানি কমে আসায় বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন- বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "কাঁচামালের বাড়তি দামের কারণে- পণ্যের দাম এবং অপেক্ষাকৃত উচ্চ মূল্যের পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিতে এ বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।"

তিনি বলেন, 'আগে বাংলাদেশ একটি  জ্যাকেট বানাতো হয়তো ২০ ডলারে, কিন্তু সম্প্রতি ৩০ থেকে ৪০ ডলার মূল্যের জ্যাকেটের অর্ডার পেয়েছে'।

তবে তিনি মনে করেন, আগামী জুন পর্যন্ত রপ্তানিতে এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা কম। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ওই সময়ে আমাদের গ্রোথ এর চেয়ে টিকে থাকার চেষ্টা হবে মূল কাজ'।

বাংলাদেশের বৃহত্তম পোশাক তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্য অন্যতম– স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম টিবিএস'কে বলেন,  "কাঁচামালের বর্ধিত মূল্যের কারণে পোশাকের দর ৫ থেকে ১৫  শতাংশ বাড়তি পাওয়া গেছে, যা ডিসেম্বরেও রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া আমাদের উচ্চ মুল্যের পোশাক রপ্তানি এখন বেড়েছে, আবার ইনফ্লেশনের কারণে সিএম (কাটিং অ্যান্ড মেকিং কস্ট) কিছুটা বেশি পাওয়া গেছে। এর বাইরে চীন থেকে সরে আসা অর্ডারের একটি অংশ বাংলাদেশ পেয়েছে, যা পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে ভুমিকা রেখেছে।"

তিনি আরও বলেন, স্পোর্টওয়্যার, আউটওয়্যারসহ, নারীদের ড্রেস, স্যুটসহ বেশকিছু উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে বাংলাদেশের, যা রপ্তানি মূল্য বাড়াতে ভুমিকা রেখেছে।

আগামী দুই থেকে তিন মাস রপ্তানিতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

ইপিবির তথ্যমতে, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ, এতে ৮২ শতাংশ অবদান ছিল তৈরি পোশাক খাতের।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। এরমধ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের দাম ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হওয়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি পোশাকের চাহিদা কমে, এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।  

এই প্রেক্ষিতে কিছুটা উল্লম্ফনের পর, সেপ্টেম্বরে আবারো নেতিবাচক রূপ নেয় রপ্তানির প্রবৃদ্ধি।  

পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য পাইপলাইনে যে পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে তাতে অনেক রপ্তানিকারকই সামনের মাসগুলোতে প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী; তবে উদ্বেগও রয়েছে তাদের।

ক্রোনি গ্রুপের চেয়ারপার্সন নীলা হোসনে আরা টিবিএস'কে বলেন, "আমাদের কিছু বায়ার চীন থেকে সোর্সিং কমিয়ে এখানে বাড়িয়েছেন। আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য আমরা আমাদের ক্যাপাসিটিও বাড়াচ্ছি।"

অবশ্য আগামী জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত রপ্তানি কমতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাঁচামালের দাম কমে যাওয়ায়- চলতি মাস থেকে পোশাকের দামও কমে যাবে। ফলে এই প্রবৃদ্ধি থাকবে না।

বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে।

তথ্যচিত্র: টিবিএস

অবশ্য ইউরোপ আমেরিকার বাইরে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়ার মতোন নতুন বাজারের দেশগুলোতেও বাংলাদেশের রপ্তাানি প্রবৃদ্ধি ভালো বলে টিবিএস'কে জানিয়েছেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএন আহসান।

তিনি বলেন, "আগামী দুই তিন মাসেও রপ্তানির এমন প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।"

তবে ব্যবসা চাঙ্গা হওয়ার এই সুফল পোশাক খাতে সবাই পায়নি, অনেকেই এখনও দুর্ভোগে আছে।

পেছনে পড়েছে যারা

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের কারো কারো ভালো অর্ডার থাকলেও– অপেক্ষাকৃত ছোট ও মাঝারি আকারের কোনো কোনো কারখানায় অর্ডার একেবারেই কম বলে জানা গেছে।

রাজধানীর মিরপুরের একটি মাঝারি আকারের পোশাক কারখানার মালিক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে টিবিএস'কে বলেন, "অতীতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ে প্রচুর অর্ডার থাকতো, বলা যায় দম ফেলার সময় পেতাম না। অথচ এবার তা নেই। ইউরোপের এক বায়ার অতীতে এ সময়ে আড়াই লাখ পিস পোশাকের অর্ডার দিত, এবার দিয়েছে মাত্র ৩০ হাজার পিসের"।

পোশাকের বাইরে বেশ কয়েকটি খাতের রপ্তানি বাড়েনি, বরং কমে গেছে।

গত অর্থবছরে ১০০ কোটি ডলারের উপরে রপ্তানি হওয়া পাট ও পাটজাত পণ্যে এবার ভাটা। হিসাব অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এসব পণ্যের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ।

দেশের অন্যতম বৃহৎ পাটপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান- ক্রিয়েশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না টিবিএসকে জানান, যুদ্ধের কারণে এবং পাটের সুতার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বিকল্প উপকরণ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করছে।

তার মতে, যদি পাটের কাঁচামালের দাম না কমে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির উন্নতি না হয়– তাহলে আগামী মাসগুলোতেও বাংলাদেশের পাট পণ্যের রপ্তানি কমতির দিকেই থাকবে।

এদিকে, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে, আর প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য হোম টেক্সটাইল রপ্তানি কমেছে ১৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে ৬০১ মিলিয়ন ডলারের,যার পরিমাণ আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭১৫ মিলিয়ন ডলার।

নভেম্বর পর্যন্ত কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, বাণিজ্য ঘাটতি– যা আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে পার্থক্য– নভেম্বরে ২.১৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

অক্টোবরে যা ছিল– ২.০৪ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ৩ বিলিয়ন, আগস্টে ২.৪৭ বিলিয়ন এবং জুলাইয়ে ২.০৮ বিলিয়ন ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ছাড়া সকল ধরনের আমদানি অনেকটা বন্ধ রয়েছে। ডলার সংকটে ঋণপত্র খোলাও অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, সরকারি ব্যাংকগুলো শুধু সরকারের আমদানি দায় মেটাতেই ডলার সরবরাহ করছে।

এসব কারণে সার্বিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে।  

যেমন জুলাই-নভেম্বর সময়ে মোট আমদানির মূল্য ছিল ৩২.৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩১.১৬ বিলিয়ন ডলার। এসময়ে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ২০.৭৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক বছর আগে ১৮.৫৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
 
নভেম্বরে আমদানির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার, অক্টোবরে ৬.১৬ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ৬.৬৬, আগস্টে ৬.৮৩ এবং জুলাইয়ে ৫.৮৬ বিলিয়ন ডলার।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর টিবিএস'কে বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। "এখন পর্যন্ত যে তথ্য দেখা যাচ্ছে, তাতে মোটামুটিভাবে ঘাটতিটা কিছুটা কমেছে। আমাদের রপ্তানি প্রায় ১০% বেড়েছে; রেমিট্যান্সও আরো বাড়াতে হবে। এখন প্রতিমাসে আমদানির পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার, এটা অর্থনীতির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আমদানিকে আরও বাড়িয়ে ৬.৫ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে রাখতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি, এছাড়া চলতি হিসাবের ব্যালেন্স ঘাটতি ছিল ১৮ বিলিয়ন। 'চলতি অর্থবছরে যে পরিমাণে ঘাটতি বাড়ছে, তাতে অর্থবছর শেষে দেখা যাবে– বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে দাঁড়াবে ২৫ ও ১২ বিলিয়ন ডলার'।

রেমিট্যান্স বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার– এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চেষ্টা করছে রেমিট্যান্স বাড়তে। 'বিদায়ী বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রবাসীরা বিদেশে গিয়েছেন। তবে বড় সমস্য হলো- বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে, এটা সামনে আরও বাড়বে। এখন অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে, কার্ব মার্কেটের (খোলা মুদ্রাবাজারের) সঙ্গে রেমিট্যান্স রেট সমন্বয় করতে হবে'।

একাধিক ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা টিবিএসকে বলেছেন, অনেক ব্যাংকই এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় হিসেবে যেই ডলার পাচ্ছে, তা নিজেদের কাছেই রাখছে। আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো নিজেদের থেকে ডলার দিয়ে এলসি খুললেও, এখন সকল ধরনের এলসি খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা প্রতিদিন ব্যাংকগুলো যে এলসি খুলছে- তা পর্যবেক্ষণ করে দেখছি। এছাড়া, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা আমদানির জন্যই শুধুমাত্র অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের পর– এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো থেকে আমদানির পরিমাণ অনেক কমেছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই দেশগুলো থেকে আমদানি বাবদ মূল্য পরিশোধ করতে হবে সর্বোচ্চ ১.২ বিলিয়ন ডলার। সে তুলনায়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এসিইউ (বা আকু) পেমেন্ট ছিল ১.৩২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যময়ে, মে-জুন সময়ে আমদানির আকু বিল ছিল ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা জুলাই-আগস্টে কমে ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার হয়।

দেশে গত বছরের এপ্রিল থেকে ডলার বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা শুরু হয়। তারপর থেকে সরকারি আমদানি ছাড়া, অন্য আমদানির জন্য ডলার বিক্রি করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একইসঙ্গে, সরকারের রিজার্ভের ওপরও ধাক্কা এসেছে।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৩.৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ডলার বিক্রি যত বাড়ে, রিজার্ভে ততোই পতন হতে থাকে।

মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসেই রিজার্ভ থেকে ৭.১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সে তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ে ৭.৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

এদিকে চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) চলতি হিসাবের ব্যালেন্স ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫.৬৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৬.২২ বিলিয়ন ডলার।

 

 

 

Related Topics

টপ নিউজ

রপ্তানি আয় / বাণিজ্য ঘাটতি / রপ্তানি আয়ে রেকর্ড / ডিসেম্বর

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল উত্তরার বিমান বিধ্বস্তের দৃশ্য
  • জামিন দিলে সব টাকা শোধ করে দেব, পালিয়ে যাব না: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম
  • “আমি এখানে আর থাকবো না, আমাকে নিয়ে চলো” বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আয়ানের চিৎকার
  • শাড়ির রঙে শনাক্ত: মেয়ে ফিরলেও লাশ হয়ে ফিরলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীর মা
  • মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সাহায্যে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক স্ট্যাটাস
  • ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে শেষ আশ্রয় ‘বাণিজ্যিক বাজুকা’ দাগার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ!

Related News

  • কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও আখাউড়া স্থলবন্দরে বেড়েছে রপ্তানি আয়
  • জুনে রপ্তানি কমলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৯%
  • সব দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে: প্রধান উপদেষ্টা
  • ‘আমি এটাও মনে করি ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব’: তারেক রহমান
  • বৈদ্যুতিক পণ্য রপ্তানি, এলএনজি সরবরাহ, ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ স্থাপনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: সালেহউদ্দিন

Most Read

1
বাংলাদেশ

সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল উত্তরার বিমান বিধ্বস্তের দৃশ্য

2
বাংলাদেশ

জামিন দিলে সব টাকা শোধ করে দেব, পালিয়ে যাব না: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম

3
বাংলাদেশ

“আমি এখানে আর থাকবো না, আমাকে নিয়ে চলো” বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আয়ানের চিৎকার

4
বাংলাদেশ

শাড়ির রঙে শনাক্ত: মেয়ে ফিরলেও লাশ হয়ে ফিরলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীর মা

5
বাংলাদেশ

মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সাহায্যে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক স্ট্যাটাস

6
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে শেষ আশ্রয় ‘বাণিজ্যিক বাজুকা’ দাগার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ!

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net