Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
August 09, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, AUGUST 09, 2025
প্রজন্মের জীবন বাঁচানোর তাগিদে প্রকৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে

মতামত

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ
11 March, 2025, 01:35 pm
Last modified: 11 March, 2025, 01:41 pm

Related News

  • ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন নারী-শিশুসহ ২২ বাংলাদেশি
  • সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
  • বন ধ্বংস করে গড়ে উঠছে কারখানা, মিরসরাইয়ের আশঙ্কাজনক বাস্তবতা
  • ওসমানী বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা: নিহত রুম্মান ছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী, বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন
  • সিলেটে স্কুল ছাত্র হত্যা: ৮ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবনসহ ৩২ জনের দণ্ড

প্রজন্মের জীবন বাঁচানোর তাগিদে প্রকৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে

সৌন্দর্যে, সৌকর্যে, সম্পদে, প্রাচুর্যে, জীববৈচিত্র্যে ও নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ এক বনখণ্ডের নাম রেমা-কালেঙ্গা বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্যে দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এই বনাঞ্চল তরপ হিল রিজার্ভের অন্তর্গত একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, এবং বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত শুষ্ক ও চিরহরিৎ বন। 
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ
11 March, 2025, 01:35 pm
Last modified: 11 March, 2025, 01:41 pm
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশের রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে মানুষ ও জীবজগতের জীবন। পরিবেশ প্রতিকূল হলে জীবের ধ্বংস ও বিনাশ অবশ্যম্ভাবী। পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মানুষ, অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণী-জীবনের বিকাশ ঘটে। পৃথিবীর বয়স বাড়ছে, আর আস্তে আস্তে যৌবন হারাচ্ছে পরিবেশ। এই পরিবেশই প্রাণের ধারক, জীবনীশক্তির বাহক। 

সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ ও প্রাণীর অস্তিত্ব নির্ভর করেছে পরিবেশের ওপর। পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে রয়েছে অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। কিন্তু মানুষের চরম অবহলো ও অসচেতনতার কারণে পৃথিবীর পরিবেশ এখন হুমকির মুখে। আর পরিবেশ হুমকির মুখে হলে মানবসভ্যতাও হুমকির কবল থেকে বাঁচবে না।

প্রকৃতির এক অনবদ্য উপহারের নাম রেমা-কালেঙ্গা বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। সৌন্দর্যে, সৌকর্যে, সম্পদে, প্রাচুর্যে, জীববৈচিত্র্যে ও নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ এক বনখণ্ডের নাম রেমা-কালেঙ্গা বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্যে দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এই বনাঞ্চল তরপ হিল রিজার্ভের অন্তর্গত একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, এবং বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত শুষ্ক ও চিরহরিৎ বন। 

এটি সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বনভূমি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন এ অভয়ারণ্যের একদিকে ভারতীয় সীমান্ত ও অন্য তিন দিকে বিস্তীর্ণ চা বাগান ঘেরা। চা-বাগানের সৌন্দর্য যেমন বিরল মাধুর্যমণ্ডিত করেছে এ বনকে, তেমনি এর বৈচিত্র্যময় উপাদান সমূহের আলংকারিক নান্দনিকতা অনন্য। 

সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় ভারত সীমান্তের উঁচু-নিঁচু টিলা সমৃদ্ধ ভূমিরূপ এ বনের গঠন ও জীববৈচিত্র্যে যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। সীমান্তেই এর অবস্থান। 

রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে এটির আরো সম্প্রসারণ করা হয়। বর্তমানে এই অভয়ারণ্যের আয়তন প্রায় ১৭৯৫.৫৪ হেক্টর। ব্যবস্থাপনার কারণে বন বিভাগ র্কতৃক এ বনাঞ্চলকে রেমা, কালেঙ্গা, ছনবাড়ি ও রশিদপুর—চারটি বিটে ভাগ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এ অঞ্চলটি যেহেতু প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, এজন্য বনের দেখভালের জন্য রয়েছে ১১টি ইউনিট ও ৭টি ক্যাম্প। বাংলাদেশের যে কয়েকটি প্রাকৃতিক বনভূমি এখনো মোটামু্টি ভালো অবস্থায় টিকে আছে, রেমা-কালেঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম।

রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য বেশ কিছু বিরল ও বিলুপ্ত প্রায়  প্রজাতির বন্যপ্রাণী, উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। বর্তমানে এই বনে ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৬৭ প্রজাতির পাখি, ৭ প্রজাতির উভচর, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৬৩৮ প্রজাতির গাছপালা-লতাগুল্ম পাওয়া যায়।

বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পাখির জন্য এই বন সুপরিচিত এবং এদের মধ্যে রয়েছে— ভীমরাজ, টিয়া, পাতি ময়না, লালমাথা কুচকুচি, সিপাহি বুলবুল, রাজ ধনেশ, শকুন, কালো মথুরা, লাল বনমোরগ, প্যাঁচা, মাছরাঙ্গা, ঈগল, চিল প্রভৃতি। এই বনে তিন প্রজাতির বানরের বাস; এগুলো হল—উল্টোলেজি বানর, লাল বানর ও নিশাচর লজ্জাবতী বানর। তাছাড়া এখানে পাঁচ প্রজাতির কাঠবিড়ালী দেখা যায়। এরমধ্যে বিরল প্রজাতির মালয়ান বড় কাঠবিড়ালি একমাত্র এ বনেই পাওয়া যায়। 

বন্যপ্রাণীর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য আরও রয়েছে কালোমুখ হনুমান, চশমাপরা হনুমান, উল্লুক, মায়া হরিণ, মেছোবাঘ, দেশি বন শুকর, গন্ধগোকুল, বেজি, সজারু ইত্যাদি। শঙ্খচূড়, দুধরাজ, দাঁড়াশ, লাউডগা প্রভৃতিসহ এ বনে ১৮ প্রজাতির সাপের দেখা পাওয়া যায়। 

এ বনের সৌন্দর্যের আরেকটি অলংকার হলো এর পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ। বৈচিত্র্যময় নান্দনিক গঠনশৈলী ও বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ অর্কিড প্রজাতির উদ্ভিদসমূহ বনের সৌন্দর্যে যোগ করেছে নতুন পালক। বিশেষ করে, গ্রীষ্মে যখন অর্কিডের ফুল ফোটে, তখন মন উতলা হয় বনে বনে। পতঙ্গ ও পাখিরা তখন খুঁজে পায় বিনোদনের নতুন উৎস। এ বনে প্রায় ২০ প্রজাতির অর্কিড তথা পরাশ্রয়ী উদ্ভিদের সমৃদ্ধ উপস্থিতি এর ইকোসিস্টেমকে দিয়েছে বর্ণিল মাত্রা।

তবে মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডে প্রকৃতি হতে বিলুপ্তির পথ ধরেছে প্রকৃতি বান্ধব এসব বন্যপ্রাণী। বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম হলো 'শকুন'। শকুনকে মানুষ ঘৃণার চোখে দেখলেও প্রকৃতিতে রয়েছে শকুনের অপরিসীম প্রয়োজনীয়তা। ফলে সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন শকুন ও পরিবেশ সংরক্ষণের। 

শকুন সংরক্ষণে 'বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি' গঠন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশের দু'টি অঞ্চলকে শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে শকুনের প্রজননকালীন সময়ে বাড়তি খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও সুন্দরবনে দু'টি ফিডিং স্টেশনও স্থাপন করা হয়েছে। 

জানা যায়, বাংলাদেশে সাত প্রজাতির শকুন আছে। এরা সবাই হুমকির মুখে। লাল মাথা শকুন ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন দেশে শকুনের সংখ্যা মাত্র ২৬০টির কাছাকাছি আছে বলে ধারণা করা হয়। শকুন সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের দেশে তিনটি জরিপ করা হয়েছে। 

এদিকে, শকুনের জন্য খুব উপকারী দুইটি ওষুধ বাজারে এসেছে। বন অধিদপ্তর কর্তৃক দিনাজপুরের সিঙড়া ন্যাশনাল পার্কে শকুনের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। 

পরিবেশবাদীরা বলছেন, বিপুল পরিমাণ শকুনের উপস্থিতি সচরাচর দেখা যেত মাত্র কয়েক বছর আগেও। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই হারিয়ে গেছে প্রকৃতিতে বিরাজমান প্রায় ৯০ শতাংশ শকুন। 

বাংলাদেশের অন্যতম গহীন বন রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমে শকুনের আবাস ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা করেছে বন বিভাগ। বাংলাদেশের হারিয়ে যেতে বসা শকুনের নিরাপদ আবাস্থল ও প্রজনন এলাকা হিসেবে এ বনকে তফশিলভুক্ত করা হয়েছে। এখানে এখনো প্রায় ৬৫-৭০ টির মতো শকুন বসবাস করছে। আইইউসিএন বাংলাদেশ ও বনবিভাগ যৌথভাবে এ শকুন সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

লোভ আর হিংস্রতা বোঝাতে যে প্রাণীটির উদাহরণ দেয়া হয়, সেটা 'হায়েনা'। রাজশাহীর বরেন্দ্র এলাকার ঊষর লাল মাটিতে উনিশ শতকের শেষের দিকেও ঘুরে বেড়াত ধূসর হায়েনার দল। তবে এখন বরেন্দ্র তো বটেই, বাংলাদেশের কোথাও হায়েনা নেই। একসময় এ দেশে গণ্ডারও ছিল। 

গত ১০০ বছরে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে এরকম ৩১ প্রজাতির প্রাণী। বাংলাদেশে ১ হাজার ৬১৯ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর কোনটির কী অবস্থা, সে-বিষয়ক লাল তালিকা বা রেড লিস্টের হালনাগাদ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এটি যৌথভাবে তৈরি করেছে সরকারের বন বিভাগ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। ১৫ বছর পর করা এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। 

নতুন তালিকায় দেখা গেছে, দেশের ৩৯০টি বন্যপ্রাণী কোনো না কোনোভাবে বিপন্ন। তবে তালিকায় ১৪টি নতুন প্রজাতিও যুক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচটি ইঁদুরের ও পাঁচটি প্রজাপতি বর্গের প্রজাতি। 

২০০০ সালের প্রথম তালিকায় ২৬৬ প্রজাতির মাছ, ২২ প্রজাতির উভচর, ১০৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ৩৮৮ প্রজাতির পাখি, ১১০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল। তাতে তারা এর আগের ১০০ বছরের মধ্যে ১৩ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পায়। 

আইইউসিএন বিশ্বব্যাপী একই পদ্ধতি ব্যবহার করে এবারই প্রথম প্রাণিকুলের অবস্থা-বিষয়ক প্রতিবেদন বা রেড লিস্ট তৈরি করছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে এই তালিকা দুই বছর ধরে ২০০ জন বিজ্ঞানী মিলে চূড়ান্ত করেছেন। ২০১৬ সালের জুন মাসের শেষার্ধে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণিকুলের অবস্থার একটি হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হয়। 

তালিকায় দেখা যায়, গত ১৫ বছরে পাখি প্রজাতি সবচেয়ে বেশি বিলুপ্ত হয়েছে। দেশের ৫৬৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১৯টি গত ১০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির দৌড়ে দ্বিতীয় অবস্থান স্তন্যপায়ী প্রাণীদের। ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী হারিয়ে গেছে এই সময়ে। আর সরীসৃপজাতীয় প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে একটি।

প্রতিবেদনটিতে বিপন্ন প্রাণীর তালিকাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মহাবিপন্ন প্রাণী ৫৬টি, বিপন্ন ১৮১টি এবং ঝুঁকিতে আছে ১৫৩টি প্রজাতি। আর ঝুঁকির কাছাকাছি রয়েছে ৯০ প্রজাতির প্রাণী। তবে ৮০৩ প্রজাতির প্রাণী নিয়ে এখন পর্যন্ত দুশ্চিন্তার কিছু নেই। 

বিলুপ্ত প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে—ডোরাকাটা হায়েনা, ধূসর নেকড়ে বান্টিং বা বনগরু, বনমহিষ, তিন ধরনের গন্ডার, (সুমাত্রা গন্ডার, জাভা গন্ডার ও ভারতীয় গন্ডার), বারো শিঙা হরিণ কৃষ্ণষাঁড়, মন্থর হরিণ। 

মহাবিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে—বেঙ্গল টাইগার, হাতি, ভোঁদড়, লামচিতা, চিতা, বনরুই, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, বনগরু, সাম্বার হরিণ, প্যারাইল্লা বানর, হিমালয়ান ডোরা কাঠবিড়ালি ও কালো ভালুক।

বর্তমান সময়ে পরিবেশ বিরাট একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জীবনের যা কিছু সুখ, দুঃখ, ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সবকিছুর মধ্যেই পরিবেশের বিরাট একটা ভূমিকা রয়েছে। আমরা সেটা হয়তো অনেক সময় দেখতে ও শুনতে পাইনা। দেখতে ও শুনতে চাইলেও অনেক সময় বিশ্বাস করতে চাইনা। বিশ্বাস করলেও আমারা সেইভাবে কাজ করতে চাইনা। 

পরিবেশ রক্ষা এবং পরিবেশকে প্রতিপালন, লালন-পালন করে নিয়ে যাওয়ার আমাদের প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধটা জাগ্রত করা অতি জরুরি। 

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ দশটি অধ্যায় এবং ৫৪টি ধারায় বিভক্ত। আইনের সাথে চারটি তফসিল যুক্ত করা হয়েছে এবং সেসব তফসিলে রক্ষিত বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজাতিসমূহের বাংলা নাম, ইংরেজি নাম ও বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে। 

নিজের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন বাঁচানোর তাগিদেই প্রকৃতি এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাস্তুতন্ত্রে জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীতে খাদ্য, জল ও খনিজ দ্রব্যাদির জোগান ঠিক রাখে জীববৈচিত্র্য, তাকে ধ্বংস করা যাবে না। পাশাপাশি জলবায়ুর পরিবর্তন, দূষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গাছপালা নিধন না করে বেশি বেশি গাছ লাগানো থেকে শুরু করে প্রকৃতিকে শান্ত করতে যা যা করণীয়, সবই করতে হবে।


শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: সিনিয়র সাংবাদিক
ইমেইল: jsb.shuvo@gmail.com


বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

Related Topics

টপ নিউজ

রেমা কালেঙ্গা / সিলেট / বনাঞ্চল / প্রকৃতি / পরিবেশ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আট দফা দাবিতে ১২ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট
  • দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশে বিক্রি হওয়া গাড়ির ৭৬ শতাংশই বৈদ্যুতিক, বদলে দিচ্ছে পরিবহনব্যবস্থা
  • নিলামে আরও ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক; অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী?
  • নিউমার্কেটের ওডিসি-নামা!
  • ৭১ মঞ্চের ব্যানারে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এ যাওয়ার খবর মিথ্যা: জেড আই খান পান্না
  • গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

Related News

  • ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন নারী-শিশুসহ ২২ বাংলাদেশি
  • সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
  • বন ধ্বংস করে গড়ে উঠছে কারখানা, মিরসরাইয়ের আশঙ্কাজনক বাস্তবতা
  • ওসমানী বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা: নিহত রুম্মান ছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী, বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন
  • সিলেটে স্কুল ছাত্র হত্যা: ৮ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবনসহ ৩২ জনের দণ্ড

Most Read

1
বাংলাদেশ

আট দফা দাবিতে ১২ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

2
আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশে বিক্রি হওয়া গাড়ির ৭৬ শতাংশই বৈদ্যুতিক, বদলে দিচ্ছে পরিবহনব্যবস্থা

3
অর্থনীতি

নিলামে আরও ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক; অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী?

4
ফিচার

নিউমার্কেটের ওডিসি-নামা!

5
বাংলাদেশ

৭১ মঞ্চের ব্যানারে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এ যাওয়ার খবর মিথ্যা: জেড আই খান পান্না

6
বাংলাদেশ

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net