গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা নিয়ে বিবাদ আদালতেই নিষ্পত্তি হবে: আপিল বিভাগ

গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা সংক্রান্ত আপিলের আদেশের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার বিষয়ে আদালতের বাইরে কোনো মীমাংসা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বিটিআরসির সাথে গ্রামীণফোনের চলমান বিবাদ নিরসনে আদালতের বাইরে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে মধ্যস্ততা করতে গ্রামীণফোনের প্রস্তাব দেয়ার প্রেক্ষিতে নির্দেশনা দেন আদালত। সেই প্রস্তাবের বিষয়ে আদালতকে জানালে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন।
বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
পরে খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু (বিটিআরসি) পাওনা নিয়ে নিষ্পত্তির বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে সেহেতু এটি অন্য কোনো মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে নিষেধ করেছেন আপিল বিভাগ।
গ্রামীণফোন মধ্যস্ততার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা আদালতে উপস্থাপন করা হলে এই আদেশ দেন আদালত।
তিনি বলেন, আদালতের বাইরে অন্য কোন মধ্যস্ততায় সালিশ (আরবিট্রেশন) করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর বিটিআরসির পাওনা টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা শর্ত সাপেক্ষে দিতে রাজি হয় গ্রামীণফোন। সে দিনের শুনানি শেষে মামলায় আদেশের জন্য আজ (১৮ নভেম্বর) দিন ধার্য ছিল আপিল বিভাগে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসির লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে তা জানতে চেয়ে ৩১ অক্টোবর আদেশের জন্য রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।
কিন্তু সে হিসাব গ্রামীণফোন দিতে না পারায় দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিল। পরবর্তীতে শুনানির নির্ধারিত দিনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দুই শত কোটি টাকা দেবে, তবে সেটা শর্ত সাপেক্ষে।
গত ১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বিটিআরসি।