বায়ু থেকেই তৈরি হবে হীরা

বায়ুমন্ডলের উপাদান ব্যবহার করেই হীরা তৈরি সম্ভব এমনটা দাবী করেছেন এক ব্রিটিশ উদ্যোক্তা।
বায়ুমন্ডলের রাসায়নিক উপাদান সংগ্রহ করেই এই হীরা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সবুজ শক্তি সংস্থা 'ইকোট্রিসিটি'র প্রতিষ্ঠাতা ডেল ভিনস।
'স্কাইডায়মন্ড' নামের কৃত্রিম হীরা তৈরির এই উদ্যোগের ব্যাপারে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটিই বিশ্বের প্রথম 'জিরো ইমপ্যাক্ট' হীরা।
ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারের কারখানায় বিশেষ প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলের কার্বন ব্যবহার করে এই হীরা তৈরি হয়।
তবে কৃত্রিম হীরা তৈরির প্রচেষ্টা নতুন নয়। ১৯৪০ এর দশক থেকেই পরিবেশ রক্ষায় কৃত্রিম হীরা তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষাগারে 'কেমিক্যাল ভেপর ডিপোজিশন' প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হীরা তৈরি সম্ভব, এই একই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছে স্কাইডায়মন্ড প্রকল্পে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যাম্ব্রিজের গবেষক ড. পল কক্সোন জানান, পরীক্ষাগারে উচ্চ তাপ ও চাপ ব্যবহার করে এ পদ্ধতিতে হীরা তৈরি করা হয়। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম হীরার মধ্যে তেমন কোনো রাসায়নিক পার্থক্য নেই। যেখানে ভূগর্ভে প্রাকৃতিকভাবে হীরা তৈরি হতে লাখ লাখ বছর সময় লাগে, পরীক্ষাগারে কার্বন ব্যবহার করে অল্পকিছুদিনেই হীরা তৈরি সম্ভব।
স্কাইডায়মন্ডের এই কৃত্রিম হীরা তৈরির প্রক্রিয়া খুব একটা আলাদা না হলেও ভিনস জানান, এই প্রকল্পে অপেক্ষাকৃত অধিক পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় সূর্য ও বাতাসের শক্তি এবং বৃষ্টির পানি ব্যবহৃত হবে।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে হীরা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। খনিগুলোতে অমানবিক অবস্থায় কাজ করেন হাজার হাজার শ্রমিক। মূল্যবান এই রত্নের সাথে জড়িয়ে আছে একটি জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশার গল্প।
গবেষণাগারে তৈরি হীরার দামও প্রাকৃতিক হীরার চেয়ে কম। কৃত্রিম হীরাই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের বিকল্প হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
- সূত্র: সিএনএন